somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজানা পথের তরী

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩য় পর্ব:
দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর অবশেষে টিকিট হাতে পেল তাও আবার কেবিনে। আহমাদ মনে মনে বলে কার সাথে যে সিট পড়ে ঠিক নেই। ট্রেনে উঠে তার বগি খুঁজে বের করে সেখানে মালামাল রাখল। কিছুক্ষণ পরে কেবিনে ১টি মহিলা প্রবেশ করলেন, যাকে দেখে আহমাদের চোখ আটকে গেল যিনি দেখতে অবিকল তার মায়ের মত। কোথায় যেন দেখেছে তাকে ঠিক মনে করতে পারছে না। মহিলাটি ঢুকেই সালাম দিল, আহমাদ সালামের উত্তর দিল। এরপর আর কেউ রুমে ঢুকল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রেলগাড়ি তাদের নিয়ে চলতে আরম্ভ করল। মহিলার সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলার জন্যই সে বলল, Would you mind, calling you as a Aunt? মহিলাটি বললেন, sure, তাছাড়া অনেকটা পথ কথা না বলে থাকা যাবে না। আহমাদ বলল, আমরা কখন পৌছাচ্ছি? আন্টি বললেন, আগামীকাল দুপুর ২টায়। আপনার সাথে কেউ আসে নি? জিজ্ঞাসা করল আহমাদ। উত্তরে বললেন, আমার কেউ নেই তো তাই? আহমাদ বলল, বুঝলাম না। আন্টি বললেন, আমার ১টি মাত্র ছেলে ছিল সে মারা গেছে পানিতে ডুবে আর স্বামী তার ছেলের শোক সইতে না পেরে hurt attack করে মারা যায় ৩ বছর আগে। আহমাদ বলল, তাহলে আপনি আর বিয়ে করেন নি? তিনি উত্তরে বললেন, তেমন কোনো মানুষ পাই নি? তোমার খবর বল? আমিই তো বকবক করে যাচ্ছি। আহমাদ বলল, আমরা ৩ ভাইবোন ও আমাদের বাবাকে নিয়েই সংসার। তোমার মা? উত্তরে সে বলল, মারা গেছেন গত ১মাস আগে। আন্টি বললেন, দুঃখিত আমি জানতাম না। আহমাদ বলল, ঠিক আছে। এভাবে রাতের খাবারের সময় হলে, আন্টি বলেন, তুমি খাবে না? আহমাদ বলল, খাব পরে। আন্টি বললেন, আমি খাব তুমিও খাও আমার সাথে। আহমাদ বলল, আমার সাথে খাবার আছে। এই বলে, আহমাদ কিছু রুটি বের করে খেতে শুরু করল। খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ল। প্রায় রাত ২টার দিকে আহমাদ স্বপ্ন দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে আর হাপাতে হাপাতে ঘর্মাক্ত হয়ে যায় পাশে থাকা আন্টি উঠে এসে তার আচল দিয়ে মুখ মুছে দেয় আর পানি খাওয়ান। এরপর আহমাদ শান্ত হলে, তাকে নামায পড়ে শুতে বলে। আহমাদ ওযু করে এসে নামায পড়ে আর আন্টি তার মাথা নেড়ে দেয়। কিছুসময় পর উনি উনার সিটে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে আর তেমন কিছুই ঘটে নি। ফজরের সময় হলে দুজনেই নামায পড়ে নেয় এবং জেনে নেয় তাদের গাড়ী কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পার হয়েছে। তাহলে এখনো আরও ৬ঘণ্টা লাগবে। তারা দুজন এখন স্বাভাবিক হয়ে গল্প করছে কিন্তু আহমাদ আন্টিকে চিনতে না পারলেও তিনি ঠিকই চিনেছেন যে এই ছেলেই তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×