রমজান মাস.....
.
.
আল্লাহ তায়ালা এর অশেষ মেহেরবানি তে আমরা পেয়েছি এই রমজান মাস।এই মাস এর এতই ফযিলত যা আমরা বলে শেষ করতে পারবো না।
.
সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা।মানে সকল খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।নিজেকে সংযত করে সংযমী হওয়া।
.
রোজা ভংগের একটা শর্ত হল যে দৃষ্টি সংযত করা।আচ্ছা আমরা প্রথম শ্রেণী তে যা পরি তা কি কখনো ভুলে যাই? যদি না ভুলে যাই তাহলে রমজান মাস এর এই দৃষ্টি সংযত করে চলার শিক্ষা টা বাকি মাস গুলোতে মেনে চললে আমাদের সমাজ টা বদলে যাবে।
.
কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি তার রোজাদার স্ত্রী এর দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি দেয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা ওই দম্পতি এর উপর সুখ ও শান্তির লহর ঢেলে দেয়।
তাহলে বাকি মাস গুলোতে যদি আমরা স্ত্রী এর দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি দেই তাহলে আমরা কত সুখি হব?
.
"যে স্ত্রী তার রোজাদার স্বামীর খেদমত করলো আল্লাহ তাকে উত্তম জীবন দান করবেন এবং পরকালে পাবে চিরশান্তির জান্নাত"। তাহলে আমরা যদি বাকি মাস গুলোতে স্বামী কে খেদমত করি তাহলে কি পাব?
.
যে ব্যক্তি রোজা রাখে এবং নামাজ আদায় করে আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে দেন।এবং তার মনে আল্লাহ এর ভয় ও ভাল কাজ করার তাওফিক দান করে। তার চেহারা থেকে জান্নাত এর নুর বের হবে। তাহলে আমরা নামাজ পড়ার এই শিক্ষা টা বাকি মাস গুলোতে করলে কি হবে?
.
যে বোন রমজান মাসে আল্লাহ এর ইবাদত করে ও আল্লাহ এর কাছে সাহায্য চায় আল্লাহ তাকে উত্তম চরিত্রের জীবনসংগি দান করে।
.
যে যুবক ভাই এই মাসে আল্লাহ এর ইবাদত করে আল্লাহ তাকে উত্তম দিনদার ও নেক আমল কারী স্ত্রী প্রদান করবে।
.
এই রমজান মাস দান খয়রাত করার উপযুক্ত সময়। এই মাস এ দান করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।গরিব দুখি মানুষ গুলো একটু ভাল থাকতে পারে।
তাহলে আমরা যাদের সম্পদ আছে তারা এই অভ্যাস টা যদি সারাবছর করি তাহলে গরিব মানুষ গুলো আর না খেয়ে থাকবে না।
.
আব্বু বলে, ইফতার করার সময় অবশ্যই ৩জন বাইরের মানুষ কে নিয়ে ইফতার করবে।আচ্ছা যারা গরিব মানুষ তারাও তো রোজা রাখে আমরা যদি প্রতিদিন ইফতারে তাদের কে ডাকি তাহলে কেমন হবে??
তারাও আমাদের সাথে খুশি তে আল্লাহর রহমত ইফতার গ্রহন করবে।আল্লাহ আমাদের উপর খুশি হবে।
.
আচ্ছা আমাদের যাদের কিছুটা হলেও সচ্ছলতা আছে। তারা যদি আমাদের প্রতিবেশী কে ইফতারে দাওয়াত দেই অথবা তাদের জন্য ইফতার পাঠাই তাহলে তাদের সাথে আমাদের সম্পক ভাল থাকবে।আল্লাহ বলেছেন "সেই ব্যক্তি জান্নাতে যাবে যার প্রতিবেশি তাকে ভাল জানে।
.
রমজান মাস সিয়াম সাধনা ও ত্যাগ এর মাস। এই মাস আমাদের কে যে শিক্ষা গুলো দেয়। আমরা যদি সেই শিক্ষা গুলো সারাবছর মানতে পারি তাহলে সমাজ দেশ সবাই ভাল থাকবে।সমাজে ধর্ষন, মারামারি, হিংসা থাকবে না।পৃথিবী টা হবে জান্নাত এর আরেক রুপ।
.
.
আসুন আমরা এই পবিত্র রমজান মাস থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করে সারাবছর এই নিয়ম মেনে চলি।সমাজ থেকে ধণী গরিব এর পার্থক্য দুর করি।আল্লাহ এর পথে চলি।রমজান মাস এর শিক্ষা দৃষ্টি সংযত রাখা, সারা বছর নিজের দৃষ্টি সংযত রাখি। সংযমী হই। যাতে আমরা নিজেদের কে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারি।তাহলেই আর প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই আর ধর্ষন রাহাজানি খুন এর খবর পড়তে হবে না।
রাস্তায় আমাদের মা বোন রা যেন তাদের কে নিরাপদ ভাবতে পারে।
.
.
পরিশেষ আল্লাহ আমাদের কে সাওম পালন করার তাওফিক দিক।আল্লাহ ও নবী রাসুল এর দেখানো পথে চলার সুযোগ দিক।আমরা যেন সুখে শান্তির পথে জীবন যাপন করতে পারি।কারো মনে কস্ট না দেই।
আমিন.
.
.
.
.
লেখক: নিলয় আহসান নিশো (বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩