আসেন দেখি, আগের (১৯৭২-১৯৯৪) লেখাপড়া করা মানুষ কী কী করেছে!
১। দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা মানে আগের সেই অসাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত!
২। দেশের সব অধিদপ্তর, দপ্তর, সরকারি, বেসরকারি - অন্তত ৪০ লাখ চরম দুর্নীতিবাজ, টাউট, পাবেন - এরা সবাই স্টার পাওয়া, বোর্ড স্ট্যান্ড করা, ডিভিশন পাওয়া!
৩। ব্যাংক থেকে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা ঋণখেলাপির নামে খেয়েছে, পুরো অংশটাই আগের 'অসাধারণ' লেখাপড়া করা মানুষ!
৪। দেশে ৪৮০০০ শিক্ষক আছে যাদের সার্টিফিকেট জাল, তারাও আগের অসাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত!
৫। আরেকটা বড় অংশ জনগণের টাকায় পড়াশুনা করে বাংলাদেশের পাসপোর্টটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে বিদেশে গিয়ে বিদেশীদের সেবা করছে। তাও ভালো, এরা দেশে থাকলে আরো ২০/৩০ লাখ টাউট বাটপার দুর্নীতিবাজ যোগ হতো।!
না থাক, আর বলা দরকার নেই। আসল কথায় আসি-
বর্তমানের যে শিক্ষা ব্যবস্থা , সেটা কারা বানিয়েছে ?এই পদ্ধতি, এই ধ্বসে যাওয়া শিক্ষার দুর্দশা কারা তৈরি করেছে জানেন?
হ্যাঁ, ঠিকই ধরতে পেরেছেন - এটাও ওই আগের 'অসাধারণ' শিক্ষায় শিক্ষিতরাই তো করেছেন। এই ধ্বংস করলো কে? ওনারাই তো করেছেন।
তো তাদের শিক্ষা এতই ভালো ছিলো, এমন বাজে সিস্টেম কারা করলো?
আগেরটা ভালো থাকলে শিক্ষিতদের ৯৯% চরম দুর্নীতিবাজ হয় কীভাবে? তারা এমন মানহীন শিক্ষাপদ্ধতির জন্ম দিলো কীভাবে?
আর এই প্রজন্ম সামনে কী দিবে আল্লাহই জানে।
চিন্তার কিছু নাই - ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনের লোকজন রেডি। এখন তো ৮-১০ বিলিয়ন ডলার বেতন নিচ্ছে, সামনে নিবে ৪০-৫০ বিলিয়ন ডলার । আমাদের ছেলেমেয়েরা এই দেশেই OC/DC মানে থালাবাসন ধুবে, পিয়াজ মরিচ কাটবে!!
আসেন এইসব মহান অবদানের জন্য আগের শিক্ষা পদ্ধতিকে ধন্যবাদ জানাই!
আর হ্যাঁ, বন্ধুরা কালকে থেকে শুরু হচ্ছে 'জুন ক্লোজিং' - সবাই জানেন তো!
ভুয়া ভাউচার দিয়ে শত শত কোটি টাকা হরিলুটের মাস কিন্তু এটি। এই হরিলুট চলছে ৪৫ বছর যাবত।
জয় হোক শিক্ষা ব্যবস্থার, জয় হোক হরিলুটের - চালিয়ে যাও চাপাবাজি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮