০১.
তাসলিমা নাসরিনরে দেশে ফিরাইয়া আনন দরকার। ঘরের পাগল ঘরে রাখন ভাল।
০২.
তাসলিমারে বাংলা মুলুকের প্রগতিশীল সেক্যুলাররাও দেশে ফিরায়া আননের কথা কয়না। তারা এ ব্যাপারে স্পিকটি নট! কেন? কারন তাসলিমা আবার বাংলা মুলুকের কোন প্রগতিশীল তাদের পুরুষাঙ্গ খাড়া কইরা তাসলিমারে তাড়া করছে সেটার জারিজুরি ফাঁস করে দিবে। এই ভয়ে তাদের প্রগতি তাসলিমার দুয়ারে গিয়ে আটাকায়া যায়, আর আগ্গোইতে পারে না! শিশ্নের কাছে প্রগতি/সেক্যুলারিজম ফেইল!
আমি আসলে তাসলিমার এই দিকটা বেশ পছন্দ করি, সে আমার মত হুজুরটাইপ আর বাংলা মুলুকের সেক্যুলার ভন্ড, দু গোষ্টীকেই দৌড়ের উপর রাখে! এইটা কয়জনে পারে?
০৩.
তাসলিমার "ক" পইড়া একটা ব্যাপার বেশ খটকা লাগছিল। তাসলিমাকে লেখক ইমদাদুল হক মিলন ভারতে গিয়া ভোগ করেছিল, দুজনের সম্মতিতেই, দেশে বিমানবন্দরে ল্যান্ড কইরা মিলন আর তাসলিমারে চিনেই না ইরাম ভাব করে সোজা গৃহে নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরে গেল। এই হইল বাংলার প্রগতিশীল লেখক। ঘরের মধ্যে ওবিডিয়েন্ট ডমেস্টিক এনিম্যাল, খুবই স্ত্রীভক্ত। ঘরের বাইরে গেলে তাগ যৌন জিহ্বা খসে পড়ার অবস্থা। আর পাবলিকের কাছে চারিত্রিক শুদ্ধতার ভান ধরে রাখার প্রচন্ড চেষ্টা!
একমাত্র ব্যতিক্রম হুমায়ুন আহমেদ, হে সরাসরি বিয়া কইরা ফালাইছে, নিজের সুনাম, জনপ্রিয়তা, মানসম্মান বা ভক্তকূলের ভালবাসা ত্যাগ কইরা ইরাম একটা কাজ করতে পারা বিরাট বুকের সাহসের ব্যাপার। কাজটার নৈতিকতার প্রশ্ন ভিন্ন (আমার মতে অনৈতিকতার কিছু নাই এখানে, তবে সেটা এই পোস্টের সাথে প্রাসংগিক না), কিন্তু হে অনেক সাহসের কাজ করছে সেটাতে সন্দেহ নাই।
তো তাসলিমার বই পইড়া খটকা লাগার কথা কইতেছিলাম। খেলারাম কবি শামসুল হক তাসলিমারে ভোগ করার জন্য কোন এক প্রমোদভবনে (যদ্দুর মনে পড়ে পাহাড়ী এলাকায়, অনেক বছর আগে পড়ছিলাম, এই বয়সে স্মৃতি চইল্যা গেছে গা) নিয়া গেছিল, যাওয়ার সময়কালে এবং সেখানে প্রমোদভবনে বুইড়া হাবড়া খেলারাম শামসুল লোকরে পরিচয় করে দিল তাসলিমা তার মাইয়া, নাহয় সমাজের লোকে তারে কি বলবে সে ভয়ে! এই হল প্রগতিশীল সেক্যুলার! আপাদমস্তক ভন্ড!
কিন্তু শামসুল তাসলিমারে ভোগ করার অনেক চেষ্টা করেও সুযোগ পাইনাই। বেচারার অনেকগুলো টাকা গচ্চা গেল!
যেটা খটকা লাগছে সেটা হইল তাসলিমারে মিলন ভোগ করছে, শামসুল পারে নাই। মিলন দেশে আইস্যা তাসলিমারে না চিনার ভান করছে, শামসুল সেরকম কিছু করেনাই। কিন্তু তাসলিমার যত রাগ তবুও খেলারাম শামসুলের উপর! এইটা কি শামসুল বুইড়া হাবড়া ছিল বইল্যা? বুইড়া হয়েও তার দিকে শামসুল তার লোলুপ কাল হাত বাড়াইছে বইলা? এইটা আমি বুঝতে পারিনাই। মিলনরে ফ্রি পাস কিন্তু শামসুলের লাগি বাঁশ! কাহিনী কিতা?
০৪.
সে যাই হোক, তাসলিমারে আমগ দেশে ফিরায়া আনন দরকার। ফিরায়া আইনা প্রগতিশীল সেক্যুলারদের সাথে তার কাজিয়া লাগায়া দিয়ে তামশা দেখনের বড় ইচ্ছে হয়!
এছাড়াও এখানে মানবিক ব্যাপার আছে। তাসলিমা স্পষ্টতই দেশকে অসম্ভব মিস করে, একজন মানুষকে তার মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেওয়া খুবই হৃদয়হীন ব্যাপার। আমরা যারা বৈদেশে থাকি তারা অনুধাবন করতে পারি দেশে ফিরতে না পারা একজন মানুষের মনে কিরকম আছড় পড়তে পারে। তাই আমি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকেও তাকে তার দেশে ফেরার অধিকার দেয়া হোক সেটা চাই।
তাছাড়া তাসলিমার দরকার আছে, হে ক্রেজি হইলেও অনেক সময় বেশ যৌক্তিক এবং প্রাসংগিক প্রশ্ন করে। আর ইসলামপন্থিদের অত কমপ্লেক্সে ভুগার কিছু নাই, তাসলিমারে ইন্টেলেকচুয়ালি ফেইস করার ক্ষমতা আমগ আছে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরী।
সে বরং দেশের বাইরে থেকে ইসলামের ক্ষতি করার অনেক বেশি ক্ষমতা রাখে, সে ইসলামের অসহনীয়তার সাইনবোর্ড হিসেবে কাজ করে। সেটা বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের উপর সাম্রাজ্যবাদি আক্রমণের একটা অজুহাত। সে অজুহাত যত কম দেয়া যায় তত ভাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫০