৩০তম ও শেষ পর্ব:
রিফাতের মারা যাওয়া যেন মেনে নিতে পারছে না কেউ। সবাই নিজেদের বাড়ী ফিরে গেলেও ফিরে গেলেন না তার খালা ও নানী। মৌমিতাও শ্বশুরালয় ছেড়ে যেতে রাজি হল না। এভাবে রিফাতের কষ্ট মেনে নিতে একটু সময় লাগলো। সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেলো রিফাতের মা কারণ আগের রাতেই রিফাত বলছিল, মা আমার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমার বোধহয় আর থাকা হচ্ছে না, আমার পরিবর্তে তোমার ছেলে আর আমার মেয়েই হবে আমার উত্তরসূরি। একথা বলতেই মার চোখেরজল গড়িয়ে পড়ল অথচ টুঁ শব্দও করলেন না। মা বলছিলেন, আমার ছেলে আল্লহর ওলী ছিল সে স্বপ্ন দেখত আর আমাকে বলত, আল্লাহ্ চান তো কাল উমুক ঘটনা হবে আর ঐটাই ঘটত। আসতে আসতে তার শোক কাটিয়ে উঠতে থাকে সবাই। এভাবে কেটে গেল ৩টি বছর, রিফাতের ভাই ও মেয়ে পুরো অবিকল রিফাতের মত attitude করে। মৌমিতার ভাই হৃদয় এখন পড়াশুনা রিফাতদের বাসায় থেকে করে বাচ্চাদের দেখাশুনা করে। রিফাতের মা বললেন, রিফাত চলে যাওয়ার কারণে আল্লাহ্ আমাকে আরেক রিফাত ও নাতনি দিয়েছেন। রিফাতের ভাইয়ের নাম রাখা হয়েছে আহমাদ ও তার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে আসিয়্যাহ আহমাদ। মৌমিতা ভার্সিটির পাশাপাশি ছোট ছেলেমেয়েদের আরবী পড়ায়। তার মেয়েকে এমন এক মাদ্রাসায় দেয় যেখানে আরবী, বাংলা ও ইংরেজি তিন ভার্সনকে এক করে শিক্ষা দেওয়া হয়। ওখানে রিফাতের ভাই আহমাদও পড়ে। এখন বয়স কম হওয়ায় দুজনেই আসা যাওয়ার মাঝে থাকে। রিফাতের বাবা অবসর সময়ে কুরআন ও হাদীস চর্চা করে। এভাবেই তাদের ঘরে আবার সুখ ফিরে আসে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/newpost