আমি একদল নারীর গল্প শুনেছি, তারা বেশ্যা নয়।
স্টাইল রক্ষার্থে তাদের কিছু বিশেষ বন্ধু থাকে। ইংরেজীতে যাদের নাকি বি এফ বলে!
প্রতি সপ্তাহে রুটিন করে তারা তাদের বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। তারা বেশ্যা নয়, স্টাইলিশ গার্ল বলতে পারেন। তবে আমি কুত্তাকে দেখেছি সকালে একটা বিকালে একটা নিয়ে ঘুরতে!
তারা লুকিয়ে না আড়ালে চুমু খায়। বুকের সামনে ফুলে ওঠা চর্বিতে সৃষ্ট স্তনে তারা তাদের বন্ধুর হাতের স্পর্শ নিয়ে সুখ পায়। এসব তারা আড়ালে করে, লুকিয়ে সুখ নেয় তো বেশ্যা।
বিশেষ দিনগুলিতে তারা লাইট অফ করে চার দেয়ালের মাঝে গল্প করে। এগুলোরর আবার কিছু কিউট নাম আছে রুমডেট, লিভ টুগেদার ইত্যাদি। তবে তারা বেশ্যা নয়, বেশ্যারা সম্ভবত প্রটেকশন ইউজ করে না। তবে এরা গল্প করার আগে ফার্মেসি থেকে ঘুরে আসে।
এবার তারা শপিং এ যাবে। বীর্যপাতের বদৌলতে বিএফ বাহারি পোশাক কিনে দিবে।
এরা দামি বডি স্প্রে দিয়ে গা ভিজিয়ে পরপুরুষকে মাতাল করে ইম্প্রেস করে। নিষিদ্ধ পল্লির বেশ্যার চোখে হয়তো নেশা থাকে সুগন্ধি সেখানে দুষ্প্রাপ্য কিছু।
কিছু বোকা ছেলে এদের ভালোবেসে, হয়ে যায় কবি। তাদের ভাবে স্বপ্নের নীল পালকে গাথা সুখপাখি। রচিত হয় হাজারও কাব্য কাহিনী।
পথশিশুর স্পর্শে এরা নাক শিটকায়, গরীবের বাচ্চারা ছুয়ে দিলে যে দামি ড্রেস নোংরা হবে। অথচ চার দেয়ালের মাঝে পরপুরুষের লিংগ চাটতে পটু এরা।
সত্যিই এরা বেশ্যা নয়। বেশ্যারা সমাজে চলতে পারেনা। লোকে থুতু দেয়। আর এদের চুমু দেয়। এরা মুখোশধারী লক্ষীপ্রতিমা।
বাবা প্যারালাইজড, মা অসুস্থ, ছোট ভাই- বোনের স্কুলের বেতন এসব যোগাতে যে মেয়ে সাহেবদের বাসায় শরীর বেচে, ঐই সাহেব গুলোই দিনের আলোই সবার সামনে মেয়েটিকে বেশ্যা ডাকে। হ্যা এই মেয়েই বেশ্যা আর সাহেবের মেয়ে ফার্মেসি তে যায় সে ধুয়াতুলশি পাতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪