somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজার ছেলে রাখাল ছেলের গল্প শেষ পর্ব

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পথে যেতে যেতে কাঞ্চনমালা লোকটির কাছে সব খুলে বললো। লোকটা কাঞ্চনমালার সব শুনে বললো আচ্ছা সব ঠিক হয়ে যাবে । সকলে রাজপ্রাসাদে গিয়ে নতুন রানিকে বললেন রানি মা রানি মা আজ আজ পিট কুড়িলর কুড়লির আর এই দিনে পিঠা বিলাতে হয় ।
আমি লালসূতা নীল সূতা দিয়া রাঙাইয়া দেই আপনি যেয়ে আঙিনায় আলপনায় দিয়া পিড়ি সাজাইয়া দেন ।ও দাসি মানুষদের আপনি যোগাড় করে দেন। রানী আললাদের সুরে বললেন তুমি কোথায় কাঞ্চনমালা আজ পিঠা বানাও ।তখন কাকনমালা আর কাঞ্চনমালা দুজনে মিলে পিঠে তৈরি করতে বসলেন ।

কাঞ্চনমালা অনেক ধরনের পিঠা তৈরি করলেন আঙিনায় অনেক ধরনের আলপনা আকিলেন । আর কাকনমালা তেমন কিছু করতে পারলেন না ।তখন সকলে মিলে কাকনমালাকে বললো চাকরানী চাকরানী থাকে আর রানী রানীই থাকে দেখ আমাদের রানী মা কত ধরনের আলপনা করছে কত রকমের পিঠা বানাইছে আর তুই সে তুলনায় কিছুই করতে পারিছ নাই । তোরে রানী হাতের বালা দিয়ে কিনেছে আর তুই রানী সেঁজে বসে আসিছ । ভালো চাইলে রাজমহল ছেড়ে পালিয়ে যা । কাকনমালা এইসব কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে তখন কাকান মালা জল্লাদকে ডাকদিয়ে বলে এদের সকলের মাথা কেঁটে ফেলা হোক তখন ঐ লোকটি মন্ত্র পড়িয়া সূতা দিলেন ছাড়িয়া সূতা গিয়া জল্লাদের পুরো শরীর পেচিয়ে ফেলে ।

কাঁকনমালা তা দেখে ব্যস্ত হয়ে যায় আর লোকদের ডাক দিয়া কয় কাঞ্চনমালা পাগল আনছে এই পাগলে সকলকে মেরে ফেলবে সকলে মিলে ওরে আটকাও আর রাজমহলের
দরজা বন্ধ করে দেও । লোকটি আবার কিছু সূতা মন্ত্র পড়িয়া ছেড়ে দিলেন সূতা গুলো বল হয়ে এবার কাকনমালার নাকে বসিল । তাই দেখে কাকন মালা ছটফট করিতে লাগলো ।

লোকটি রাজাকে সুস্থ করে তুলে । রাজা সুস্থ হয়ে চোখ খুলে প্রথমে দেখতে পেলো তার রাখাল বন্ধু তার পাশে দাড়িয়ে আছে রাজা ওঠে দাড়ালো এবং তার রাখাল বন্ধুর সাথে কোলাকুলি করলো । সে কি রাজা আর রাখালের কান্না দুই বন্ধু দুই বন্ধুর গলা ধরে ।

রাজা রাখালকে বললেন বন্ধু আমার ভুল হয়েগেছে তুমি আমায় ভুলবুঝ না তুমি আমায় ক্ষমা কর । তোমার মত ভাল একজন বন্ধু শতজনমেও আমি খুজে পাবো না ।
আজ হইতে তুমি আর রাখাল নও তুমি আমার মন্ত্রী । একবার তোমায় ছেড়ে দিয়ে অনেক কষ্ট পাইছি তোমায় আর ছাড়তে চাইনা । রাখাল বললো আচ্ছা ঠিক আছে বন্ধু আমিও তোমাকে ছেড়ে আর কোন দিন যাবো না ।

রাখাল রাজা আর বললেন বন্ধু তোমার সেই বাঁশিটি হারিয়ে ফেলেছি আমাকে আরেকটি বাঁশি দিতে হবে । রাজা রাখাল বন্ধুকে সোঁনার বাঁশি বানিয়ে দিলেন । এই দিকে কাকনমালা ছটফট করিতে করিতে মরিলেন । কাঞ্চনমালার দুঃখ গেলো ।

এখন রাখাল সারাদিন তার মন্ত্রীত কাজ করেন আর রাতে রাখাল আর রাজা দুজনে মিলে চাঁদের নিচে বসে মনের সুখে বাঁশি বাজায় আর শুনে ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×