somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

শৈত্যপ্রবাহ - প্রয়োজন প্রানের প্রবাহ। আসুন, সহায়তার উষ্ণ হাত বাড়িয়ে দিই অসহায় শীতার্ত মানবতার প্রতি

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সারা দেশে শীতের আবহ। দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রায় ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠেছে। অসহনীয় শীতের পাশাপাশি তীব্র কুয়াশার চাদর ঢেকে দিচ্ছে সারাটা দেশ। ছন্দপতন ঘটছে দেশের শীতপ্রবন এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে বাঁচতে সাধারন দরিদ্র মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছে। বেড়ে চলেছে দু:স্থ অসহায় মানুষের দুর্ভোগ। বিশেষ করে হিমালয়ের কোল ঘেঁষা দেশের উত্তরাঞ্চলের অবস্থা বেশি অসহনীয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২.৯ এবং ডিমলায় আজ ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিপূর্বে চুয়াডাঙ্গা এবং রাজশাহী জেলায় ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ৫ জানুয়ারি। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩.১ এবং দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খোদ রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে আজ। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটাই ছিল এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন রেকর্ড। কিন্তু সে রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল এবারের শৈত্যপ্রবাহ। কারন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ার ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা - যা এযাবতকালের বাংলাদেশের তাপমাত্রায় নিম্নতম হিমাংকের রেকর্ড।

দেশের এই পর্যুদস্তু অবস্থার সবচে' বড় শিকার দরিদ্র পরিবারের শিশু, অভাবী বৃদ্ধ মানুষজনসহ শ্রমজীবি আর গ্রাম গঞ্জের খেটে খাওয়া অসহায় দরিদ্র মানুষ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় উপদ্রব ঘটছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভাসমান, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষদের। স্কুল কলেজে হ্রাস পেয়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। শীতার্ত এলাকার হাসপাতালগুলোর শিশু বিভাগে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে শীত ও অত্যধিক ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত শিশুরা। যাদের বেশিরভাগই আক্রান্ত নিউমোনিয়া, ব্রঙ্ককাইটিস ও ডায়রিয়ায়। হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের জীবনধারা যেমন ব্যাহত হচ্ছে; তেমনি ঠাণ্ডায় কাজ করতে না পারায় শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছে বিপাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকালের দিকে ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না মানুষজন। সকাল ১০টা ১১টা পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা দেখা যায় অধিকাংশ শীতপ্রবন এলাকার।

এই অসহায় শীতার্ত মানুষের প্রতি একটু সহানুভূতি অন্তত: আমাদের থাকা উচিত। আপনার আমার সামর্থ্যের ছোট্ট সহযোগিতাটুকু হয়তো কারও জন্য হয়ে উঠতে পারে হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে বাঁচার অবলম্বন। আমাদের অব্যবহৃত, ঘরে পরে থাকা একটি সোয়েটার, একটি কম্বল কিংবা সামান্য পরিমান আর্থিক সহায়তা হয়তো কারও জন্য মাধ্যম হয়ে দাড়াতে পারে শৈত্যপ্রবাহের করাল গ্রাস থেকে আত্মরক্ষার। তাই আসুন, আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোকে অবহেলার দৃষ্টিতে না দেখে সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, শীতার্ত মানবতার প্রতি। শৈত্যপ্রবাহের এই নিদারুন দিনগুলোতে আসুন, বিস্তার ঘটাই প্রানের প্রবাহের। সুখ দু:খ ভাগ করে নিই সকলে। সম্মিলিতভাবে।

সকলের মঙ্গল হোক। নারী শিশু বৃদ্ধসহ শীতপ্রবন এলাকাগুলোর অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হোক।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×