তোমার চোখের দিকেই তাকাতে পারতাম না। কি বলা যায় এটাকে! দ্বিধা? না লজ্জা? না তো! কোনোটাই না। এতোজনের মাঝেও ঠিক আমার মনোযোগটা কাড়তে তোমার একটুও কসরত করতে হয় নি তোমার, একটি বারের জন্যেও না। তোমার চোখে কি ছিলো? ওমন দৃষ্টিটা পেয়েছিলে কোথায়? চোখে চোখ পরলেই মাটির সাথে মিশে যাইতে ইচ্ছে করতো। মুখ থেকে কোনো রা সরতো না, না তোমার, না আমার। আগ্রহটা আমার প্রতি তোমার কখোনোই কম মনে হয় নি। সে কি আমার ভালোবাসার অন্ধত্ব্য! ভেবেই দেখার সময় পাই নি! এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম তোমাকে ভালোবাসতে। একটু একটু কথা, চেনা জানা, কাছে আসা... কতটা সময় চলে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করি নি। মনে আছে তোমার, যে দিন প্রথম হাতটা ধরেছিলে, শেষ বিকেলের আলোয়? সাদা তোমার প্রিয় রঙ ছিলো। আমি সেদিন শুভ্র সাদা একটা থ্রি-পিস পরে ছিলাম। শীতের শেষ দিক ছিলো, মাঘ মাসের বাইশ তারিখ। অবাক হচ্ছো কেনো! আমি আর কিছুতে মন ভোলা হতে পারি, তবে তারিখগুলো ঠিক মনে থাকে সেটা তো তুমি জানোই। ভয় কেনো পেয়েছিলাম জানি না। তোমার হাতটায় কেমন যেনো একটা উষ্ণতা ছিলো। সেটা ধরতে পারার আগেই বুঝতে পারলাম তুমি কাঁপছো। জানো, বহু কষ্টে আমি সেদিন আমার হাসি থামিয়ে ছিলাম। এই নিয়ে কতো না দুষ্টুমি করছি তোমার সাথে! সেই প্রথম হাত ধরার পরও ভালোবাসি কথাটা বলতে তোমার সময় লেগেছিলো আরো দশটা মাস! কত রাগ, মান-অভিমান, দুষ্টুমি, আদর... কিন্তু তুমি আমাকে ফোন দিতে না। মনে মনে কতোটা যে চাইতাম! এই একটা কথাই আমার বুঝতে না আমার তুমি। আমাকে তুমি মেয়ে হিসেবে দেখো নি, মানুষ হিসেবে দেখতে। খুব ভালো লাগতো। মাঝে মাঝে বলতে, কখোনো যদি চলে যাও, বলে যেয়ো। খুব কান্না পাইতো তোমার এই কথাটা শুনে। গিফট দিতে আমার খুব ভালো লাগে। কলেজ থেকে পড়তে যাইতাম বলে মা প্রায়ই খাওয়ার জন্যে টাকা দিতো। রিক্সাভাড়া বাঁচায়ে টুকটুক করে গিফট কিনতাম তোমার জন্য। মনে আছে তোমার, আমাকে তুমি বাবু বলে ডাকতে, আর আমি রেগে গেলে সোনাবউ। ইস, এত্তো লজ্জা লাগতো তখন! বকুল তোমার প্রিয় ফুল ছিলো। কতদিন তোমার জন্য বকুল ফুল কুড়ায়ে নিয়ে গেছি। একদিন ঝাল মুড়ির প্যাকেটের মত করে কাগজ ভাঁজ করে তার মধ্যে ফুল নিয়ে গেছিলাম বলে তুমি ধরেই নিয়েছিলে আমি ঝাল মুড়ি এনেছি। ইচ্ছে করে না গো, কিভাবে এই বুদ্ধিটা মাথায় এসেছিল আমি আসলেই জানি না। আমার চুলে মুখ গুঁজে কিসের যেনো গন্ধ খুজতে তুমি। গন্ধটা নাকি তোমাকে মাতাল করে দেয়। পায়ে পায়ে তোমাকে চাইতাম আমি। তুমি কি বুঝতে, নাকি না বোঝার ভান করে থাকতে? হাতটা ধরে যখন বসে থাকতাম, আর আসতে ইচ্ছা করতো না। আমি কখনো হাজার চেষ্টা করেও তোমাকে রাগাতে পারি নি। উল্টা আমিই রাগে কেঁদে ফেলেছি। কত কিছু! কত্তো বৃষ্টিতে ভিজছি, কখনো আকাশের বৃষ্টিতে, কখনো তোমার ভালোবাসার। অবচেতন ছিলাম তোমার ভালোবাসার জ্বরে। রবিঠাকুরের লেখা আমি পড়তে চাইতাম না। তোমার খুব প্রিয় ছিলো বলে তুমি আমাকে পড়ে শোনাতে। সেই পায়ে পায়ে চলার মুহুর্ত গুলো আজ কই? তোমার প্রিয় ফুলদানিটা তোমার উপর রাগ হইলে ভেংগে ফেলতে বলেছিলে। এখনও আছে সেটা। আজও আমি সাদা রঙের থ্রি-পিস পরে একলা বিকেল পার করি। আজও বকুল ফুলের মালা আমার খোঁপায় থাকে। অন্য কারো স্বপ্ন সাজাও আজ তুমি। কই? যাবার আগে তো একবারও বলে গেলে না আমায়!
আলোচিত ব্লগ
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক
বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন