somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক এবং নাট্য পরিচালক সহ - এই বহুমুখী পেশার সাথে জড়িত থাকলেও, আমার মূল পরিচয় একজন গল্পকার।

LUST Stories!!! এটা কি কোনো মুভি না কি সফট্ পর্ণ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





আই.এম.ডি.বি রেটিং ৬.৭/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ৫/১০
অভিনয়ে ছিলেনঃ Kiara Advani, Bhumi Pednekar, Radhika Apte, Neha Dhupia, Manisha Koirala, Vicky Kaushal, Akash Thosar & many more.

গল্প-০১
পরিচালনায় ছিলেনঃ অনুরাগ কাশ্যাপ

প্রথম গল্পে আমরা একজন শিক্ষিকাকে দেখতে পাই।এই গল্পে শিক্ষিকার সাথে একটা সেক্সুয়্যাল সম্পর্ক আছে তার ছাত্রের।প্রথমে তার বিয়ে হয়েছিলো মেহের নামে এক ছেলের সাথে।তিনি বয়সে ১২ বছরের বড় ছিলেন।কিন্তু মেহের মোটেই খুব ভালো চরিত্রের মানুষ ছিলেন না।কারণ, গল্পের প্রথমেই এই গল্পের নায়িকা বলছে, “মেহের তখন অনেকে মেয়েদের সাথে ডেট করতো”।মানে মেহেরের অনেক মেয়ের সাথেই শারীরিক সম্পর্ক আছে।গল্পে মেহের তার স্ত্রীকে সাজেস্ট করে, দেখো নিজের জীবনটা নিজে একবার এক্সামিন করে দেখা দরকার।কিন্তু তার স্ত্রী এখানে মহাভারত কেনো টেনেছে আমি বুঝিনি।
আমার তো মনে হয়েছে, এই শিক্ষিকা মানে গল্পের নায়িকা বেশ কনফিউজড।কারণ তার মতে, একজন পুরুষের কাছে আমি সব পাবো কি করে? ঠিক যেমন, অ্যাপল ষ্টোর এবং গোগল প্লে ষ্টোরের কম্বিনেশনের কিছু তো পাওয়া সম্ভব নয়! যে কোন একটা বেছে নিতে হয়।এখন সব ফ্লেভার এক জীবনে কি করে পাওয়া যাবে! মানে আপনি রাতেও ঘুমাবেন না আবার ভোরের সূর্যোদয়ও চোখ মেলে দেখবেন! বাহ্!
সুতরাং সে আরো একটা সেক্সুয়্যাল সম্পর্কে যায় তার-ই একজন ছাত্র তেজাসের সাথে।কিন্তু চারপাশের বিভিন্ন সমালোচনার জন্য ম্যাডাম বেশ দুশ্চিন্তায় পরে যায়।তিনি কিছু বিষয়ে সিউর হতে চান।যেমন তেজাসের বয়েস ঠিক আছে কিনা।মানে এ্যাডাল্ট কিনা! এজন্য ফোনকল রেকর্ড করেন বা স্বীকারোক্তি নেন যে, যা কিছু হয়েছে সব কন্সেনসুয়্যাল(সম্মতিসূচক) ছিলো।এখন তেজাসের একটা গার্লফ্রেন্ডও আছে।ওর নাম নাতাশা।আবার ম্যাডামের একজন স্যারও আছে উনার নাম নীরাজ, ইনি মনোগামী।তাহলে ম্যাডাম বলছে, আমার যদি দুজনের সাথেই সম্পর্ক থাকে তাহলে সমস্যা কি! (কিন্তু দর্শকদের একটু খটকা লাগছিলো ম্যাডাম)।প্রথমে মনে হয়েছে ম্যাডাম বেশ সহনশীল এবং মোটেই পজেসিভ নয়।কিন্তু পরে তেজাসের সাথে তার আচরণ ছিলো অনেক বেশি পজেসিভ এবং নাতাশাকে তেজাসের সাথে সে একদম দেখতে পারতো না।অন্যদিকে তেজাস একদম পাপ্পিটের মত আচরণ করছে।ঠিক এমন লেগেছে, তেজাস নাতাশাকে পেলে সুখী কিন্তু তেজাস যদি ম্যাডামকে পায় তাহলে আরো বেশি খুশী।এবং এতে তেজাস মোটেই পজেসিভ নয়।ম্যাডাম আবার বলছেন, কেউ কারো প্রতি অনেস্ট নয় এমনকি তার বাবা-মা ও একে অপরের প্রতি অনেস্ট ছিলেন না।কিন্তু এরপরেও ম্যাডামের অপরাধবোধ কাজ করছিলো।এবং তিনি সেটা এক্সপ্লোর করতে চেয়েছিলেন।দেখলাম অনেক কান্নাকাটি করলেন।এখন তিনি শুধু অনেস্টি খুঁজছেন তেজাসের কাছে।কিন্তু কেন? আপনি তো নিজেই বললেন অনেস্টি মানে চুতিয়াপনা।অথচ তেজাস শেষ পর্যন্ত এটা বুঝে উঠতে অক্ষম হয়েছে আসলে ম্যাডাম চান কি?

তাহলে প্রশ্ন হলোঃ
● যদি তেজাসকে আপনার দরকার না-ই হয়, তাহলে তেজাসের মধ্যে অনেস্টি খুঁজছেন কেন? এটা কি একটা পরিক্ষামূলক সম্পর্ক ছিলো?
● ম্যাডাম আরো দুই-একটা ছেলের সাথে নিজেকে নিয়ে এক্সামিন করে দেখলেন না কেন?
● আমরা দর্শক।আমরা এখানে কি পেলাম? মানে আমাদের এখানে কোন রোল মডেল আছে কি! যাকে আমরা অনুসরণ করতে পারি।
● গল্প শেষে দর্শক কি ম্যাসেজটা পেলো? মেহের, তেজাস না কি নীরাজ? অথবা এদের কেউ না।তাহলে ম্যাডাম কি পুনরায় পরীক্ষা দিতে বসবেন! ওহ নো!


গল্প-২
পরিচালনায় ছিলেনঃ জয়া আক্তার

অনুমানিক ২৪সেকেন্ডের ইন্টারকোর্সের দৃশ্য ছিলো এই গল্পের শুরুতে।যা দেখে অনেকের লোমকূশ দাঁড়িয়ে গেছে।গল্পের নায়িকা একজন হোমমেইড।আর কর্তা একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।এই গল্পটা বেশ সোজাসাপ্টা।এবং ম্যাসেজটা বেশ পরিষ্কার।আর তা হলো,
“নারী তুমি সাবধান।তুমি আবিউজ হচ্ছো প্রতিনিয়ত।”
কিন্তু কেউ যখন তার কর্তার বাড়িকে নিজের সংসার মনে করে বসেন তাহলে তো সমস্যা।দিনশেষে কিছু মেয়ে তাদের নিজের আসল পরিচয় ভুলে যায় কেন?
জয়া আক্তার জ্বী, নারীবাদি ব্যাপারটা থেকে যদি একটু বের হই তাহলে আমি সব দোষ দিব এই গল্পের নায়িকাকে।অন্যর বিছানাকে নিজের বিছানা মনে করতে গেলেন কেন?
দিনশেষে একটু মিষ্টি মুখ।এই দৃশ্য দর্শকদের হৃদয়ে একটু সিম্পাথি জাগালেও বিষয়টি খুব বেশি নাড়া দেয়নি কারো মনে বলে আমার বিশ্বাস।সবাই মজা লুটেছে বলে আমার মনে হয়েছে।তবে এই গল্পের অন্য একটা আঙ্গেল আছে।আর তা হলো, ঠিকাছে আমি হোমমেইড! তাই বলে কি আমার স্বপ্ন দেখা নিষিদ্ধ না কি!
না একদমই নয়।কিন্তু তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখুন, যে আপনাকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে।



তাহলে প্রশ্ন হলোঃ
● আপনার এই মোহ কি পরবর্তী কোন ব্যাচেলরের ঘরেও খাটাবেন? যেহেতু মুভির নাম-ই “মোহের গল্পগুলো”।
● মজা তো দুজনেই তুললেন।আবার মিষ্টিমুখও হলো।কিন্তু দর্শক কি পেলো? এটা কি স্রেফ একটা গল্প যা শুধু বলার জন্যই বলা!
● অনেক বুদ্ধিজীবি বলবে, আরে ভাই! এটা বর্তমান সোসাইটির একটা করুণ দৃশ্য।আমি একমত নই।এটা হলো মেয়েটার নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলাফল।কোন করুণ দৃশ্যও নয় আর কোন মোহও নয়।শুধু মজা।আমরা থুক্কু অন্তত আমি কিছুই পাইনি।আপনারা কিছু পেয়েছেন? মন্তব্যে জানাবেন।



গল্প-৩
পরিচালনায় ছিলেনঃ দীবাকর বানার্জী

সালমান এবং সুধীর কলেজে বন্ধু।গল্পটা তাদের প্রোফেশন্যাল লাইফ নিয়ে গড়ে উঠেছে।

ইউ ইউ আর “ইন”, দেন “ইন”
ইফ ইউ আর “আউট”, দেন “আউট”

এই মুভির বেস্ট গল্প ছিলো এইটা।মানে অন্য গল্পগুলোর সাথে তুলনামূলকভাবে এটিই বেস্ট মনে হয়েছে।একজন ভদ্রলোকের ভদ্রভাবে সমস্যার সমাধান করতে দেখলাম এবং একজন ভদ্রমহিলার নিঁখুতভাবে নিজের ভুল পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা।

আমার প্রশ্ন হলোঃ
● দীবাকর ব্যানার্জী সাহেব একটি সুন্দর পারিবারিক ক্র্যাইসিস আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।কিছু মানুষ কি দিনশেষে এমন কম্প্রোমাইজ করেই যাবে?
● সবচেয়ে দামী পার্ট হলো এই গল্পে ফ্রিডম।ফ্রিডম বস্তুটাকে আমরা যেভাবে ভাবি, আসলে কি বস্তুটা সেরকম? ফ্রিডম আসলে কি?



গল্প-৪
পরিচালনায় ছিলেনঃ কারণ জোহার

গল্পটা রেখা ম্যাডামকে নিয়ে শুরু হয়।বেশ হট এবং সিঙ্গেল এবং সবার জনপ্রিয়।এখানে মেঘা গল্পের নায়িকা।আমাদের সমাজে(ভারতীয় সমাজ) সেক্সুয়্যাল বিষয়গুলো এখনো অনেক ট্যাবু।গল্পে সমাজের দুইটা ক্লাস দেখানো হয়েছে।একটা কনজারভেটিভ আর অন্যটা এ্যান্টি।
গল্পের নায়ক, এই কাপুরুষ কখনো তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না।কিন্তু মেঘাকে অনেক ভালোবাসে সে।মানে এটা সেই রসকষহীন ভালোবাসা যেখানে সেক্স অনেক দূরের প্রশ্ন।
কিন্তু গল্প থেকেই আমরা জানতে পারি, মেয়েদের শুধু সন্তান প্রসব করা আর তাকে লালন-পালন করাই সবকিছু নয়।তাদের জীবনে সেক্সুয়্যাল প্লেযারেও দরকার আছে।এই বিষয়টিই মূলত এই গল্পের ম্যাসেজ।
তারপর রেখার কিছু অদ্ভূত কর্মকান্ড চোখে পড়ে, এই যেমন লাইব্রেরিতে মাস্টারবেশন করা।এটা দেখে মেঘা ইন্সপায়ারড্ এবং প্ল্যানমাফিক সেও ভাবে কাপুরুষ স্বামীকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না সুতরাং মাস্টারবেশন করাটা তার সাটিসফিকশনের জন্য খুব দরকার।পরবর্তী দৃশ্য বর্ণনা করার মত কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।কিন্তু গল্প শেষে পরিচালক সাহবে বুঝালেন, “না, ভালোবাসা ব্যাপারটা সবকিছুর উর্ধে।এমকি সেক্স সেখানে তেমন কিছুই না।”

আমার প্রশ্ন হলোঃ
● দিনশেষে নারীসমাজ কি ম্যাসেজ পেলো? তারা রেখা হবে? মুক্ত? না কি মেঘা হবে? যে যুক্ত কিন্তু গতানুগতিক ধারার বাহিরে গেলো না।
● তাহলে মেয়েদের বাচ্চা প্রসব করা আর তাদের লালন-পালন করাই সবকিছু না কি সেক্সুয়্যাল প্লেযারেরও দরকার আছে? আর যদি সেটা হয় তবে সেটা কার ভূমিকায়? রেখার?




সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×