somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাদিষা উপত্যকা এবং ইশ্বরের সিডার

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঈশ্বরের সিডার হলো লেবাননের সিডার বনের অবশিষ্টাংশ যা একটিসময় লেবানন পর্বত জুড়ে বিস্তৃত ছিলো। আর সে বনের কাঠ আহরন করেছেন, ফিনিশীয়, ইসরাইলী , ও মিশরীয়, আশারীয়, ব্যবলনীয়, পারস, রোমান এবং তুর্কি জনগোষ্ঠী।

গাছে পাকা সিডার ফল
লেবানন পাহাড় যা একটিসময় ছিলো ঘন সিডারের বনে ছায়াঘেরা। সিডার গাছ হলো দেশটির প্রতীক। কিন্তু শতাব্দী ব্যাপী ক্রমাগতভাবে বন উজাড় চলতে থাকলে এই অরণ্য বিলীন হয়ে যাবে।লোক মুখে শোনা যায় এক সময় দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার কাছে সিডার ঘেরা সুন্দর এই ঐশ্বরিক অরণ্যে আধা ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এবং একটা সময় এই বন সুমেরীয় ঈশ্বর এনিল কর্তৃক সুরক্ষিত ছিলো। ৪৭০০ বছর আগে মানুষ প্রবেশের পূর্বে গাছগাছালি তে পূর্ণ অরণ্য ছিলো দুর্ভেদ্য। বনের রক্ষাকর্তা অর্ধঈশ্বরদের হারিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। গল্পে আরো বলা হয় গিলগামেশ সিডার কাঠ ব্যবহার করে তার নিজের শহর নির্মাণ করেন।

গাছে কাঁচা সিডার ফল
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ফিনিশিয়, মিশরীয়, আশারীয়, ব্যবিলনীয় ও পারসি, রোমান, ইজরায়েলি এবং তুর্কীরা জংগল থেকে কাঠ আহরন করতে থাকেন। ফিনিশিয়গণ তাদের বাণিজ্যতরী নির্মাণে সিডার কাঠ ব্যবহার করতেন। জাহাজের জন্য তাদের কাঠের প্রয়োজন ছিলো এবং সিডার কাঠ তাদেরকে প্রথম সামুদ্রিক ব্যবসায়ী জাতি হিসেবে পৃথিবীর কাছে পরিচিত । মিশরীয়গণ সিডার রজন ব্যবহার করত মমিকরণের কাজে। বাইবেল অনুসারে সলোমন জেরুজালেমে মন্দির নির্মাণ করতে সিডার কাঠ আহরণ করেন। সম্রাট হাড্রিয়ান এই বনকে রাজকীয় অঞ্চল হিসেবে দাবী করেন এবং এখান থেকে কাঠ আহরণ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেন।

সিডার বন
বনটি এখন সুরক্ষিত। তবে যে কেও চাইলে অনুমোদিত গাইড সাথে নিয়ে বন ভ্রমণ করতে পারেন বা ভ্রমণ করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি থেকে ডেট্রিটাস পরিষ্কার করা হয়। অসুস্থ গাছের পরিচর্যা করা হয় এবং মাটিতে সার দেয়া হয়। ১৯৮৫ সালে সিডার গাছের বন্ধু কমিটি বনায়ন শুরু করেন। কয়েক দশক পরে এই উদ্যোগের ফলাফল পাওয়া যাবে কারণ সিডার গাছের বৃদ্ধি খুবই ধীর।শীতকালে বরফের চাদরে ঢাকা সিডার বনে নান্দনিক সৌন্দর্য দেখা যায়। ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো ঈশ্বরের সিডার এলাকাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৭
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×