নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, দেশে উদ্যোক্তা সহায়ক একটা পরিবেশ গড়ে তোলা, সদ্য উদ্যোক্তাদের পাশে দাড়ানো -এসব নানান বিষয় নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে আমরা নানান আলোচনা, কথাবার্তা এসব বলছি। এ নিয়ে একটি বড়সড় কার্যক্রম চালানোর কথা ভেবে আমরা এবারের গণিত অলিম্পিয়াডে এটিকে বাৎসরিক শ্লোগানে রূপ দেই। এই উৎসবের প্রতিটি ভ্যেনুতে আমরা একজন উদ্যোক্তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছি যিনি তার অভিজ্ঞতা আমাদের খুদেগণিতবিদদের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
উদ্যোক্তা বিষয়ক কিছু বিষয় নিয়ে আমি কিছু ভাবনা আমার ব্লগ আর ফেসবুকে শেয়ার করেছি। আমরা যারা এই নিয়ে কী করা যায় ভাবছি তাদের বড় অংশ আইটির সঙ্গে যুক্ত। কাজে আমরা আইটিকে প্রথম পছন্দ হিসাবে ধরেছি। আমার ধারণা, অন্য ক্ষেত্রের কয়েকজনকে আমরা সহসা আমাদের সঙ্গে পেয়ে যাবো।
এর মধ্যে আইটি আউটসোর্সিং নিয়ে সেমিনার, আলোচনা এসব করে আমরা ১৫-১৬ তারিখে (মানে গতকাল আর আজকে) কুষ্টিয়াতে একটি কর্মশালা করছি যেখানে ৩৮ জন আগ্রহী তরুন-তরুনী সম্ভাবনার একটি নতুন পথের অনুসন্ধান করছে। আমরা এ নিয়ে কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানও করে ফেলেছি।
যদিও একটি সিসটেমেটিক ওয়েতে কাজের কোন ধারা আমরা এখনো বের করতে পারি নাই। তবে করে ফেলবো। কারণ, পথে নামলেই কেবল পথের নিশানা পাওয়া যায়।
আমার মনে হয়েছে বোধহয় প্রস্তুতি পর্বের প্রথম অংশ শেষ হয়েছে। এখন একটা আনুষ্ঠানিক ইশতেহার লেখা যায়। তো, সেটা লিখেছি। গত বুধবার, বাংলা বছরের শেষ দিনে প্রথম আলোর স্বপ্ন নিয়ে পাতায় সেটি প্রকাশিত হয়েছে । এর ফলশ্রুতিতে ফেসবুকে আমরা চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব নামে একটি গ্রুপও বানিয়েছি যা কীনা আমাদের ফেসবুকে প্ল্যাটফরম হবে।
এখন আমরা একটি ওয়েবসাইট, একটি মেইলিং লিস্ট বা ফোরাম আর কয়েকটি ১ ফর্মা পুস্তিকার পরিকল্পনা করছি। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু প্রোগ্রাম। একটি নিয়মিত টিভি অনুষ্ঠানেরও ইচ্ছে আছে। কাউকে পেলে একটি সিস্টেম্যাটিক স্টাডি করার চিন্তাও আছে।
তবে, কোনটার জন্য কোনটাকে আটকে রাখবো না।
কয়েকজন মিলে প্রস্তাব দিয়েছে একটি স্টাডি সার্কেল করার। আমি বলেছি যে যা করতে চায়, কোথাও কোন বাধা নাই। করলেই হবে। এটি খুবই ভাল প্রস্তাব কারণ দ্রুত কিছু পড়ালেখা করতে হবে সবার। না হলে, অনেক কিছু ‘চাকা আবিস্কারের’ মতো হয়ে যাবে।
আপাতত এইটুকু। আশা করছি গ্রুপটা সরগরম হয়ে উঠলে বাকীরাও আপডেট দিতে পারবে।
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।