somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোটেলঃ দ্য ডেভিল

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি স্বপ্ন।এটা আমার রাজ্য।অদ্ভূত এবং বিচিত্র।আর এই রাজ্যটি এত নাটকীয় পাশাপাশি এত ভয়াবহ যা হয়তো আপনি কখনো কল্পনাও করেননি।খুব বেশি বড় নয়।এই রাজ্যটির বিস্তৃতি বড়জোর দশ থেকে বারো বর্গ কিলোমিটার হতে পারে।আর আমি এই রাজ্যর রাজা নই অথবা প্রজাও নই।নই কোন মন্ত্রী বা নই কোন সেনাপতি।আমি কে তা আবিষ্কার করতে পারবেন না এই গল্পটির শেষেও।আমি নিজেও নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছি।আমি কে?এখানে কেন? কোথা থেকে এসেছি? কীভাবে এসেছি? এসব কোন প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই।আমার নাম আমি জানিনা তাই আমি “স্বপ্ন” নামটি বেছে নিয়েছি।
.
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসে।এটা একটা পর্যটন কেন্দ্র মনে করতে পারেন।আমি শুধু তাদের গাইডলাইন।অন্যদিকে আমি এই রাজ্যর রাজা না হলেও একজন শাসনকর্তা, যার কথা সবাই শুধু শুনতে নয় মানতে বাধ্য।কিন্তু আপনার জন্য ভয়ের ব্যাপার হলো এই যে, এখানে যে একবার এসেছে সে আর ফিরে যায় নি।
রিক্সা, সি.এন.জি, টাক্সিকাব থেকে শুরু করে এখানে যাতায়াতের জন্য বাসও রয়েছে।কিন্তু সেসবের পিছনের রহস্য কেউ জানেনা।এসবের চালক কে? অদৌ কি এসবের অস্তিত্ব আছে না কি বাস্তব পৃথিবীতে? তা কেউ জানেনা।কিন্তু আমি জানি।
.
মীরা।যার কথা আমার এখনো সময় সময় মনে পড়ে।আজ থেকে কয়েক’শ বছর আগের কথা।কেন জানিনা আমি এখনো তার কথা ভুলতে পারিনি।মীরা কেন এসেছিলো? আর কীভাবে এই রাজ্যের ঠিকানা পেয়েছে আমি জানিনা।প্রথম দেখাতে পরিচিত-পরিচিত লাগছিলো।এই ধরুন, ছোটবেলার কোন খেলার সাথীর কথা মনে পড়লে আপনার মনের ভিতর যেমন করে ঠিক তেমন।হালকা গড়ন, শ্যামবর্ণ আর চেহারার ভিতরে অসম্ভব ভালোলাগার মায়া ছড়ানো আছে।কিন্তু সমস্যা হলো মীরা একজন মানুষ, আর আমি!
.
ভেবে নেয়া শেষ।আর যাই করি, মীরাকে প্রাণে মেরে ফেলতে আমি পারবোনা।কিন্তু এই নরক থেকে তাকে বাঁচাবোই বা কি করে? অবশ্য তখন আমার একটা সতর্কবাণী বারবার মনে পড়ছিলো,
“একটা মেয়ে আসবে, তুমি কাঁদবে, রক্ত পুকুরে সব মৃত লাশ জীবিত হবে, তুমি ধংস হবে”
মীরা কি তাহলে সেই মেয়ে? যাকে মেরে ফেলতে আমার কষ্ট হবে? কিন্তু এতে যে আমি নিজেই ধংস হয়ে যাবো।
.
“আপনাকে দেখে একজন ভদ্রলোক বলেই আমার মনে হয়।দেখুন! অনেক রাত হয়ে গেছে।এখানে এসেছিলাম আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে।কিন্তু তাকে আমি কোথায় যেন হারিয়ে ফেলেছি।একটা হোটেলে আজকের এই একটা রাত কাটাতে চাই।যদি আপনার চেনা আশেপাশে কোন হোটেল থাকতো তাহলে আমার জন্য খুব ভালো হতো”-বেশ করুণসুরে মেয়েটি কথাগুলো বলছিলো।
কিন্তু আমি যা শুনতে পাচ্ছিলাম-“তুমি জানো আমি শুধু তোমাকে পছন্দ করি।অনেক কষ্ট করে তোমাকে খুঁজে পেয়েছি।আমাকে কি এখনো তোমার মনে পড়ে?”
কোথায় একটা গণ্ডগোল লক্ষ্য করলাম।মুখের কথার সাথে মেয়েটার মনের কথার কোন মিল নেই।
“আপনি ঠিকই ধরেছেন।আমার নিজেরই একটা হোটেল আছে।হোটেলের নাম, দ্য ডেভিল।নামটা এরকমই।একটু সামনে আছে।চলুন একসাথে হাঁটি”-বললাম আমি।
.
“সামনেই দেখতে পাচ্ছেন ঐ যে কিছু নার্স একটা বাচ্চার যত্ন নিচ্ছে।এটা তিনতলা বিশিষ্ট একটি হোটেল।এখানে আপনি সবই পাবেন।সময়মত খাবার, সুন্দর একটা রুম, মন ভালো রাখার জন্য একটা ডিস্কো আর শরীর খারাপ করলে আমাদের এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং নার্স রয়েছেন”
“বাহ্! দারুন তো”- বললো মেয়েটি।কিন্তু পুনরায় মিথ্যে কথা বলছে এই মেয়েটি,আমি যা পড়তে পারছি সেটা একটু অন্যরকম, “সৌমিত্র তুমি কেন বুঝতে পারছোনা, আমি এখানে এই হোটেলে থাকার জন্য আসিনি।আমি তোমার খোঁজে এখানে এসেছি।আর আমি তোমাকে পেয়েও গেছি।এখন ভালো হয় তুমি আমাকে তোমার কাছে থাকতে দাও, কোন অচেনা হোটেলে নয়”।
“দেখুন ম্যাডাম এখানকার এটাই নিয়ম”-বুঝতে পেরে বললাম আমি।
“আচ্ছা! ঠিকাছে আমাকে আমার রুমে নিয়ে চলুন”
এইতো কয়েকটা দিন এই মেয়েটা এখন এখানে আবদ্ধ থাকবে।তারপর আমি জানিনা, ওরা কে? হতে পারে ভ্যাম্পায়ার অথবা ডেমন যারা ভয়ংকর রকমভাবে পিপাসিত।মানুষের গন্ধ ওরা ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছে।কখন যে ওরা মীরা কে এবড়ো-থেবড়ো করে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে আমি জানিনা।
ভিতরটা ওর জন্য কাঁদছে।কিন্তু আশ্রুজল আমাদের নেই।তাই দেখাতে পারছিনা।নেই কোন আবেগ, তাই কন্ঠটাও বেশ রুক্ষ।চাইলেই মিষ্টতা দিতে পারবোনা।এমনকি বলতেও পারবোনা এই হোটেলের গোপন রহস্য কি।
আমি মীরার জন্য শুধু একটা কাজ করতে পারি।ভ্যাম্পায়ার বা ডেমনদের রুমে না ঢুকিয়ে দিয়ে আমি ওকে এক মৃত বৃদ্ধের রুমে ঢুকিয়ে দিবো।সেখানে তার আত্মা থাকে।সে নিষ্পাপ।কারো কোন ক্ষতি করেনা।আর আমি তাই করলাম।
.
“আচ্ছা আপনি বললেন মন ভালো করার জন্য কিছু একটা আছে? সেসব কই?”-রুমে প্রবেশ করতেই বলল মীরা।
আমি সায় দিলাম।রুমটি সাউন্ডপ্রুফ।ওয়ালে লাগানো একটা কাঁচ আস্তে করে ক্যাচ শব্দে খুললাম।আস্তে আস্তে বিশাল এক আয়না নিচের দিকে নামতে শুরু করলো।হইচই করার শব্দগুলো ঢুকে পড়লো রুমে।রুমটির ঠিক পূর্ব দিকের আয়নার পিছনে রয়েছে ডিস্কোতে যাবার গোপন রাস্তা।বুঝতে পারলো মীরা।
“শুভ রাত্রি ম্যাডাম।ভালো থাকবেন”-এটা বলেই প্রস্থান করলাম আমি।
.
কেউ একজন সবসময় আমাকে লক্ষ্য করে।নতুন কাস্টমার নিয়ে আসলে সাথে সাথেই একটা উড়ন্ত ক্যামেরার উদয় হয়।দেখতে অনেকটা কাঁকড়ার মতো।মীরাকে নিয়ে যখন হাঁটছিলাম তখন সেই ক্যামেরা আমাদের অনুসরণ করছিলো।আমি বুঝতে পারছিলাম।মীরাকে কিছু কথা আমার বলা হয়নি যেমন, ঐ বৃদ্ধ আত্মার কথা যাকে স্পর্শ করা যায়।ঐ ডিস্কোর কথা, যেখানে অনেক মানুষের সমাগম দেখা গেলেও তারা কেউ মানুষ নয়, সবাই অশরীরি।ঐ ছোট্ট শিশু আর নার্সের কথা, ছোট্ট শিশুটা একটা পুতুল আর নার্সগুলো হতে পারে কোন ভ্যাম্পায়ার বা ডেমন।ওরা খুব সুন্দরী তাই ওদের এই নাটক করতে দেয়া হয়েছে।
.
হঠাৎ করে আমার পাশে এক আত্মার আবির্ভাব ঘটলো, খষখষে আওয়াজে বলে উঠলো- “আচ্ছা তোর কি একটুও হুঁশ নেই, তুই আজ ভুল করে আমার রুমে একটা মেয়েকে রেখেছিস।আবার সে কি না একটা মানুষ।কি কান্ড! কি কান্ড!”
অনুরোধ করলাম ঐ বৃদ্ধ আত্মাকে অন্তত আজকের এই রাতটা একটু কষ্ট করে চালিয়ে নিতে।
.
পরেরদিন সকালবেলা . . .
মীরার জন্য চা করে নিয়ে গেলাম ওর রুমে।মাত্র ঘুম থেকে উঠে স্নান করেছে সে।আমাকে দেখে ভিতরে যেতে বললো।
“রাত কেমন কাটলো ম্যাডাম?”
“ভূতের সাথে কাটালাম”
“মানে?”
“জ্বী হ্যা।আপনাদের হোটেলে যে এত এত ভূত থাকে সেটা তো আপনি বলেলনি”
“এই নিন আপনার চা”
“এড়িয়ে যাবেন না, গতকাল রাত্রে আপনি আমার রুমে কি করছিলেন?”
“আমি! আপনার রুমে!”
“জ্বী! এত ভালো সাজার চেষ্টা করবেন না।আপনাকে স্যুট করেনা”
“যা তা বলছেন আপনি”
এরপর প্রস্থান করলাম মীরার রুম থেকে।বুঝতে পারলাম কিছু একটা গড়মিল হয়েছে।খুব সম্ভবত সবাই জেনে গেছে যে, এখানে একজন মানুষ থাকে।এখন যত দ্রুত সম্ভব মীরাকে তার নিজ শহরে পাঠিয়ে দিতে হবে।কিন্তু মন মানছেনা।ভাবছিলাম নরকের জীবন আর কত লম্বা হবে? আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি।খুব ভালো হতো যদি মীরা আমার পাশে থাকতো।কিন্তু এই ছোট্ট কথাটাও মীরাকে বলতে পারবোনা।হঠাৎ পাশে এসে মীরা দাঁড়ালো।
“আচ্ছা সাহেব! একজন নার্স বললো এই এলাকার মালিক নাকি আপনি?”
“হুম।ঠিক বলেছে।আমিই এই এলাকার মালিক”।
“তাহলে চলুন আমাকে চারপাশটা একটু ঘুরে দেখাবেন”
না করতে পারলাম না।প্রথমেই এক সবুজ বাগান দেখালাম, দেখতে সবুজ কিন্তু বাস্তবে এটা কোন বাগান নয়।এটা হলো একটা বদ্ধভূমি।কোন এক যুদ্ধে অনেক লাশের স্তূপ এখানে খুঁড়ে রাখা হয়েছিলো।আমরা এটাকে সবুজ বাগান হিসেবে দেখায়।ব্যাপারটা মানুষরা যেভাবে বুঝে নেয় তা হলো, আপনাকে যা দেখানো হয়, স্পর্শ করানো হয়, অনুভূতি দেয়া হয় আপনি তাই তাই মেনে নিবেন।আর সম্ভবত মীরা এজন্যই বেশ প্রশংসা করে চলেছে বাগানটির।কিন্তু আমার তো বমি আসছে।তাই বেশিক্ষণ না থেকে মীরাকে নিয়ে গেলাম এক বিশাল, গভীর, শান্ত এবং স্বছ জলের পুকুর পাড়ে।পূর্বের ব্যাখ্যা এখানেও টানা যায়, এটা সত্যিই এত সুন্দর কোন পুকুড় নয়।এটা দারুন ভয়ানক একটি পুকুর।পুকুরটির জল রক্তলাল।পুকুরের গভিরে রয়েছে অসংখ্য মানুষের মৃত এবং পঁচা লাশ।সময়-সময় এরা জেগে উঠে।যখন কোন মানুষের রক্তের গন্ধ পায়।কিন্তু এসব মীরার চোখে একদম ধরা পড়ছেনা।ছোট বাচ্চার মতো পানি ছিটাচ্ছে আমার চোখে-মুখে।
হঠাৎ করে আমার চোখ চলে গেল মীরার দিকে।আমি দেখতে পেলাম সে আমার দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি তার কিছু কথা পড়তে পারছিলাম,
“চেনা শহরে আর ফিরে যেতে চাই না সৌমিত্র।আমার এই অচেনা শহর ভালো লেগে গেছে যে”
মীরার চোখের এই চাহনি আর এই সহজবোধ্য কথা আমায় কখন যে তার ভালোবাসায় ফেলে দিয়েছে আমি টের পাইনি।একটা অসম ভালোবাসা।যার কোন ভবিষ্যৎ নেই।আর এই অসম ভালোবাসার গল্প চলছিলো।
একদিন . . . দুইদিন . . . তিনদিন . . .
সত্যি বলতে অনেকদিন পর আমার বুঝি ভালো সময় এসেছে।ভাবতেই ভালোলাগছিলো।
.
কিন্তু হঠাৎ তৃতীয়পক্ষের আবির্ভাব।একটা ছেলে।নাম তার বিবাদ।বিবাদ আমার নতুন কাস্টমার।কিন্তু যখন ওর মনের কথাগুলো পড়তে আরম্ভ করলাম ঠিক তখন আমার মাথাটা একটু ঘুরতে আরম্ভ করলো।কথাগুলো ছিলো,
“আমি জানি আপনি আপনার মনের কথাগুলো মীরাকে হয়তো সুন্দর করে বুঝাতে পারেন।মীরার প্রেম পাওয়া আপনার জন্য সহজ কারণ আপনি ওর মন পরতে পারেন।কিন্তু আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ।আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়।অনেক রাস্তা আমি ওর হাত ধরে এসেছি তাই বাকি রাস্তা একা ফিরে যাওয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।আমায় দয়া করুন।আমি মীরাকে অনেক ভালোবাসি।আমি মীরাকে সব দিতে পারবো কিন্তু আপনি চাইলেও তা দিতে পারবেন না।আর এটা আপনি ভালো করে জানেন”
.
একটা সময় দেখলাম মীরা বিবাদকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।কিন্তু মীরা আর পিছনে ফিরে যেতে যায় না।মীরা থাকতে চায় আমার সাথে।কিন্তু বিবাদ যা বলেছে তার কথাগুলো অযোক্তিক নয়।মীরাকে আমার বিদায় দিতে হবে।তা আমি চাই বা না চাই।তাই খুব সাবধানে একদিন মীরা আর বিবাদকে হোটেল থেকে বাহিরে নিয়ে আসলাম।পরিচিত এক টাক্সিকাবে উঠিয়ে দিলাম তাদের।বিদায় জানানোর পুর্বে মীরার দিকে একবার তাকালাম।ঠিক তখন যে কথা বুঝতে পেরেছিলাম, মনে হয় মীরা বলছে,
“সৌমিত্র একবার বল? একবার বল ভালোবাসি? আমি ফিরে যেতে চাই না।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে”
কিন্তু আমার হাতেও আর কোন উপায় ছিলোনা।আমি আমার রাজ্য কারো জন্য ধংস হতে দিতে পারিনা।কারো মন ভাঙ্গতে চাই না।চাই সবাই ভালো থাকুক।
মীরার বিদায়।
.
কিন্তু বিদায়ের পরপরই শুরু হলো আমার রাজ্যে ভাঙ্গন।বিশাল-বিশাল অট্টলিকা থেকে একটার পর একটা ইট ধসে পড়ছে।হোটেল থেকে বেরিয়ে এসেছে সব ভ্যাম্পায়ার আর ডেমনস্‘রা।ডিক্সো থেকে বেরিয়ে আসছে সব আত্মাগুলো।সবুজ বাগান এখন বদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছে।পুকুড়ের স্বচ্ছ জল হয়ে গেছে রক্তলাল।সেখান থেকে মৃত এবং পঁচা লাশগুলো একের পর এক বেড়িয়ে আসছে।ক্যামেরাটা পড়ে আছে কাঁকড়ার ছদ্মবেশে, ঠিক পুকুড়ের এক গভীর তলে।আমি আস্তে আস্তে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছি।আমার গায়ের সমস্ত রঙ উঠে যাচ্ছে।এরপর রক্ত, মাংস আর নাড়িভুঁড়ি সব আলাদা-আলাদা হয়ে যাচ্ছে।মাথাটা ফুলে উঠেছে।একটু পর বিস্ফোরণ ঘটবে বুঝতে পারছি।
.
শেষ এই মূহুর্তে কে যেন কানে কানে বলে গেল, “সৌমিত্র! সতর্কবাণীটা ভালো করে কি একবারও পড়নি?”
বুঝলাম আমার ধংস, মানে সেই সৌমিত্রের ধংসের কথা বলা হয়েছিলো, যে তার পরিচয় জানেনা।আর মীরা ছিলো সেই মেয়েটি।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×