গত কয়েকদিন ধরেই স্নো ফল হচ্ছিল, মঙ্গল বার রাতে এতবেশী স্নো ফল হয় সেটা বুধবার সারাদিন
কন্টিনিউ চলতেছিল,চলতেইছিল। মঙ্গলবারদিনই গাড়ি চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল বুধবার রাস্তা- ঘাটের অবস্থা দেখে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সাহস পেলাম না।
বার বার স্কুলের ওয়েব সাইট দেখছিলাম ও মনে মনে খুব চাইছিলাম আজকের ক্লাসটা বন্ধ ঘোষনা করা হোক। কিন্ত আমার আশায় গুরেবালি ।আমার ক্লাস বারটায় ততক্ষনে রাস্তা মোটামুটি পরিস্কার ও বাস ট্রেন চলছে তাই আমাকে স্কুলে যেতেই হবে। আমিও সিন্ধান্ত নিলাম গাড়ি নিব না , মেট্রো ও বাসে যাব তাতে আমার ৪০-৪৫ মিনিট লাগবে।
আমি প্রায় দের ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হলাম।৩ মিনিটের রাস্তা হেঁটে মেট্রো ইষ্টিশনে যেতে লাগল ১০ মিনিট। রাস্তায় এত স্নো পা ঢেবে যাচ্ছে তার উপর স্নো এসে আমার চশমার গ্লাস গোলা হয়ে যাচ্ছে আমি এগুতে পারছি না । মেট্রো ইষ্টিশনে এসে তারাতারিই মেট্রো পেলাম বেশ খুশীই হলাম । ২০ মিনিটে আমার গন্তব্যে পৌঁছালাম এখান থেকে বাস যাবে আমার স্কুলের সামনে ১০ মিনিট লাগবে। এসে দেখি বাস আসতে ৭ মিনিট বাকি । তখনো স্নো ফল হচ্ছে তবে যেখানে বসে আছি সেখানে স্নো আসছে না এলেও প্রচন্ড ঠান্ডা। ঠান্ডায় আমার শরীর জমে যাচ্ছে বিশেষ করে জুতোর ভিতরে পা রাখতে পারছি না । পায়ের তলা থেকে হাঁটু পর্য়ন্ত ব্যাথা করছে সেই ব্যাথাটা মাথার মধ্যে চিরিক দিচ্ছে , ইচ্ছে হচ্ছে জুতোগুলো পা থেকে ছুড়ে ফেলে দেই ।এত কষ্ট লাগছে, কষ্টে চোখ দিয়ে পানি তো পরছেই ইচ্ছা করছে চিৎকার করে কাঁন্না করি। মরার উপর খরার গা, ৭ মিনিট পর বাস এল না টাইম থবলায় উঠল আর ১৫ মিনিট পর বাস আসবে ।কি করব ভেবে পাচ্ছি না , একবার ভাবছি বাসায় চলে যাই না হলে আমি মরেই যাব ঠান্ডায়।এমনিতেই আমি স্থির হয়ে বসে থাকার মেয়ে না , কিন্ত কি করব পা যে ব্যাথায় টন টন করছে। আমি এই সুইডেনে ১৬ টা উইন্টার পার করেছি আমি ঠান্ডায় এতটা কষ্ট পাইনি কখনো। তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ ডিগ্রিও দেখেছি তবু এতটা কষ্ট আমি পাইনি ।
অবশেষে বাস এল , কষ্টটা এত বেশী ছিল বাসে উঠার পর মনে হল জান্নাতের একটু বাতাস পেলাম।
কষ্ট যতই লাগুক এত সাদা স্নো দেখে মন ভাল না হয়ে পারেই না
মন
কিন্ত আমার গাড়ির অবস্থা দেখে তো ভাল লাগছে না।
আমাদের বাসার সামনেই বাচ্চাদের খেলার পার্কের আবস্থা ।
তাতে কি খেলা কি আর বন্ধ থাকবে বাচ্চাদের সাথে বড়রাও খেলবে স্নোতে।
রাস্তা থেকে স্নো সরানোর কাজ চলছে ।
হাত ধরে নিয়ে চল পথওচিনি না
আরো কিছু স্নোর ছবি ।
এত কষ্ট জীবন নষ্ট।
উপরের ছবিটা নেট থেকে নেয়া।