somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"দাদু ও কাগু" নিয়ে গোলাম মাওলা রনির একটি অস্থির রম্য লেখা। মাস ছয়েকের পুরনো লেখা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তাঁর কথা শুনতে আমার ভীষন ভালো লাগে। আমার মতো হয়তো অনেকেরই ভালো লাগে-বিশেষত আমোদ প্রিয় বাঙ্গালীদের। তিনি কখনো ইংরেজীতে গালি দেন আবার কখনো সখনো বাংলায়। তার বয়োবৃদ্ধ শরীর, সবুজ সতেজ মন এবং তারুন্যে ভরা মুখমন্ডলে কিসের যেনো একধরনের মাদকতামূলক আকর্ষন থাকে। ফলে আমরা তাঁর কথা শুনি এবং বহুৎ মজা পেয়ে যাই। অতি সম্প্রতি তিনি বিএনপিকে দুষ্ট বলে তিরস্কার করেছেন।

☛ তার ধারণা বিএনপির দুষ্টোমীর খপ্পরে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মারাত্মক ভুল করতে যাচ্ছে। বিএনপির এত্তোসব দুষ্টোমী আর ইয়ার্কি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে না পারলে সম্ভবতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি লাগতে পারে।

☛ তিনি কিন্তু যেন তেন মানুষ নন- কেউ বলতে পারবে না যে তিনি পাগল। কিংবা তাঁর বংশ, কিংবা চৌদ্দগোষ্ঠীতে কেউ পাগল ছিলো। তিনি শিশুও নন কারণ ১৯৩৪ সনের অক্টোবরে তাঁর জন্ম। ৬ তারিখে জন্ম হওয়ায় তিনি তুলা রাশির জাতক। চরিত্রে কন্যা রাশিরও কিছুটা প্রভাব আছে। আমি নিজে কন্যা রাশির লোক হবার কারণে তাকে বহুৎ ভালোবাসি- যদিও তিনি হয়তো আমাকে ভালই বাসেন না। তাঁতে আমার কোনো দুঃখ নেই কারণ সমাজ সংসারে আমি শুধু সারাজীবন একপেশে ভালোবাসা দিয়ে এসেছি আবার কখনো কখনো একপেশে ভালোবাসা পেয়ে এসেছি।

☛ বহুকাল আগে তাঁকে আমি আমার দাদু ভাই বলে সম্বোধন করেছিলাম। এরপর থেকে আড়ালে আবডালে লোকজন তাকে রনির দাদু বলে ডাকে। দাদু একদিন মাত্র আমার সঙ্গে রাগ করেছিলেন। উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন Ñ ও একটা পন্ডিত! ও আমাকে নিয়ে যাচ্ছে তাই বলে- ও বলে- আমাকে নাকি সে ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমীতে দেখেছিলো সন্ধার পর: যখন আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা গুনেছিলাম। ঐড়ি ঋঁহহু ! ১৯৮৬ সালে আমিতো তাকে চিনতামই না। তাহলে ও আমাকে চিনল কি করে!

☛ আমার সাবেক সহকর্মীরা প্রায়ই আমার কাছে আসতেন এবং আমার দাদুর খোঁজ খবর জানতে চাইতেন। আমি তাদেরকে নিরাশ করতাম না। দাদুকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা বলতাম। সহকর্মীরা বহুৎ আরাম বোধ করতেন সেইসব খোশ খবর শুনে। আজ আর সেই দিন নেই; আমি আজ দাদুর বাড়ী থেকে খানিকটা দুরে- তবুও দাদুকে দেখি; তাঁর কথা শুনি এবং হৃদয়ে পুলক অনুভব করি। নির্বাচনের আগে দাদু বললেন - এটা হবে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন।

☛ এরপর নির্বাচনের অব্যবহিত পরে তিনি আবার বললেন- এটা কোন নির্বাচন হয়নি। খুব শিঘ্রই আরো একটা নির্বাচন করতে হবে। ইদানিং তিনি বলছেন- আমরা নির্বাচিত এবং সম্পূর্ণ বৈধ। কিসের নির্বাচন! বিএনপি দুষ্ট! বিএনপির দুষ্টোমিতে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভুল করছে- ইত্যাদি।

☛ আমার মনে হয় দাদু ঠিকই বলেছেন। বিএনপি কেবল দুষ্টই নয়-ভয়ানক দুষ্ট। তাদের এইসব দুষ্টামী কর্ম থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য তাদের দরকার হবে দাদুর মতো গুনীজনের আদেশ, উপদেশ, নিষেধ। এসবেও কাজ না হলে - দাদু তাদেরকে শাসন করবেন- প্রয়োজনে মৃদু শাস্তি দেবেন। বিএনপি যদি দাদুর কথা মতো চলতে পারে তাহলে আখেরে তাদেরই মঙ্গল হবে। দাদুর সারা জীবনের সফলতা কিন্তু ফেলে দেবার নয় এবং বিএনপির উচিত সেই সফল মানুষটির কথা মতো দল চালানো।

☛ বিএনপির আরো উচিত তাদের চির শত্র“ জাতীয় পার্টি এখন কি করছে তা থেকে শিক্ষা নেয়া। জাতীয় পার্টি ইদানিং দাদুদের পরামর্শে তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করছে। যদিও জনাব এরশাদ ও মিসেস এরশাদের মধ্যে চরম বিভক্তি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দাদুরা পরামর্শ দিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী মিলে দল গোছানোর জন্য।

☛ দাদু বা দাদুগন এই কথা বলতেই পারেন। তাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক এবং কর্মজীবনের বর্নাঢ্য ইতিহাস তাদেরকে এক ধরনের মহত্বও কর্তৃত্ব দান করেছে। ফলে তারা সবাই নিজেদের পরিবারের একান্ত আপনজন মনে করে পরামর্শ, আদেশ কিংবা নিষেধ করতেই পারেন। কাজ না হলে পরিবারের অবাধ্য সদস্যদের মতো শাস্তিও দিতে পারেন। এরমধ্যে মন্দের কি আছে বা এর মধ্যে মন্দ কিছু খোঁজার দরকার কি! বরং কায়মনো বাক্যে মুরুব্বীদের কথা মানলে- উপকারই হয় বেশী।

☛ দাদু আমার ভারী মেধাবী একজন মানুষ। সেই ১৯৫৫ সালে ইংরেজী সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণী পাবার পর দাদু কিন্তু বসে থাকেননি। তাবৎ দুনিয়ার দু’টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড এবং হাভার্ড থেকেও এম.পিএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের এক উজ্জল নক্ষত্র। সমগ্র পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ১৯৬০ সালের আগেই।

☛ পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক কাউন্সিলর হিসেবে ১৯৬৯ সালের রক্তঝরা দিনগুলোতে তিনি মার্কিন মুলুকে কাজ করেছেন। পাকিস্তানের সরকার বাহাদুর তাকে মহাখুশী হয়ে ”তামঘা ই খিদমত” উপাধি প্রদান করেন।

☛ সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার চমৎকার এক অনুপম গুনাবলী রয়েছে দাদুর। এটির প্রমানও তিনি রেখে ছিলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। তিনি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এবং বাঙালী কর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন।

☛ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্লানিং কমিশনের সচিব হিসেবে তার অগ্রযাত্রা কোনকালেই থেমে থাকেনি। বরং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছা অবসরের পর এক বছরের জন্য অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন এরশাদ জমানায়। তারপর হয়ে গেলেন কিংবদন্তী- অনেক অনেক কাজের জন্য; বিশেষ করে রাবিশ শব্দের প্রচলনকারী হিসেবে।

☛ দাদু আমার স্বভাবজাত কবি। দ্রুপদী সাহিত্য ও নৃত্যকলা তার ভীষন পছন্দ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বই লিখেছেন ২১ খানা। দেশে একেকটি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেংকারী এবং আর্থিক ক্ষতি সত্বেও তার সফলতা ও সততা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। কাজেই তিনি যদি বিএনপিকে দুষ্ট বলে গালি দেন তবে তা একবারে ফেলে দেবার জিনিস নয়।

☛ দাদুর কথা বাদ দিয়ে এবার কাগুর কথায় আসি। দাদুর এক মানষপুত্র জনৈক কাগু বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছে - দল গোছানোর জন্য। কাগুর - মতে অগোছালো দল দিয়ে আন্দোলন করা যায় না। বিএনপি যদি সরে যায় কিংবা ম্রিয়মান হতে হতে নিভে যায় তবে কাগু কাদের সঙ্গে রাজনীতি করবে। প্রচন্ড সাহসী এবং বীর হিসেবে পরিচিত কাগু অত্যন্ত সৎ মানষিকতা নিয়েই হয়তো তার প্রতিদ্বন্দীদেরকে সুসংগঠিত হবার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

☛ এবার কাগু সম্পর্কে কিছু বলে নেই। কাগু হলো কাকুর আদুরে অপভ্রংশ। গ্রাম বাংলায় নাবালক প্রকৃতির শিশুরা যখন আধো আধো বোল শিখে তখন কাকুর গলা জড়িয়ে ধরে পরম আদরে ডেকে উঠে কাগু - ও কাগু! ছোটকালে আমি এমন এক নাবালক শিশুকে দেখেছিলাম গ্রাম্য বাজারে। শিশুটি তার ছোট কাকুর গলা জড়িয়ে ধরে আব্দার করে বলছে - কাগু ও কাগু- একটা বিচ্চা কলা কিনি দাওনা ! আজ এতো বছর পরও সেই সুরটি আমার কানে বাজে এবং মাঝে মধ্যে চিন্তা করি শিশুটি এতো কিছু থাকতে বিচি কলার আবদার করলো কেনো।

☛ কাগুর মাথার টাক এবং গায়ের রং দাদুর মতো। কিন্তু কোন মতেই দাদুর মতো মেধাবী ও সৎ নন। বরং বিভিন্ন খাজুরে আলাপ এবং চুলকানীমূলক কথাবার্তার জন্য কাগুর কুখ্যাতি সকল সীমানা অতিক্রম করেছে। সেই কাগুও বিএনপির জন্য মহত্ব দেখাচ্ছে খাদ্য ভান্ডারের মালিক হবার পর। এতোবড় দল- কোন কাজকর্ম করবে না। শুধু বসে বসে খাবে আর বর্জ্য দ্বারা দেশের পয়ঃনিস্কাসন ব্যবস্থা ধ্বংশ করবে তা সবাই মেনে নিলেও কাগুর মত নীতিবান মানুষের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।

☛ কাগুরা যে এত্তোসব বলছে বা করছে তা কিন্তু নতুন না। ইতিহাসে, গল্পে কিংবা সাহিত্যে যোগ্য প্রতিদ্বন্দী গড়ে তোলা কিংবা প্রতিদ্বন্দীকে সংরক্ষন বা সম্মান করার বহু উদাহরণ লিখা রয়েছে। কাগুরা সেইসব মহান কীর্তির কথা পাঠ করে বিএনপির প্রতি দরদী হয়ে উঠেছে ঠিক কালা পাহাড় গল্পের মতো। বাংলা সাহিত্যে কালা পাহাড় আর ধলা পাহাড়ের গল্প জানেনা এমন শিক্ষিত লোকের সংখ্যা খুবই কম। এটি হলো দু’টো গরুর গল্প।

☛ যেনো তেনো গরু না। রীতিমতো ষাঁঢ় যারা বছরের পর বছর ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছিলো। একবার প্রতিপক্ষ খুব দুর্বল হয়ে পড়লে বিজয়ী অপর পক্ষের মারদাঙ্গা প্রকৃতির ষাঁঢ়টি কি করেছিলো সেই কাহিনী বর্নিত হয়েছে কালা পাহাড় গল্পে।

☛ প্রতিদ্বন্দীর প্রতি সম্মান দেখানোর কাজটি যে কেবল গরুরা করে থাকে তা কিন্তু নয়- উত্তম মানুষেরাও করে থাকে। সবার কথা লিখিত থাকে না। তবে রাজা বাদশাদের কথা ইতিহাসে লিখা থাকে। যেমনটি লিখা আছে মহান বীর সালাহউদ্দীন আইউবী এবং রিচার্ড দ্যা লায়ন হার্টের কথা। এতো বেশী দিন আগের কথা নয়। মাত্র সাড়ে আটশত বছরের পুরোনো ঘটনা। ঘটেছিলো ১১৯২ সালে। অথচ বোকা মানুষেরা কথায় কথায় আজ অবধি সেই কাহিনী স্মরন করে এবং কাগু মার্কা লোকদেরক বিব্রত করে। ইতিহাসের মহান বীর গাজী সালাহউদ্দীন আপন বাহুবলে বিশাল এক সুখী সমৃদ্ধশালী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে। প্রায় সমগ্র আরব উপদ্বীপ, মিশর সহ উত্তর আফ্রিকাকে করায়ত্ব করার পর সকল মুসলমানরা তার নিকট দাবী জানায় জেরু জালেম পুনরুদ্ধার করার জন্য। তিনি জিহাদের ডাক দেন। সারা পৃথিবী থেকে মোসলমানরা এসে তার পতাকা তলে সমবেত হয়। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড দ্যা লায়ন হার্টের নেতৃত্বে সারা দুনিয়ার খ্রীষ্টানরা ডাক দেয় ক্রসেডের। ইতিহাসে এটি ৩য় ক্রসেডের মর্যাদা লাভ করে।

☛ উভয় পক্ষে লাখ লাখ সৈন্য। যুদ্ধ ক্ষেত্রের প্রতিটি ইঞ্চি যায়গা যেন একেকটি মৃত্যুকুপ। যুদ্ধ চলছে পৃথিবীর দুই মহান সেনাপতি এবং বাদশাহর মধ্যে। যুদ্ধ কালীন সময়ে হঠাৎ করেই রিচার্ড ভয়ানক অসুস্থ্য হয়ে পড়লেন। তিনি শীতের দেশের মানুষ। তপ্ত মরুভূমির উত্তপ্ত আবহাওয়া সৈহ্য করতে পারছিলেন না। রিচার্ডের অসুস্থ্যতার খবরে খ্রীষ্টান শিবিরে ভয়ানক গোলোযোগ দেখা দিলো। অনেকে পালানো শুরু করলো গাজী সালাহউদ্দীন এই খবর শোনামাত্র যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা করলেন। নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে পাঠালেন শত্র“ শিবিরে। অনেক অনেক দুরের পাহাড় থেকে কায়ক্লেসে রিচার্ডের জন্য বরফ আনালেন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। রিচার্ড সুস্থ হয়ে উঠলেন। এর পরের ইতিহাস তো সবাই জানেন।

☛ আমাদের কাগুরা এখন দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপিকে একটি সুশৃঙ্খল এবং যুদ্ধাপরাধমুক্ত দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। বিএনপির দূর্নীতিবাজ নেতাদেরকে বিভিন্ন টোপে ফেলে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে তাদের দূর্নীতির সচিত্র দলিল সংরক্ষনের মাধ্যমে অনেককেই নিস্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছে মূলত বিএনপির ভালোর জন্যই। অন্যদিকে ঢাকা কেন্দ্রীক আন্দোলন সংগ্রামে বাধা দেয়ার মূল কারণ হলো বিএনপিকে তৃনমূল মুখী করা। আর তৃনমূল বিএনপিকে সংগঠিত করা তো শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিলো। যিনি খাল কাটতে কাটতে দেশের ৬৮ হাজার গ্রামকে একীভূত করার স্বপ্ন দেখতেন। তার পরম পুত্র জনাব তারেক রহমানের স্বপ্ন ছিলো তৃনমূল বিএনপি। বিগত সরকারের সময় জনাব তারেকের তৃনমূল সংগ্রাম বেশ আলোচিত বিষয় ছিলো।

☛ কিন্তু ইদানিংকালের বিএনপির যে কি হলো তা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। নেতারা কাগুরে জমের মতো ভয় পায়। খালি পালিয়ে থাকে। সকাল বিকাল কাগুর দরবারে হাজিরা দিয়ে নিজেদের আর আজরাইলের দুরত্ব মাপার চেষ্টা করে। ওদের অবস্থা দেখে কাগুর খুব মায়া হয়। বলে- ওরে সোনারা, তোমরা শুয়ে বসে শরীরের একি হাল করেছ।

☛ সারা দেহে যে তেল চিক চিক করছে ঠিক আমার টাক মাথার মতো। থুতনীর নীচে এমন তেল জমেছে যে কোনটা গলা আর কোনটা পেট তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই কাগু তাদেরকে শহর ছেড়ে তৃনমূলে দৌড়াদৌড়ি করার পরামর্শ দিয়েছেন।

☛ কিন্তু বিএনপি নামক দলটি ভয়ানক দুষ্ট । এদেশের কিছু নেতার শরীর মনে নানা রকম খবেসী খবেসী দুষ্টোমী লাফালাফি করে। তারা গোপন বৈঠক কিংবা টেলিফোনালাপে কাগুদের সঙ্গে এক ধরনের কথা কয়। আবার মিডিয়ার সামনে অন্য কথা। আর এখানেই কবি নিরব। এক হাতে তো আর তালি বাজে না।

☛ গাজী সালাহউদ্দীনের মহত্ব এবং শিষ্টাচার গ্রহন করার জন্য মহামতি রিচার্ডের মতো হৃদয় থাকা চাই। তদ্রুপ যারা বিএনপির জন্য এতোটা মরমী এবং দরদী হয়ে উঠেছে তাদের সেই মহানুভবতা অনুভব যদি বিএনপি করতে না পারে তাবে সম্ভবত ২০১৯ সালের ট্রেনটিও তারা মিস করবে।

☛ দাদু এবং কাগু বিএনপি বিহীন ট্রেনে চড়তে চড়তে বড়ই ক্লান্তি এবং নিঃসঙ্গতা অনুভব করছেন। জন মানবহীন ধুসর প্রান্তরে ট্রেন এগিয়ে চলছে। নিঃসঙ্গ যাত্রীরা চরম একাকীত্বে বার বার ঘুমিয়ে পড়ছে। আবার ঝাঁকুনীতে জেগে উঠছে- ঘুম কাতুরে চোখে জিজ্ঞাসা করছে মোরে ঝাঁকুনী কে দিলো? আশে পাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই- কাকে দায়ী করবে! কিন্তু শরীরেতো ঝাঁকুনী লাগছেই।

☛ তবে কি ভূত টুথ এসে ঝাঁকা ঝাঁকি শুরু করলো কিনা! নানা সন্দেহ, অবিশ্বাস আর নিঃসঙ্গতার দোলাচলে দাদু ও কাগুরা আবিস্কার করলো- রেল গাড়ীতে প্রয়োজনীয় যাত্রী না থাকলে গাড়ী হালকা হয়ে যায়। আর হালকা গাড়ীতে ঝাঁকুনী লাগবে এটাইতো স্বাভাবিক। আর তখনই রাগ হয় বিএনপির প্রতি- কেনো দুষ্টরা সব পালিয়ে গেলো- কেনো তারা সময়মতো ট্রেনে টেনে বসলোনা! এতো রীতিমতো ইয়ার্কী- দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!

Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×