somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য

১৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর প্রায় সবদেশে তরুন এবং নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য হরেক কিসিমের প্রোগ্রাম থাকে। কয়েকটি পর্যায়ে সেগুলোকে ভাগ করা যায়। একটি হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তোলা। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই এন্টারপ্রিনিয়রশীপের কোর্স থাকে, কখনো ক্রেডিট কখনো নন-ক্রেডিট। থাকে রিসার্চ গ্রুপ যারা কিনা উৎসাহ দেয় নবীনদের কোম্পানি বানাতে। ভার্সিটিগুলো তাদের সফল এলামনাইদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসে, অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে। এছাড়া থাকে এন্টারপ্রিনিয়র ক্লাব।
২য় পর্যায়ে থাকে স্টার্টআপদের সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম। এর বড় অংশ জুড়ে আছেন এনজেল আর ভেঞ্চার বিনিয়োগকারীরা, আছে ইনকিউবেটরগুলো। ফলে দুটো কাজ হয় সহজে। একটি হল টাকার যোগান আর একটি হল ব্যবসা বোঝা। জানা কথা যে, সব উদ্যোক্তারা বিজনেজ স্কুল থেকে আসবে না। ফলে, তাদের বিজনেজ ম্যানেজমেন্টে ঘাটতি থাকে। ঠেকে ঠেক শিখতে হয়। অনেক উদ্যোক্তা বিনিয়োগকারী আর মালিকের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। আবার কতগুলো লিগাল আর টেকনিক্যাল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। আো একটি বড় ব্যাপার থাকে সেটি হলো নতুন উদ্যোক্তারা যারা সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে নিজ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী হয়েছে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ নানানভাবে হয়। অনেকগুলো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ফলে নিয়মিত কর্মকাণ্ড চলতেই থাকে। সিইওদের প্রশিক্ষণগুলো মোটামুটি রিট্রিট টাইপের। মানে ২/৩ দিনের জন্য কয়েকজন ফ্যাসিলিটেটরের সঙ্গে সময় কাটানো, কাজ কর্ম থেকে দূরে গিয়ে। আমাদের দেশেও হয় শুনছি, তবে নিয়মিত হয় না।
সেখানে ফ্যাসিলিটেটররা ছাড়াও যেহেতু ৪০/৫০ জন সিইও থাকেন এবং তারা আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পান কাজে দেখা যায় নিজেদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে, অভিজ্ঞতা বিনিময় হয় এবং নিজেরা নিজেদের দুর্বলতা ও সবলতা সম্পর্কে একটি আত্ম উপলব্ধিতে পৌছাতে পারে।

উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং নবীন উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য বছর খানেক ধরে চেষ্টা করছি। এর মধ্যে একটি হলো চাকরি খুজবো না চাকরি দেবো নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। ফেসবুক কেন্দ্রিক এই গ্রুপের কর্মকাণ্ড এখন ফেসবুক থেকে মাঠেও গড়িয়েছে।
বিভিন্ন সংষ্থা যারা উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। যার এক পর্যায়ে জুন মাসের শুরুতে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিষয়টি বলেছি। তারা বলেছেন আমরা কী চাই সেটা ঠিক করতে পারলে ওনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। তো আমি ভেবেছি দুই-একজন সফল মাল্টিন্যাশনাল উদ্যোক্তা এবং ফ্যাসিলিটেটরের সঙ্গে আমাদের স্টার্টআপ সিইওদের একটি রিট্রিট করা যায় কীনা।
ফিরেগিয়ে তারা জানিয়েছেন তারা এমন একটি আয়োজন করতে রাজী আছেন এবং এর খরচের একটা অংশও বহন করবেন। তবে, কী করম ফ্যাসিলিটেটর লাগবে সেটার জন্য আগ্রহীদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ওনারা চান আগ্রহী স্টাটআপের সিইওরা দুই স্লাইডের একটি প্রেজেন্টেশন বানাবেন। যার মধ্যে একটিতে থাকবে তিনি এখন কী করেন তার একটি বর্ণনা। মানে এক স্লাইডে নিজের সব কথা। আর একটি স্লাইডে থাকবে তিনি কী ধরণের প্রশিক্ষণ চান তার কথা। সেখান থেকে তারা তাদের চ্যানেলের কিছু ফ্যাসিলিটেটর ঠিক করতে পারবেন।

এই কথাগুলো আমি কয়েকদিন আগে আমার ফেসবুকের প্রোফাইলে শেয়ার করেছি। অনেক সিইএ এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে কয়েকজন তাদের স্লাইড আমার কাছে পাঠিয়েছেনও।
আজ আমার মনে হল, আমি আমার ব্লগে ব্যাপারটা শেয়ার করিনি। ফলে, হয়তো এমন হতে পারে অনেক উদ্যোক্তার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য পুরু ব্যাপারটা শেয়ার করলাম এখানে।
উল্লেখ্য যে, স্টার্টআপ বলতে আমরা ৩/৫ বছরের বা গতকঅর জন্ম নিয়েছে এমন কোম্পানিগুলোকে বোঝাচ্ছি। আমাদের ইচ্ছে এখানে নবীনরাই থাকুক। অফেক্ষাকৃত প্রবীণ উদ্যোক্তারা রিট্রিটে হয়তো সেভাবে মানিয়ে নিতে নাও পারেন।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে রিট্রিটের আয়োজন ছাড়াও আমরা এরকম আরো কয়েকটি সেশনের আয়োজন করবো যেখানে দেশের কিছু ব্যক্তিত্ব তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।এর মধ্যে ফিউচার লিডারর্সের কাজী ভাই-এর সঙ্গে আমাদের একটি সমঝোতাও হয়েছে। এর আওতায় আমরা কয়েকটি সেশনের পরিকল্পনাও করছি। হয়তো সেগুলো আধাবেলা বা পুরো বেলার হবে।
কাজে যাদের এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে এবং যারা কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা কেবল তারাই এই প্রশিক্ষণ কাম আড্ডাগুলোতে যোগ দিতে পারবেন। আগ্রহীরা নিজের সম্পর্কে এবং কী বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন অনুভব করেন সেটি দুইটি স্লাইডে আমাকে ইমেইল ([email protected]) করে পাঠাতে পারবেন।

তবে, শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক নিয়ে রিট্রিটটা করতে পারবো কিনা সেটা আমি এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ আমাদের এখানে অনেকে আগ্রহ দেখান কিন্তু হোমওয়ার্ক করতে চান না। কাজে মেইল করার সময় এই অনিশ্চয়তাটুকু যেন মনে থাকে। আর এই কর্মকান্ডগুলো মনে হয় ঈদের আগে করা সম্ভব হবে না।
আগ্রহীদের আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগে স্বাগত জানাই।

সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×