somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

একথার বিকল্প কিছু আমার আজ আর জানা নেই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আবারও ন্যুড ফ্লাডিং করা হয়েছে আমার ব্লগে। দুই শতাধিক কমেন্টস করে আমার অনেকগুলো পোস্ট ভরিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক কষ্ট করেছেন ফ্লাডিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আমার বন্ধুগন। তাদের এই কষ্টের প্রতিদান আমি কী দেব? মহান আল্লাহ পাকের কাছে দরখাস্ত দিয়ে রাখছি। তিনিই যেন তাদের যথাযোগ্য প্রতিদানে ভূষিত করেন।

সম্মানিত ব্লগার বন্ধুগনের কাছে আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। আমি জানি না, এর শেষ কোথায়। গত কাল সারা দিন এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসতে পারিনি। এই সুযোগটি আমার বন্ধুগন গ্রহন করেছেন। আমার পোস্টে এসে যাচ্ছেতাই করে গেছেন। যদিও আমার অতি কাছের একজন রাতে আমাকে ম্যাসেজটি দিয়েছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ইতিপূর্বেও অনেকবার এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছি। নিকটজনদের সামনে আমার ব্লগে এসে অনেকে চরমভাবে লজ্জিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমিও এই পরিস্থিতিতে পড়েছি। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন। সঙ্গত কারনে সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ রাখছি, দয়াপূর্বক আজ থেকে নিতান্ত একা থাকা ব্যতিত আমার ব্লগে কেউ যাবেন না। ঘূনাক্ষরেও নয়। মার্ক করে রাখুন, ইট'স জাস্ট অ্যা টেরিবল এন্ড ড্যাঞ্জারাস এরিয়া! দু:খিত, আবারও ক্ষমাপ্রার্থী, একথা বলার জন্য। একথার বিকল্প কিছু আমার আজ আর জানা নেই। কারন, ইতিপূর্বে পরিস্থিতি উন্নয়নে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি। আবেদন-নিবেদন, অনুরোধ-উপরোধ কোনো কিছুতেই কম করিনি। ক্ষমা চেয়েছি। আমার ভুল হতে পারে মনে করে বলেছি, ভুল হলে ধরিয়ে দিন, আমাকে শোধরানোর সুযোগ নিতে দিন। কিন্তু এতসবেও কোনো ফলোদয় হয়নি। যাদের যা কাজ, তারা তা করেই যাচ্ছেন। কোনো বাধা তাদের ফেরাচ্ছে না। বিবেকের কোনো দায়বোধ তাদের আহত করছে না। দংশন করছে না। মর্মাহত করছে না। আপ্লুত-অনুপ্রানিত করছে না। অনুরোধ-উপরোধ কিংবা ক্ষমাপ্রার্থনা তাদের ভাবাচ্ছে না। হৃদয়ের অন্দরে প্রবেশ করছে না। কোনো বেগ-অাবেগ-অনুভূতি তাদের হৃদয়কে নাড়া দিচ্ছে না। মনের শুভ্রতাকে স্পর্শ করছে না।

আলহামদুলিল্লাহ। এর আগে ভয় পেতাম। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়তাম। ন্যূজ হয়ে যেতাম। মনোবল হারিয়ে ফেলতাম। হতোদ্যম হতাম। আশা হারিয়ে নিরাশায় ডুবতাম। কিন্তু এখন আর তেমনটা হয় না। কথায় আছে না,

অল্প শোকে কাতর,
অধিক শোকে পাথর।

-আমার ক্ষেত্রেও হয়তো সেটাই হয়েছে।

আজ আর কোনো ভয় নেই- আমি নির্ভীক। আজ কোনো বাধা নেই- আমি দুর্বার। দুর্দমনীয় আমার মনোবল। সম্মুখে আমি চলবোই। আলোর পথ আমাকে টানবেই। ও পথে আমাকে চলতেই হবে। আলোকের বাগানে বিচরন আমাকে করতেই হবে। সামুর মত আলোকের উঠোনে আলো আমাকে কুড়োতেই হবে। দু'হাতে-মুঠি ভরে ভরে আলোক আমি নেবই। কোনো বাধা আমাকে ফেরাতে পারবে না। কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। কোনো শক্তিই আমাকে আমার পথচলা থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার রহমতের উপর ভরসা করে ঘোষনা করছি, যে কোনো প্রতিকুল পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কোনো বাধাকেই আজ থেকে আর পরোয়া করবো না। সামুতে থেকেই যাবো। সামুতে চলতেই থাকবো অচেনা ভাবি দিনের অজানা পথগুলো। আপনারা যদি পাশে থাকেন, ইনশা-আল্লাহ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বেশ ক'বার আমার ব্লগে ফ্লাডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আমি একাধিক পোস্টও দিয়েছি। যতবার আমার ব্লগে ফ্লাডিং করা হয়েছে, একটিবারের জন্যও আমি এসবের জন্য ফ্লাডিংকারী বন্ধুদের গালিগালাজ করিনি। গায়ের চামড়া তুলে নিলে যেমন কষ্ট হয়, তেমন কষ্ট অনুভব করতাম প্রথম দিকে, তবু কঠোর নির্লিপ্ততায় নিজেকে কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করেছি। ধৈর্য্যধারনের পথ বেছে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, মাঝে মাঝে নার্ভাস হয়ে পড়লেও আজ বুঝতে পারছি, কষ্টকর এই ধৈর্য্যধারন কতটা যৌক্তিক ছিল। আর আমার সেসব বন্ধুদের জন্য প্রতিবারই শুভকামনা রেখে এসেছি। এবারও তাই রাখছি। কামনা করছি, তারা ভাল থাকুন। তাদের শুভবু্দ্ধির উদয় হোক। পাশাপাশি আমার জ্ঞানের ক্ষুদ্রতা দূর করে আমার ভুলভ্রান্তিগুলোও যেন আমি কাটিয়ে উঠতে পারি। সকলের নিকট বিনীত চাওয়া এটাই।

আলো ঝলমলে আজকের দিনটি সকলের জন্য কল্যান বয়ে নিয়ে আসুক। সকলের প্রতি শুভকামনা নিরন্তর।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১১
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×