আজ স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও বাঙালীর দেশ প্রেম, আবেগ আর চেতনায় মিশে আছে কালজয়ী স্লোগান জয় বাংলা। স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে এই অঞ্চলের সামাজিক, রাজনৈতিক তথা সামগ্রিক পরিস্থিতিতে জয় বাংলা শব্দ যুগল এক চমৎকার চিৎকার, যা সাত কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে গিয়েছিলো দাবানলের মত। তা উচ্চারিত হয় আজো এদেশের প্রতিটি জয়ের আনন্দ আর আন্দোলনের বহিঃর্প্রকাশ হিসেবে।
"জয় বাংলা" নিয়ে আলোচনা হলে স্বভাবতই জানার আগ্রহ জাগে কবে প্রথম উচ্চারিত হয়েছিলো এই স্লোগান।
স্লোগান হিসাবে ‘জয় বাংলা’ প্রথম উচ্চারিত হয় ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। সেই বছর ১১ই জানুয়ারি পল্টন ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন ‘জয় বাংলা’ বলে।
১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে পূনরায় বঙ্গবন্ধু শপথ বাক্যের অংশ হিসেবে ‘জয় বাংলা’ শব্দ যুগল পাঠ করেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের সমাপ্তিতে 'জয় বাংলা' স্লোগান বাঙালীর প্রাণে গেঁথে যায়। মুক্তির রণাঙ্গনে 'জয় বাংলা' ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরনার উৎস।
জয় বাংলা কোন দলীয় স্লোগান নয়, জাতীয় স্লোগান। ছোট এই শব্দে এতটাই মিশে আছে প্রানের আবেগ যা মাপা সম্ভয় নয় আর সম্ভব নয় ভাগ করা। কোটি মানুষের স্বপ্নের চিৎকার এখন দলীয় ভাবে অধিক উচ্চারিত। বঙ্গ ভঙ্গের মতই অনেকটা অপ্রত্যাশিত এই স্লোগানটি দলীয় ভাবে ব্যাবহারের। বিপরীতে দাঁড়ানো মানুষের প্রতি আগ্রাসী মানসিকতা আর অহমিকার রাজনৈতিক দর্শন এর জন্য দায়ী। দায়ী কিছুটা মানুষের হুজুগে মনোভাব। ভালো থাকুক বঙ্গ জননী আর তারে ভালোবাসা দিক বঙ্গ সন্তানেরা মিলেমিশে। তাই আজ জয় বাংলার প্রত্যাশা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭