হায়রে বাংলাদেশের রাজনীতি। এইটার কুনু নীতি আছে বইলা তো মনে লয় না। দুইদিন হইলো ভার্সিটি যাইনা। ভার্সিটি না হয়া কলেজ হইলে খুশি হয়া যাইতাম হরতাল এর বন্ধ পায়া। কিন্তু ভার্সিটিতে ক্লাস মিস হওয়া মানেই মেকাপ ক্লাস, এক্সট্রা আরেকদিন ভার্সিটিতে যাওয়া। মানে, পুরাই আজাইরা ক্যাচাল। এর মইধ্যে আরেকদিন হরতাল। রাজনৈতিক দলগুলা কাদা ছুড়াছুড়ি করে, অগো গায়ে তো লাগেইনা; সব কাদা আয়া লাগে আমগো মতোন আম-জনতার গায়ে।
অনেকদিন আগে নিলয় ভাই এর একটা জোক্স মনে পৈরা গেলো। জোক্স-টা এমুনঃ
““““বাংলাদেশঃ
২০১২ সাল- ২০১৬ সালের মধ্যে উৎক্ষেপিত হবে “বঙ্গবন্ধু-১”
........................................................................
২০১৬ সাল- অবশেষে উৎক্ষেপিত হয়েছে “জিয়া-১”
আমেরিকাঃ
NASA’র দুই বিজ্ঞানী কথা বলছেঃ
-ওরা না “বঙ্গবন্ধু-১” পাঠাবে বলেছিলো?
-আরে মিয়া, বুঝেন নাই? ২০১২ সালে তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো। এখন তো বিএনপি ক্ষমতায়। তাই নাম চেঞ্জ হয়া গেসেগা...””””
এইটা বাংলাদেশ, ব্যাপারটা বুঝতে অইবো তো! এইখানে স্বার্থের লাইগা টানা ৩ দিন হরতাল দিতেও কুনু দল দ্বিধাবোধ করে না। ভাবগতি এমন “দরকার হইলে ১ মাস হরতাল দিমু। দেশ রসাতলে যাক, আগে সরকার দলের পুটু মাইরালৈ”।
অক্ষন বিএনপিরে কউনের কথা একটাইঃ
কালেদা আফু, চেঞ্চুরি তো কইরালাইলেন।বুজলাম আফনে দাইনে দাইনে তিন দাইন মারছেন, এইবার খ্যামা দেন।
ইলিয়াস ভাই, “যেই চিপায়-ই তুই আছস,বাবা; চিপা থাইক্কা বাইর অয়া তোর চাঁদমুখ টা দেহা তোর দলরে। সব তো তোর চিন্তায় চিন্তায় হরতাল দিতে দিতে এনার্জি শেষ কৈরালাইতাসে”