somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেপাল শিক্ষা ভ্রমণ-২:বিষ্ণু দি, মাদারস গ্রুপ এবং নেপালী নারীবাদী প্রতিরোধের উপাখ্যান

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(বিষ্ণু দি)
বিষ্ণু দি'র সাথে দেখা করার লোভটা তৈরি হয় কাঠমান্ডু পৌছাবার পরই। নানা আলোচনা-গল্পে একই নামের পুনপৌনিক উচ্চারণ দেখে ভেতরে ভেতরে সে আগ্রহ দানাবাঁধতে থাকে। ডালপালা গজাতে থাকে আরও দ্রুত গতিতে। ভিনে ও শ্বেতা আপার কাছে আগেই শুনেছি যে, বিষ্ণু দি পোখারায় থাকেন। নেপালকে হিমালয় কন্যা বলা হলে পোখারা সম্ভবত সে হিমালয় কন্যার হৃদয়-প্রাণ। যেন প্রকৃতি অকৃপনভাবে ঢেলে দিয়েছে তার সমস্ত সৌন্দর্য। কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৭-৮ ঘন্টার বাসযাত্রা দুরত্বের পর্যটন শহর পোখারা যাবার পথে আঁকাবাঁকা, উচু-নিচু পাহাড়ী শ্যমলিমা আর দূর হিমালয়ের দুধশুভ্রু আভা থেকে বিচ্ছুরিত সৌন্দর্য উপভোগ এর সাথে একটি বাড়তি আনন্দ হিসেবে যুক্ত হয় বিষ্ণু দির সাথে সাক্ষাতের সম্ভাবনা।
২১ ডিসেম্বর খুব সকালে হোটেল থেকে আমরা রওয়ানা দেই কাঁচকিপুর কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার এর উদ্দেশ্যে। তথাকাথিত দাতাসম্প্রদায় নির্ভরশীলতা মুক্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে স্থানীয় জনঅংশগ্রহণে সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার এক অনন্য উদাহরণ হচ্ছে নেপালের কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারগুলো (পরের কোন কিস্তিতে শুধু কমিউনিটি সার্ভিস এর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার আগ্রহ থাকলো)। বিষ্ণু দি ও তার সহকর্মীরা আগে থেকেই ওখানে অপেক্ষা করছিলেন আমাদের জন্য। নেপালী রীতি আর ঐতিহ্য অনুযায়ী ফুল আর দূর হিমালয়ের যে দৃশ্যমান রঙছটা সারাক্ষণ টানে নেপালীদের ঠিক সে রঙের উত্তরীয় হাতে। হিমশীতল সকালে হাতে ফুল আর উত্তরীয় পরে আমরা পুরো টিম আরেকবার নেপালী অভ্যর্থনার মুগ্ধতা নিয়ে সোজা চলে যাই কমিউনিটি সেন্টারের সভা কক্ষে। সভাকক্ষ মানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বা বিভাগীয় শহরের আলোঝলমল চাকচিক্যে ভরা কোন সম্মেলন কক্ষ নয়। সে অর্থে ওখানে কোন আভিজাত্যের ছোঁয়া নেই, ফ্যশানের বালাই নেই, তবু যেন রয়েছে কর্মনৈপুন্য আর অঙ্গীকারের গভীরতা। ঐ সভা কক্ষেই আমরা প্রকৃত পক্ষে বুঝতে পারি বহুল উচ্চারিত বিষ্ণু দি নামের মানুষটি কে। যার পুরো নাম বিষ্ণু মায়া। নারী-পুরুষের সমতার লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যুক্ত নেপালীদের, বিশেষ করে পোখরাবসীর এখন যিনি এজমালী দিদি। তিনি করজোড় করা প্রণাম আর মিষ্টি হাসির উচ্ছলতায় আমাদের আরেকবার অভিনন্দন জানান। নেপালী ভাষায় উচচারিত সে অভিনন্দন বার্তার ইংরেজি অনুবাদের আগেই আমাদের মন-হৃদয়কে স্পর্শ করে। আগ্রহের মাত্রা শতভাগ সক্রিয় করে আমরা গোগ্রাসে গিলতে থাকি নেপালী নারীদের ঘুরে দাঁড়াবার গল্প। বিষ্ণুদিরই মুখে।

( বিষ্ণু দি, তাঁর সহকর্মীদের সাথে আমাদের টিম)
'প্রায় দশ বছর আগের কথা। যখন আমরা কাজ শুরু করি। তখন নেপালী পুলিশ বড় ধরনের ইমেজ সংকটে ভুগছিল। মানুষের কোন আস্থা ছিল না পুলিশের প্রতি। বড় ধরনের অপরাধের শিকার হয়েও মানুষ থানায় যেতে চাইতো না। পুলিশের ইমেজ এত খারাপ ছিল যে, রাতে শিশুরা ঘুমাতে না চাইলে বাবা-মা ভয় দেখাবার জন্য বলতো পুলিশ ডাকবো। পোখারা নেপালের প্রধান পর্যটন শহর। বছর জুড়েই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। ফলে নানা সামাজিক অপরাধ বেড়েই চলছিল। বিশেষ করে রাতের বেলা। তার ওপর আমাদের এলাকার পাশেই একটি বাসস্ট্যান্ড থাকবার কারণে অপরাধের হার ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। আমি তখন মাদারস গ্রুপের সদস্য। আমরা আমাদের দলে বসে সমস্যাটি নিয়ে আলাপ করলাম। সম্ভাব্য সমাধানের উপায় খুঁজে বার করার চেষ্টা করলাম। তারপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ঠিক এ সময় পুলিশ অথবা পুরুষের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বরং আমাদের কিছু করতে হবে। ঠিক করলাম যে, আমরা নারীরাই মিলে রাতে রাস্তায় টহল দেব। শুরু হল নেপালী নারীদের রাতে টহল দেয়ার ইতিহাস। একটানা পনের মাস চললো আমাদের এ রাত্রিকালীন টহল'
'এক সময় জেলা পুলিশ বিভাগ কমিউনিনিটির অংশগ্রহণে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে এমন সংগঠন খুঁজছিল। আমরা নারীরা রাত্রিকালীন টহল শুরু করার আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। সুতরাং তারা আমাদের সম্পর্কে জানতো। পুলিশ বুঝতে পারলো যে মাদারস গ্রুপ ইতোমধ্যে খুব ভাল কাজ করছে। কমিউনিটিতে আমাদের ভাল গ্রহণযোগ্যতা আছে। তখন পুলিশ আমাদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসে। বলে, আসুন আমরা একসাথে কাজ শুরু করি। এভাবেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক পুলিশিং প্রক্রিয়ায় পুলিশ-কমিউিনিটির, বিশের করে নারী সংগঠন ও পুলিশের যৌথ অংশীদারিত্ব', বলেন বিষ্ণু দি।

জিয়া ভাই (আমার সহকর্মী), বিষ্ণু দি এবং আমি
দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মাশ্রিত সনাতন পুরুষতন্ত্রে যেখানে নারীর গতিশীলতা গৃহপালিত প্রাণীর চেয়েও সীমাবদ্ধ, কোথাও কোথাও যেখানে দিনের বেলায়ও নারীর ঘরের বাইরে যাওয়া প্রত্যাশিত আচরণের মধ্যে পড়ে না, বরং ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ হিসেবে ‘গৃহিনীপনা’ই যেখানে স্বর্গের প্রতিরূপে (ইমেজে) মহিমান্বিত, সে ভৌগলিক সীমারেখায় বেড়ে উঠা কিছু নারী, তাও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিবেচনায় কেন্দ্রে নয়, বরং প্রান্তেই যাদের অবস্থান, তারা ঘরের বাইরে এসেছেন, সামাজিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের অভিপ্রায়ে, স্বপ্রণোদিত দায়িত্বশীলতার অনুভূতি থেকে-এ রকম গল্প আমাদের তন্ময় করে তোলে। পুরুষতন্ত্র রচিত নারী ও পুরুষের সামাজিক গতিশীলতার তথাকথিত 'অন্দর-বাহির', 'দিবা-রাত্রি' আর 'শুচি-অশুচি' ধারণার ফলিত ব্যাকরণের গালে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে নেপালী নারীদের সাহসের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে আসে আমাদের মন। নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্ন-উত্তরের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়।

বিষ্ণু দির সাথে আমাদের টিমের কয়েকজন
বিষ্ণু দি বলতে থাকেন, 'শুরুটা সহজ ছিল না। বরং অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমাদের বসার জায়গা ছিল না। অফিস ছিল না। আমরা আমার বাসায় বসে সভা করতাম। তখন ওটাই ছিল অফিস। মানুষ আমাদের পুলিশের সোর্স মনে করতো। আমাদের প্রতি আস্থার অভাব ছিল। আমরা মানুষকে অনুনয়-বিনয় করে বলেছি যে, আগে দেখুন, আমরা কি করছি। আর এখন মানুষ আমাদের সদস্য হওয়ার জন্য পাগল। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের ক্রমাগত লেগে থাকা। উদ্দেশ্যের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন অঙ্গীকারের কারণে'।

বিষ্ণু দির সাথে বাংলাদেশ পুলিশের একজন নারী সদস্য
মাদারস গ্রুপ মূলত: নেপালী নারীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে ঠিক বাংলাদেশী আদলের কোন উন্নয়ন সংস্থা নয়। বিগত শতকের আশির দশকে গ্রামীণ সমাজে নারীরা সংগঠিত হতে থাকে এ নামের প্লাটফরমে। শুরুটা হয়েছিল গুরাং এবং মাগার কমিউনিটিতে। যেখানে প্রায় সকল বয়স্ক পুরুষ নেপাল, ভারত এবং যুক্তরাজ্যে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের কারণে বাড়ির বাইরে চলে গিয়েছিল। প্রথমে এসব নারীরা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিবস-অনুষ্ঠান উদযাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে ছিল তাদের কার্যক্রম। তারপর আস্তে আস্তে তাদের কর্মকান্ড অন্যান্য সামাজিক-অর্থনৈতিক ও নির্দলীয় রাজনৈতিক পরিধিতে বিস্তৃত হতে থাকে (সূত্র: ব্লগস্পট.কম)। তারই ধারাবাহিকতায় এখন মাদারস গ্রুপ নেপালে বিপুল জনপ্রিয় পরিচিত একটি নাম। অপরধাধীদের কাছে আতংকেরও জায়গা এটি। কাঁচকি পুলিশ স্টেশনে আরেকটি আলোচনায় পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে মাদারস গ্রুপের প্রসঙ্গ এসেছিল। পুলিশের সে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাদারস গ্রুপের শুধু ইতিবাচক ভূমিকার কথা বলেন নি, মুচকি হেসে জানিয়েছিলেন, পুলিশও মাদারস গ্রুপ সম্পর্কে খুব সচেতন। এমনকি আমরা ভয়ও পাই ওদের। কারণ কোন বিচ্যূতি ধরা পড়লে ওরা সম্মিলিতভাবে থানায় চলে আসে। প্রতিকার চায়। জবাবদিহিতা দাবি করে।


মাদারস গ্রুপ এবং বিষ্ণু দির সহকর্মীদের অসংখ্য সাফল্য রয়েছে। তার মধ্যে একটি উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে ভারতের যৌনপল্লী থেকে একজন নেপালী তরুনীর উদ্ধার। বিষ্ণু দি বলেন, ঐ সময় আমরা নেপালের ভারতীয় দূতাবাসে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করি। আমাদের চাপের মুখে ভারতীয় দূতাবাস সক্রিয় হতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। বিষ্ণু দি আরও জানান, এক সময় নেপালে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটলে মেয়েরা আক্ষরিক অর্থে স্বামীর বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বেরিয়ে আসতো। বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকাকালীন অর্জিত সম্পত্তিতে স্ত্রীর কোন অধিকার ছিল না। আমরা এ নিপীড়নমূলক ব্যবস্থাটা পাল্টে দিয়েছি। আমরা বলেছি, সম্পত্তি দু’জন মিলে অর্জন করেছে। সুতরাং বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটলে সম্পদের সমান-সমান ভাগ হতে হবে। আমাদের দাবি আর আন্দোলনের মুখে এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। নেপালী নারীদের জন্য আমরা এটি করতে পেরেছি।
কথায় কথায় বিষ্ণু দি আরও একধাপ এগিয়ে যান। নারী হিসেবে তার অনুভূতির সীমা স্বদেশ ছাড়িয়ে প্রসারিত হয় বাংলাদেশী নারীদের প্রতি। তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করবো এ ধরনের আইন এর জন্য তোমরাও কাজ শুরু করো। আমি, আমরা চাই যে, পারিবারিক সম্পত্তিতে বাংলাদেশী নারীদেরও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। আমার বিশ্বাস একদিন তোমরাও সফল হবে। কিন্তু তার জন্য অনেক ত্যাগ স্বিকার করতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে। কিন্তু ভয় পাবে না।
'এ ধরনের কাজের কারণে নিশ্চই বাড়তি চাপ বেড়েছে। পরিবার ও পরিবারের বাইরের কাজ- এ দু’টোর মধ্যে সমন্বয় করেন কীভাবে'- আমাদের এ রকম প্রশ্নের জবাবে বিষ্ণু দি খুব স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে বলেন, আমাদের কাজ বেড়ে গেছে এটি সত্যি। কিন্তু দু’টিই গুরুত্বপূর্ণ। দুটিই আমাদের কাজ। কোনটিকে ছেড়ে দেয়া যাবে না। আগে ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠলে এখন আরও আগে উঠি। কারণ কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিবারের সদস্যদেরও সক্রিয় সহযোগিতাও দরকার। যেমনটি আমি পেয়েছি আমার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে।
বিষ্ণু দি আমাদের নারী পুরুষের যৌথ প্রয়াস এর কথাও মনে করিয়ে দিতে ভুলেন না। বরং নারী-পুরুষের সম্মিলিত লড়াইটাই মূল কৌশল হওয়া উচিত বলে জোর দেন। বলেন, আমরা যদিও নারীরা মিলে শুরু করেছিলাম, কিন্তু এখন অনেক পুরুষ আমাদের সাথে কাজ করে। পুরুষ আমাদের শত্রু নয়, সহযোদ্ধা। এ সব সমমনা সহযোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের লড়াইয়ে শামিল করতে হবে। তাতে বরং পথচলা অনেক সহজ হবে। ঐক্যের জায়গাটা বিস্তৃত হবে।

বিষ্ণু দির পুরো আলোচনায় নারীবাদ শব্দটি একবারও উচ্চারিত হয়নি। হয়তো নিজেদের নারীবাদী দাবীও করেন না। এবং দিনযাপনে ধনতান্ত্রিক শ্রেণী ও ক্ষমতাকাঠামোর কেন্দ্রস্থিত অভিজাত নারীবাদের তারকা প্রতিনিধিও তিনি নন। অন্তত আমার তা মনে হয়নি। তবুও তাদের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে যেটুকু ধারণা পেয়েছি তাতে এ রকম একটা অনুসিদ্ধান্ত টানা যেতে পারে যে, নারীবাদী আন্দোলন বিকাশের গতি-প্রকৃতিতে গত কয়েক দশকে স্থান করে নেয়া এটি সে নারীবাদী প্রক্রিয়া, যা প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, লড়াই-এ পুরুষকে খারিজ করে নয়, বরং পুরুষদের মধ্য থেকে সমমনা খুজে বের করা, সহযোদ্ধা হিসেবে তাদের এক কাতারে শামিল করা এবং সম্মিলিতভাবে নারী-পুরুষের এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেয়।

মতবিনিময় শেষে আমরা পুরো টিম বিষ্ণু দির বাসায় যাই। তারই বিনয়ী নিমন্ত্রণে। ওখানেও নেপালী ঐতিহ্যরই প্রতিফলন দেখি। শাক, ভাত, মাছ, ডাল নেপালী থালায় পরিবেশন করা হয় আমাদের। অনেক হৃদ্যতার মিশেলে। নেপালী আতিথিয়তার উষ্ণতায় সিক্ত হয়ে আমরা যখন পরবর্তী গন্তব্য লেকাসাইড কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে বাসে চড়ে বসি, আমাদের মধ্যে তখনও চলতে থাকে বিষ্ণু দি ও মাদারস গ্রুপের গল্প। যে গল্পটা মনের কোনে এখনও বেজে চলছে। বাজুক না এ গল্পটা অনন্তকাল ধরে।

বিষ্ণু দির বাসার সামনে থেকে তোলা ফুলের ছবি
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:০৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×