somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমিও ছিলাম

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দূর্জয় আর প্রত্যয় এই দুজন একই দেখতে।উচ্চতা, গায়ের রঙ, চেহারা, স্বাস্থ্য এবং সর্বোপরি চেহারার গাঁথুনিও একই।দেখে মনে হতে পারে ওরা দুজন একই মায়ের জমজ দুই ভাই।কিন্তু তা নয়, বাস্তবে ওরা দুজন বন্ধু।দূর্জয়, প্রত্যয় এর চেয়ে তিনমাসের ছোট।কিন্তু এই “দূর্জয়” নামটার মধ্যে যেন রয়েছে প্রচন্ড জোশ এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার দুঃসাহস যেটা “প্রত্যয়” এর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না।প্রত্যয় খুব শান্ত-শিষ্ঠ।প্রত্যয় জীবনের খুঁটি অনেক শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছে।তাই প্রত্যয় এর অবস্থান থেকে ওকে সরানো কম কঠিন নয়।কেউ যদি চেষ্টাও করে তবে সে ভুল চেষ্টা করবে।সাতাশ বছর বয়সে আপনি যখন ভাবছেন জীবনে কিছু একটা করা উচিত তখন প্রত্যয় নিজস্ব গাড়ি-বাড়ি সহ ব্যাংক আকাউন্ট খুলে ফেলেছে।আর সেই আকাউন্টে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে।একটা টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক সে।অন্যদিকে দূর্জয় কে নিয়ে সবার প্রত্যাশার হিড়িক লেগে থাকলেও সে ছিটাফোঁটাও এখনো তার কিছুই করতে পারেনি।কিন্তু এই দুজন ব্যক্তিত্ত্বই কড়া সৃজনশীল ধরণের।একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই সাথে একই বিষয় নিয়ে দুজন অনার্স করেছে।কম্পিউটার সায়েন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম ক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।কিন্তু জীবন খেলায় দূর্জয় তার বন্ধু প্রত্যয় থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে।



হঠাৎ কোন এক সন্ধ্যায় প্রত্যয়ের বাড়িতে হইচই শুরু হয়ে গেল।কি যেন একটা সমস্যা হয়েছে।প্রত্যয়ের বাড়ির কাছে আমার বাড়ি হওয়ায় আমি দেরি না করে প্রত্যয়ের বাড়িতে খুব দ্রুত দৌড়ে গেলাম।বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখলাম প্রত্যয় আর দূর্জয় প্রচন্ড মারামারিতে ব্যস্ত।পাশে প্রত্যয়ের স্ত্রী দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দুজনের মধ্যে মারামারি দেখছে।কোন কথা বলছে না।সেদিন প্রথমবারের মতো আমি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের থামাতে গিয়ে দুজনকেই মারলাম।আমি এটা করতে বাধ্য হয়েছি এজন্য যে, আমার সেদিন চিনতেও সমস্যা হচ্ছিলো দুজনকে।দুজন একই বেশ ধারণ করে আছে।শার্ট-পান্ট থেকে শুরু করে চুলের ধরণও একই।পাশের একটা খোলা পানির ট্যাংকিতে এক এক করে দুজনকে চুবালাম।এখন দুজন মোটামুটি শান্ত।বাড়ির উঠানের দুই দিকে দুজন বসে আছে।প্রতিবেশীরা অনেক আগে থেকেই সিনেমার দৃশ্য হিসেবে সব দেখে যাচ্ছে।এখন তাদের ভীড় একটু কম।শুধু প্রত্যয়ের বৃদ্ধ মা একটু পর পর গোঙাচ্ছে।চারদিকটা শান্ত হয়ে যাবার পর আমি দেরি না করে জিঞাসা করলাম, “সমস্যা কি তোদের? ছোট বাচ্চাদের মতো মারামারি করছিস কেন?”
কেউ মুখ খুলছিলো না, একটু পর প্রত্যয়ের স্ত্রী মুখ খোলে।



“ইয়ে মানে প্রত্যয় তখন অফিসে ছিলো।”
“তারমানে দূর্জয় কি কোন ভুল করেছে কি? আমাকে বলুন? আমি ওদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু।”
“আপনি জানেন প্রত্যয় এবং দূর্জয় দেখতে একই রকম।প্রত্যয় অফিসে যাবার একঘন্টা পর দূর্জয় আসে আমাদের বাড়িতে।আর তারপর আমার রুমে প্রবেশ করে আমাকে বলে যে, আজ অফিস না করে তোমায় সময় দিতে চাই।আর তারপর . . .”
“কিন্তু আপনি তো অনেকবার দূর্জয়ের সাথেও কথা বলেছেন।আপনার তখন কোনভাবে মনে হয় নি যে এটা প্রত্যয় নয় দূর্জয়?”
“না, আমি তো এখনো বুঝতে পারছিনা যে, কোনটা কে!”
“যাইহোক, প্রত্যয় কখন ফিরেছিলো অফিস থেকে?”
“অল্পকিছু সময় পর।আর আমাদের ওমন ঘনিষ্ঠভাবে দেখার পর সে রেগে যায়।”
“আচ্ছা আচ্ছা! আমি বুঝতে পেরেছি।”
তখন মনে হচ্ছিলো আমি আজ শার্লক হোমস্ এর কোন এক কঠিন কেসের মধ্যে ফেঁসে গেছি।কে দূর্জয়? কে প্রত্যয়? আবার একজনের বউকে নিয়ে দুজন টানাটানি করছে।মহাবিপদে পড়লাম।কিন্তু এই মেয়েটার চরিত্র নিয়েও আমার সন্দেহ হচ্ছে।গত তিনবছর ধরে সংসার করছে কিন্তু নিজের স্বামী যে কে সেটা চিনতে পারছেনা।অদ্ভূত।গোয়েন্দাগীরি শুরু করে দিলাম।প্রথমে আমি তাদের বেডরুমে গেলাম।সেখান ওয়ারড্রপের একটা ড্রয়ার খুলতেই বেড়িয়ে এলো একটা ডায়েরী।খুব সম্ভবত এটা প্রত্যয়ের স্ত্রীর হবে।অনেকগুলো ফটো পেলাম সেখানে।কিন্তু সবখানেই মেয়েটা নিজেকে অন্যদের থেকে বেশ দুরত্ব বজায় রেখে বসে আছে অথবা দাঁড়িয়ে আছে।লেখাগুলো পড়লে বুঝা যায় যে তার স্বামীর প্রতি কত ভক্তি এবং ভালোবাসা রয়েছে।অন্তত একটা ভুল যদি ঐ দিন আমার চোখে পড়তো তবে সেদিন আমি শার্লক হোমস্ হয়ে যাবার একটা বিশাল বড় সম্ভাবনা ছিলো।যাইহোক, তা আর হয়নি।বেডরুম থেকে বাড়ির উঠানে আসলাম আবার।এখনো প্রত্যয় এবং দূর্জয় একই জায়গায় বসে আছে।



আমিই প্রথম কথা বলতে শুরু করলাম, “এই তোদের মধ্যে প্রত্যয় কে?” দুজনই চুপচাপ বসে আছে কোন প্রত্যুত্তর নেই।একটু রাগ হলো বটে কিন্তু আমার হাতেও কোন উপায় নেই।তাই গলাটা একটু উঁচু করলাম, “এই তোদের মধ্যে প্রত্যয় কে?” একসময় একজন বলে উঠল, “আমি দূর্জয়”, এটা বলেই সে মাথাটা নত করলো।প্রত্যয়ের স্ত্রীকে কিছু জিঞাসাবাদ করা শুরু করলাম,
“এই যে, মিস প্রত্যয়।আপনার কাকে চাই? দূর্জয় না কি প্রত্যয়কে?”
“আমি আমার স্বামী ছাড়া কাউকেই চাই না”-কাঁদতে কাঁদতে বললো মেয়েটি।
“ঠিক আছে, শেষকথা তাহলে এটাই রইলো।আর দূর্জয়।তুই আজ যা করেছিস সেটা ক্ষমার অযোগ্য।আমি আর কোন কথাই বাড়াতে চাই না।”-এটা বলেই প্রস্থান করতে চলেছি।হঠাৎ একটা সাইরেন বেজে উঠলো।তিনতলা বিশিষ্ট এই বাড়িটার উপর দুইটা হেলিকপ্টার ঘুরতে আরম্ভ করলো আর তারপর সেখান থেকে একের পর এক সেনা সদস্য নামতে শুরু করলো।আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, পারিবারিক এই ঝামেলার মধ্যে সেনা সদস্য আবার কি করবে! না কি দূর্জয় আরো কিছু ঝামেলা পাকিয়েছে! কিছুই ঠিকঠাক মেলাতে পারছিলাম না।এরপর কিছু ব্যাপার চোখের সামনে খুব দ্রুত ঘটে গেল।দূর্জয় আমার কাছে আসলো, আর লুকিয়ে আমার হাতে একটা পেনড্রাইভ ধরিয়ে দিলো।আমি বুঝলাম কিছু একটা ঝামেলা রয়েছে এই পেনড্রাইভে।তাই এক হাত দিয়ে ছুঁড়ে ফেললাম পেনড্রাইভটিকে একদম বাড়ির বাহিরে।কিন্তু কথায় আছে না, “যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে রাত হয়”।পেনড্রাইভটি থেকে ছিটকে পড়লো ভেতরতে থাকা মেমোরি কার্ডটি।আর এক সেনা সদস্যের সার্চ লাইটের আলো গিয়ে পড়লো মেমোরি কার্ডটির উপর।



ছয়মাস পর দূর্জয় জেল থেকে ছাড়া পেল।তাও আবার আরেকটি চমক নিয়ে।দূর্জয় স্কলারশীপ পেয়েছে।সে দেশের বাহিরে গিয়ে এখন পড়াশুনা করবে।এক সন্ধ্যায় আমরা তিনজন আবার একসাথে এক পরিচিত কফিশপে বসলাম।কিন্তু তখন পর্যন্ত আমার প্রশ্ন ছিলো একটাই যে, ঐ মেমোরি কার্ডে এমন কি ছিলো?
আমি পৌঁছাবার আগেই বাকি দুজন সেখানে উপস্থিত।প্রত্যয় আজ তার স্ত্রী কেও নিয়ে এসেছে।সবমিলিয়ে তিনজন।ভারি খোশগল্প চলছিলো তাদের মধ্যে।বাহ্! মানুষের জীবন কি অদ্ভূত।প্রত্যয় আর দূর্জয়ের মধ্যে এখন আর কোন বিষয় নিয়ে একদম ঝামেলা নেই।মনে হয় একে অপরকে মাফ করে দিয়েছে তারা।যাইহোক, আমি আর সেসবে নাক গলালাম না।কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে শুধু দূর্জয়কে একটা প্রশ্ন করলাম, “আচ্ছা।ঐ মেমোরি কার্ডে এমন কি ছিলো?” ভাবছিলাম কোন তথ্য হবে হয়তো কিন্তু দূর্জয় যা বললো আমি একদম চমকে গেলাম,
“বন্ধু ঐটা শুধু একটা মেমোরি কার্ড ছিলো না।একটা বিস্ফোরক ছিলো, সহজকথায়-একটা বোম ছিলো।শুনতে অবাক লাগছে তাই না? বুঝিয়ে বলছি, যখনই এই মেমোরি কার্ড কোন কম্পিউটারে ইনপুট করা হবে ঠিক তখনই কিছু ডাটা সরাসরি ইনস্টল হবে কম্পিউটারের দেয়া কোন রকমের অনুমতি গ্রহণ ছাড়াই।এরপর মাত্র পাঁচমিনিটের মধ্যে সেই কম্পিউটারটি বিস্ফোরিত হবে।এই বিস্ফোরণ কম করে হলেও পাশের পাঁচটি দশতলা বিল্ডিংকে একেবারে বালির স্তুপ বানিয়ে দেবে।এর সাথে ওয়াই-ফাই একটা এক্সট্রা কানেক্টইর লাগালে আশে-পাশের সব কম্পিউটার বিস্ফোরিত হবে যা আনুমানিক পঞ্চাশ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ধূলায় মিশে দিতে সক্ষম।”
আমি শুধু হা… করে কথাগুলো শুনছিলাম।কিছু কথা বুঝলাম আর কিছু মাথার উপর দিয়ে গেল।
“কবে যাচ্ছিস?”
“আগামীকাল।”
“নিজের যত্ন নিস।আর অনেক ভালো থাকিস।”
“ধন্যবাদ বন্ধু।আমি দ্রুত ফিরবো, ভাবিস না।আমি এখন উঠি।”



দূর্জয় উঠতেই প্রত্যয় তাকে পিছন থেকে ডাক দিলো, “প্রত্যয় রাগ করিস না দোস্ত।ছয়লাখ টাকা আমি নিয়ে কি করবো বল? তোর স্কলারশীপের টাকা তাই ঐ টাকাগুলো তোর ব্যাগে ভরে দিয়েছি।সামনের সময়ে তোর কাজে লাগবে।”
“এটা নিয়ে মারামারি কি আবার হবে দূর্জয়?”
“এই দোস্ত! যাবার সময় আর রাগ করিস না।”
“রাগ! সেটা আবার তোর উপর! চাকুরী থেকে আর কত পাবি? তার উপর একটা সংসার আমার জন্য তোর কাঁধে পড়েছে।আর কত! আর কত করবি তুই আমার জন্য দূর্জয়?”
এরপর দুজন-দুজনকে বিদায় জানালো।আর আমি তখনো হা... করে সব শুনছি।মাথায় কিছুই ঢুকছে না,
“দূর্জয়।আমি কি তোদের বন্ধু না?”
“তুই তো সব করলি আমাদের হয়ে।”
“মানে?”
“সবার কাছে তুই প্রমাণ করে দিয়েছিস যে, আমি প্রত্যয় আর আমাদের ছেড়ে একটু সময়ের জন্য অন্যদেশে যে চলে গেল সে দূর্জয়।এটাই বা কম কীসে?”
এরপর কফির কাপে আবার মারামারি হলো দূর্জয়ের সাথে।খানিকবাদে আবার হাসির শব্দ।সত্যি বলতে কি! আমিও ছিলাম তো!
না কি ছিলাম না?

ছবি কৃতিত্বঃ গোগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×