মনে হয় তোমার একদিনও বয়স বাড়েনি
সেই যে তোমাকে দেখেছিলাম__শীতবিকেলে মখমলের চাদর
মুড়িয়ে তুমি হেঁটে যাচ্ছিলে ক্যাম্পাসের ঘাসময় পথ
এখনো যাচ্ছো মনে হয়__কে বলে তুমি এখন তুখোর অধ্যাপিকা
স্বামী সন্তান আছে তোমার__নাতিপুতিও আছে বৈকি
হৃদয়ের করিডোরে তুমি এখনো প্রেমের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দ্রুত হেঁটে যাও
তরুণ নার্স__তোমার শুশ্রূষা পেতে আমি এখনো শুয়ে থাকি
দুরারোগ্য ব্যাধির রোগী__এখনো বয়সের খোলস খুলে আমি কম্পিতহস্তে ধরে
রাখি তরুণগোলাপের ডাল__তুমি গোলাপ হয়ে ফুটে থাকো এই ক্যাম্পাসে
কে বলে বয়স বেড়েছে তোমার ? তুমি এখন তুখোর অধ্যাপিকা
স্বামী সন্তান আছে তোমার ! নাতিপুতিও আছে !!
স্মৃতির মানবী তুমি অক্ষত এক শাশ্বত সুমতিা মেয়ে __
শীতবিকেলে মখমলের চাদর মুড়িয়ে এখানো হেঁটে আসো
আমার দুর্বাঘাসের শিশির ভেজা বুকের অরণ্যে__যেখানে ভালোবাাসগুলো
এখনো সদ্যফোটা গোলাপের মতোন ঘ্রাণ বিলাতে চায়__অথচ আয়নায় দেখি
নিজের মুখ__কেমন বদলে গেছি আমি__চুল দাাড়িতে পাক ধরেছে আমারও
অধ্যাপনায় আমারও গেলো দুযুগ__তুুলতুলে চামড়া কেমন খসখসে হয়ে গেছে !
অথচ অথই আঁধারে ডুবলে মনে হয় __এইতো সেদিন__এইতো বুকের ব্লেজারে
সেদিন তুমি ভালোবাসা গুঁজে দিয়েছিলে __
কে বলে বয়স বেড়েছে তোমার ? তুমি এখন তুখোর অধ্যাপিকা
স্বামী সন্তান আছে তোমার ! নাতিপুতিও আছে !!.......
২৬.০১.২০১৫