তারপরও ফিরে গিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম সকল বন্ধন ছিড়ে দিতে। পারলাম না। এ মাটির টান ভুলে যাওয়া সম্ভব না। আবার জনম নিলাম এ ধরায়। নতুন কোনো রুপে, নতুন কোনো নামে। হলাম জাতিস্মর!!! নতুন পৃথিবীর নতুন জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর সাথে হলো পরিচয়। আবার জড়ানো নতুন ভালোবাসায়।
মুক্তি নেই আমার !! ভালোবাসার এক তীব্র টান আছে যাকে উপেক্ষা করার শক্তি স্বয়ং বিধাতারও নেই আর আমি তো কোন এক সামান্য অপ্সরী।
আজ আমার জন্মদিন ছিলো। ছোটবেলার মত জন্মদিন আর ঠিক তেমন করে উদ্বেলিত করেনা হয়তো অনেককেই। ছোট্ট বেলার মত কেক না পেলে, নতুন জামা না পেলে, বিশেষ করে কেউ জন্মদিনটাকে ভুলেই গেলে কেঁদে কেটে বুক ভাসায় না আর কেউ। তবুও যখন খুব অবাক করে দিয়ে ফয়সালভাইয়ার মত কেউ বলে ওঠে,
অপ্সরাপু : দল মত নির্বিশের্ষে সবার উর্দ্ধে সবার প্রিয় আমাদের অপ্সরাপু । সবার উর্দ্ধে কারণ তিনি বেশিরভাগ সময় স্বর্গে অবস্থান করেন। যখন স্বর্গে থাকতে থাকতে বোরিং ফিল করেন ঠিক তখনই এই ধরাধমে কিছু সময়ের জন্য পর্দাপন করেন। আর সে সময়ে আমাদের এই ব্লগ পায় স্বর্গের প্রশান্তি সমৃদ্ধ পোষ্ট উপহার। যেহেতু উনাকে এই চর্ম চোক্ষে দেখা যায় না, তাই তাকে কল্পনা করি তার উপরের প্রো-পিকের ছবির সাথেই । অবশ্য অতি অ-নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে তিনি নাকি আরো একটি শাখা খুলেছেন এই ব্লগে। সেটা যে কেন তা অবশ্য আমার বোধগম্য নহে । তবে আমার কাছে তিনি সব সময় এ্যান্জেলিকা আপু হয়ে আছেন এবং থাকবেন। আশা রাখি আজ আপু এই ধরাণীতে কিছু সময়ের জন্য হলেও আসবেন এবং আমি চাই যে তিনি তার এই অপ্সরা নিক থেকেই আমার পোষ্ট উপহার দিক। কারণ এখনও আমাদের কাছে এই অপ্সরা নিককেই অনেক বেশি আপন মনে হয়।
Click This Link
তখন কি স্বর্গলোকেও আর বসে থাকা যায়!
খুব অবাক করে দিয়ে একদিন ফয়সাল ভাইয়া, ইমন জুবায়ের ভাইয়া, মনজুরুল ভাইয়া, স্বপ্নজয় ভাইয়া, শফিক আসাদ ভাইয়া, রফিকভাইয়া, নীল আকাশের দুঃখভাইয়া,ফারিহানভাইয়া, কালপুরুষভাইয়া, রাতমজুর নানাভাইয়া, সহেলীমনি,বাবুনিমনি, নীলুমনি, রেজুমনি, শ্রাবনসন্ধ্যা আপুনি, ফেরারী পাখি আপুনি, সুরন্জনা আপুনিরা আমার জন্মদিনে হাজার হাজার উইশ আর ভালোবাসায় ভরে তুলেছিলেন আমার এই বিশেষ দিনটি।
হারিয়ে যাবার পরেও বার বার প্রতিবার আমাকে ভুলে যায়নি তারা একটা মুহূর্তের জন্যও। অকৃতজ্ঞ আর স্বার্থপর আমি তাদের ভালোবাসার মূল্য দেবার ক্ষমতা নেই বুঝি আমার।
আজ তাদের সবাইকে আর সাথে এই সামু ব্লগের নতুন পুরাতন, ছোট বড় সব ভাইয়া আর আপুনিদেরকে জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা।
জিসানভাইয়ার জন্য স্পেশালী এই ক্যান্ডিকেকটা।
Click This Link
জিসানভাইয়ার স্নেহমাখা এই পোস্টে যারা যারা এসেছেন ও এখনও যারা আসেননি তাদের সবার জন্য এই স্পেশাল কেক।
পটলভাইয়া ও তার ব্লগের সব ভাইয়া আপুনিদের জন্য এই কেকটা।
Click This Link
আমাকে আয়না নামে এমন সুন্দর একটা উপাধি উপহার দেবার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
সোহানুর রাহমান ভাইয়া- এই ভাইয়াটাকে আমি রাজসোহান বলেই জানি। গতবছর তার এই পোস্টটা দেখে
Click This Link
তেমনি ধারণা ছিলো আমার। কিন্তু এ বছরে কনফিউসড হয়ে যাচ্ছি। যাইহোক তোমার জন্য এই কেকটা সোহানভাইয়া। আর যারা যারা তোমার বাড়িতে বেড়াতে এলো সবাইকে নিয়ে খেয়ো।
Click This Link
মুকুট বিহীন সম্রাট - জাতিস্মর হয়ে জন্মাবার পরেই তার সাথে চেনাজানা আমার। কাল উনি বলেছেন, আমার উপর নাকি কারো রাগ থাকতেই পারেনা এমনটাই তার ধারনা। আমিও এমনটাই জানতাম। বস্তুত জেনে শুনে কাউকে দুঃখ দিতে চাইনা আমি। কিন্তু সবাই শুনলে অবাক হবে যে, এই সম্রাটজী আমার উপর অনেক অনেক রাগ করেই থাকেন প্রায়শই।
Click This Link
যাইহোক সম্রাটজী তোমার বাড়িতে বেড়াতে আসা সবাইকে নিয়ে এই কেকটা খেয়ো ওকে?
বৃষ্টিভাইয়া- যাকে আমি আপুনি বলেই জানতাম।যখন সে বেশ চুপচাপ থাকতো। পরে জানলাম সে নাকি ভাইয়া। মানে যখন উনি সরব হলেন।
Click This Link
ভাইয়া তোমার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর তুমি আর তোমার গেস্টদের জন্য আমার এই কেক।
আমার এই পোস্টটা আমি উৎসর্গ করছি ফয়সালভাইয়া, সোহানভাইয়া,জিসানভাইয়া, পটলভাইয়া, বৃষ্টিভাইয়া আর মুকুটবিহীন সম্রাটজীকে। যারা হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও মনে রেখেছে আমার জন্মের এই বিশেষ দিনটিকে।
একরামুল হক শামীম, নাফিস ইফতেখার আর যাদের সবার জন্মদিন আজকে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। ফেরারী পাখি আপুনির উনার মানে আমাদের ভাইয়াটাকেও জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।সব্বাই ভালো থেকো অনেক অনেক।
সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৫