রাত ৩ঃ২৩, ২১ আগস্ট,২০১৭
মোটামুটি তালগোল পাকানো একটা মাথা নিয়ে বাথরুমের দরজা খুললাম। শাওয়ারটা ছেড়ে মাথাটা হালকা ভিজিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম, একেবারে নিজের মুখোমুখি।
চোখের মণিদুটো বেশ বড় বড় হয়ে আছে। কিছুদিন আগেও কেমন ঘোলাটে লাগত। আজকাল বেশ উজ্জ্বল লাগছে! কি জানি! মনের ভুলও হতে পারে। কোথায় যেন একটা ভুল হয়ে আছে। নিজের চোখ বলে মনে হচ্ছে না।
প্রকৃতির সবচেয়ে দামী দুটো লেন্স, ক্যামেরা দুটো দু'চোখ আঁকড়ে বসে আছে। রেকর্ডিং চলছে অনবরত, আমৃত্যু চলবে এ রেকর্ড। অডিও রেকর্ডিং চলছে কানের ভেতর। আমার স্পর্শ, আমার ঘ্রাণ, ভয়, পুলক, বিষাদ, আমার সব আমার ভেতরেই রেকর্ড হয়ে চলেছে । আধুনিক কম্পিউটারের তুলনায় নাকি আমি নামক মানুষের প্রসেসিং সিস্টেম চল্লিশ হাজার গুণের চেয়েও বেশি শক্তিশালী! বাহ, এত চমতকার একটা সিস্টেম বিনে পয়সায় পেয়ে গেলাম?
তাই ভাবছেন?
বোকা কোথাকার!
ওটাকে ঠিকঠাক মত অপারেট করার দায়িত্ব যে পালন করে চলেছেন, সে খেয়াল আছে?
।
।
।
সরে গেলাম আয়নার সামনে থেকে। ওই কারাগার আর আয়নায় তার প্রতিফলন, সে আমি নই। তারচেয়ে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে কারাগারের ভেতরের নিজেকে একটু খুঁজে দেখা যাক।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬