সৌদি আরবের তাপমাত্রা যেখানে দিনের বেলায় ৩৬-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাংলাদেশে তাপমাত্রা হয় ৪০-৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সত্যিই কি সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ! মরুভূমি হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা আসলেই 'দুষ্টু'। নিজেদের ভালোটাও নিজেরা বুঝি না। বাড়িতে ফার্নিচার বানাতে হবে,গাছ কাট। টাকার দরকার,বাড়িতে অনুষ্ঠান; গাছ কাট। বাপ-দাদারা যত গাছ লাগিয়েছিল সব কাটছি। উজার করে দিচ্ছি ভূমি। অথচ যে হারে কাটছি সে হারে কিন্তু বৃক্ষ রোপণ করছিনা। যার কুফল ভোগ করছি আমরা আর চরম পরিণতি ভোগ করবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। আমরা তো তাও খাবার পানিটুকু পাচ্ছি, তারা তাও পাবে না। জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বে নতুন কোন ঘটনা নয়। আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনাও এ নিয়ে কম হয়নি। কিন্তু কাজের কাজ খুব কম হচ্ছে। আর একারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। বলা হচ্ছে উন্নত বিশ্বের কাছে ক্ষতিপূরণ নিতে, কার্বন বাণিজ্যের কথাও বলা হচ্ছে। যদিও এটা এখনো খাতা-কলমেই আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা কি করছি। আমরা কি নিজেরা আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যতকে দেখতে পাচ্ছিনা?
এই গরমে একটা গাছ কিছু পারুক আর না পারুক, একটা কাজ অন্তত পারবে। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারবে। তাতে অন্তত অসহ্য গরমটা একটু কম অনুভূত হবে। সমস্যাটা বেশি প্রবল হল রাজধানী ঢাকায়। এখানে গাছ রোপণ করার জায়গা কম। তবুও ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এই ঢাকা শহরে যতগুলো দালান আছে; সবকটির ছাদে যদি পরিকল্পিত ভাবে গাছ লাগানো যেতে পারে, অথবা প্রত্যেকটি অ্যাপার্টমেন্ট এর ব্যালকনিগুলোতে সবুজায়ন করা যায়, তাহলে সত্যি সত্যি তাপমাত্রায় ভারসাম্য আসবে। আসছে বর্ষাকাল। বৃক্ষ রোপণ করার উপযুক্ত সময়। তাই আমরা সবাই যেন অন্তত নিজেদের স্বার্থে বৃক্ষ রোপণ করি। নইলে পরিবেশ যেভাবে প্রতিশোধ নেয়া শুরু করেছে, পরে শুধু পস্তাতে হবে,'সময়ের এক ফোঁড়,অসময়ের দশ ফোঁড়।'