আজ ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানানদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকসা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালীদের কণ্ঠ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত এবং নিকৃষ্টতম গণহত্যা শুরু করে। মোট কথা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারিদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অণুযায়ী ১৯৭১ সালে সে অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন অংশ এবং স্বশস্ত্র বাহিনীর যারা সামরিক শাসনকালে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জুগিয়েছে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। অপারেশনের সর্বোচ্চ সার্থকতার জন্য ধুর্ততা, চমকে দেয়া, প্রবঞ্চনা, এবং দ্রুতগতি ইত্যাদি বিষয়ের উপর জোড় দেয়া হয়। নির্বাধ এবং সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। সাধারণ জনবসতি এবং হিন্দু এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান এবং আক্রমণের কর্তৃত্বও প্রদান করা হয়[১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের গণহত্যা শুধু একটি রাতের হত্যাকান্ডই ছিলনা সেটা ছিল সারা বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক ও জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা।১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যার দিনটি জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিবসটি এবারই প্রথমবারের মত জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসাবে পালিত হবে। মধ্যরাত থেকেই নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
গত ১১ই মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫শে মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুযায়ী গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ৯ই ডিসেম্বর জেনোসাইড কনভেনশন গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বরকে জেনোসাইড ডে হিসেবে ঘোষণা দেন। কাজেই আমাদের কাছে সেই সুযোগ রয়েছে জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী আমরা ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬