সেই পুর্ব থেকে পশ্চিমএ অস্ত যাওয়া সুর্য যেন আজ আর ধ্রুব নয়।পশ্চিমা পৃথিবির নিরন্তর সভ্যতা ঢেউ সংস্কৃতির পালে ভর দিয়ে পৌঁছে গেছে পূর্বে।পশ্চিম থেকে পূর্বে-অবিরত চলছে ঢেউ।পূর্ব থেকে পশ্চিম এ নয়।মানুষের আচার বদলেছে,বদলেছে উপমহাদেশের সংস্কৃতি।নতুন সংযোজিত এসব সংস্কৃতি আমাদের নিজস্ব ইচ্ছার সংযোজন।আমাদের স্বাধীনতা আছে।আমরা আমাদের মন্ মত অধিকার উপলব্ধি করতে পারব।এমন্টাই।তারপর স্বাধীনতা আমাদের অর্জন।আজকের নয়।কিছুটা আগের ই বটে।অথচ আমাদের স্বাধীন ব্যবহার স্বাধিনতার সজ্ঞাটাকেই যেন আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে।আমাদের স্বাধীনতা,অপার স্বাধীনতায়।আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই যে,আমরা ইতমধ্যে ভাবতে শুরু করেছি আমাদের পশ্চিমা উপকরণ গুলো চেখে না দেখলেই নয়।আমাদের বস্ত্র,বাক্য,সংগীত,আচরন ইত্যাদি সবই পশ্চিমের আদলে পরিবর্তিত হচ্ছে।আমরা স্বাধীন।তাই ইচ্ছে মতই আমরা চরিত্র পরিবর্তন করতে পারি।আমাদের অধিকার আজ আর সীমাবদ্ধ নয়।কি চমৎকার স্বাধীনতা ! সংস্কৃতি,সভ্যতা বাদ দেয়া যাক।শিক্ষার ব্যাপারটায় আসি।স্বাধীনতা আমাদের শিক্ষার পূর্ণ সুযোগ দিয়েছে।আমাদের নিজস্ব শিক্ষাব্যাবস্থা সংশোধন করার সমপূর্ন সুযোগ আছে।অথচ আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে কি?এক্ষেত্রে তো উন্নত বিশ্বের পদ্ধতি অবলম্বন করা দোষের কিছু নয়।বরং আধুনিক সমাজের সৃষ্টিতে এগিয়ে যাবার জন্য পশ্চিমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা অনেকটাই কার্যকর।যেমন,যার দ্বারা যা হবে বা যার যেদিকে আগ্রহ সেদিকটাতেই জোর দিয়ে কার্যকর শিক্ষাপদ্বতি গিলিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া ব্যাতীত সম্পূর্ন মস্তিষ্ক প্রণোদিত শিক্ষার বাস্তবায়ন কি এতটাই অসম্ভব?নাকি আমাদের মস্তিষ্কই নেই?এবার রাজনীতিতে আসা যাক।আমাদের বিস্তর স্বাধীনতা রাজনীতির অংগনে উলংগ হয়ে ধরা দিয়েছে।আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনতার পুর্ন ব্যাবহার করছেন।হরতাল,অবরধ,বিক্ষোভ হবেই জানা কথা।গনমানুষের অধিকার আদায়ের জন্যই যখন হরতাল চলে তবে এসব হরতাল,অবরোধের দিনে জনগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কেন?নাকি আমাদের রাজনীতি এমনই।কি অভাবনীয় আধুনিক স্বাধীনতা যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন মানুষের উপর চড়াও হয়।মানুষ প্রাণের অন্তে প্রানান্ত বাঁচার চেষ্টায় হাহাকার করেও বাঁচতে পারেনা।সংস্কৃতি,শিক্ষা,রাজনীতি তো গেল।ধর্ম ইদানীং আমাদের স্বাধীনতায় নতুন অন্তরভুক্ত হয়েছে।লজ্জার বিষয় এই যে,আমরা আমাদের ইচ্ছা মত ধর্মের নিয়মকানুন গুলো পরিবর্তন করছি।আমাদের ইজমা,কিয়াস যেন সম্পুরন স্বাধীনতার বিষয়।কে জানে কয়েকদিন পর হয়ত আমাদের ধর্মই পরিবর্তিত হবে।ধর্মের প্রভাব সাম্প্রদায়িকতা কে প্রভাবিত করে না।আমরা মানুষরাই ধর্মকে প্রভাবিত করি।আশ্চর্য নয় কি?সব ই বাদ দিলাম।নৈর্ব্যক্তিক স্বাধীনতা আজ আর বিশ্ব স্বাধীনতার সাথে মিশ খায় না।ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ভূখন্ড সমস্যা মিমাংসা হয় না।তাদের মাঝে শুধু মৃতের সংখ্যার 'উন্নতি' হয়।আমরা মানুষরা উন্নত বিশ্বে তাকিয়ে থাকি।তাদের জীবনধারন পদ্ধতি আমাদের স্বাধীনতার সংশোধন করে না।সংযোজন করে।আমরা অতিরিক্ত স্বাধীনতায় দিশেহারা হয়ে পড়ি।এই স্বাধীনতা সেই চল্লিশ-ছেচল্লিশ বছর আগের স্বাধীনতা থেকে সম্পূর্নই আলাদা।কে জানে এখন আমরাই আলাদা কিনা?হয়ত আমরা মানুষই না !
আলোচিত ব্লগ
ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ
গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন