somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্য ফ্যাব্রিক অব দা কজমসঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নির্মাণশৈলীঃ স্পেস কি? পর্ব-১ (আমার দ্বিতীয় অনুবাদ)

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যাকে এক নামে সবাই চিনেন "দ্য ফ্যাব্রিক অব দা কজমস" এর জনক হিসেবে, " ব্রায়ান গ্রীন"; তাঁর বই হয়তো অনেকেই পড়েছেন, ডকুমেন্টারিও দেখেছেন, কিন্তু যারা এর কোনটাই করেন নি, তাদের জন্যে আজকের পোস্ট; কারন আপনি এর কোনটা না করলে একটি বিশাল জিনিষ মিস করলেন, কারন শুধু আমার না, অনেকের মতেই, একজন উৎকৃষ্ট উপস্থাপকের মাঝে যেসব গুণাবলী থাকা জরুরী, ব্রায়ান গ্রীন সেখানে এক উজ্জ্বল নাম। কারন বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকের নাম মনে আসলেই আমরা খটমটে একটা চেহারা কল্পনা করি, কিন্তু ব্রায়ান গ্রীন এর উপস্থাপনায় আপনি সে ধারণা তো ভুলেই যাবেন, উপরন্তু মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

আমি তাঁর "দ্য ফ্যাব্রিক অব দা কজমস" এর সব গুলো পর্ব এতো বার দেখেছি আর বইগুলো এতো বার পড়েছি যে বলতে গেলে মুখস্ত হয়ে গেছে...... তাই ভাবলাম সম্পূর্ণ বইকে অনুবাদ করার এত সময় কই, তবে তাঁর কিছু ডকুমেন্টারিকে বাংলায় রূপান্তর করলে কেমন হয়?

এই পর্বে তুলে ধরলাম "The fabric of the Cosmos:What is Space?"

আমাদের মহাবিশ্ব বস্তু বা বিভিন্ন উপাদানে পূর্ণ, যেমন দালান-কোঠা, কার, বাস ও মানুষ। এবং এখানে নিউইয়র্কের মতো ব্যস্থ নগরীতে তা আরও বেশি চোখে পড়ার মতো।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই সব কিছু যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনি রহস্যময়ও; যেখানে এর সব কিছু অবস্থিত তা হলো এই "স্পেস"
এই মুহূর্তে আমি কি ভাবছি তা অনুধাবন করতে, চলুন কিছু সময়ের জন্যে থামি। এখন যদি আপনি এই সব কিছু সরিয়ে ফেলেন তাহলে? মানে স্পেস এর সব কিছু; মানুষ, কার এবং দলান-কোঠা। এমনকি পৃথিবীতে যা আছে তা শুধু নয়, বরং গোটা পৃথিবীটাকেও; এর সাতে যদি আপনি সকল গ্রহ-উপগ্রহ, তারকা এবং গ্যালাক্সিও সরিয়ে ফেলেন? শুধু বড় বস্তু নয়, এমনকি সকল ধুলাবালি ও গ্যাস এর অণু-পরমাণু কেও সরিয়ে ফেলেন, কি বাকি থাকবে?

আমাদের অনেকেই বলবেন "কিছু না", এবং আমরা সঠিকও হতে পারি, আবার বিস্ময়কর ভাবে ভুলও । এই খালি স্পেসে কি বাকি থাকবে? একটু গভীর ভাবে দেখলে- শুন্য স্থান বা স্পেস কিন্তু শুন্য নয়। "কিছু একটা" তো বটে। এমন "একটা কিছু" যা চারিত্রিক ভাবে বাস্তব সত্য, যেভাবে সত্য আমাদের প্রাত্যাহিত জীবনের সকল বস্তু।

সুতরাং- স্পেস আসলেই বাস্তব সত্য। ইহা বাকা হতে পারে, মোড় নিতে পারে, এবং তরঙ্গায়িত হতে পারে। বাস্তবিক সত্য যা আমাদের পারিপার্শ্বিক সব কিছুকে আকৃতি দান করেছে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গঠন শৈলী হিসেবে অস্তিত্ব ধারন করে আছে।

এখানে শিকাগো ইউনিভার্সিটির CRAIG HOGAN বলছেন- "আপনি এই মহাবিশ্বের কিছুই বুঝতে পারবেন না যদি না আপনি স্পেস বুঝেন, কারন এটাই মহাবিশ্ব এবং এতেই সব কিছু অবস্তিত"।

JAMES GATES, JR, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড, বলছেন- "আমরা আসলে স্পেস সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞাত নই। যেমন ভাবে বলা যায়- পানির মাছও হয়তো পানি সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞান রাখে না, যদিও তারা এতে বাস করছে"।

যখন আমরা স্পেস কল্পনা করি, স্বভাবতই আমরা মহাশূন্যের কথা ভাবি, দুরের একটি স্থান, অনেক অনেক দুরের।
কিন্তু স্পেস সাধারণত সব খানে। আপনি হয়তো বলতে পারেন এটা মহাবিশ্বের সব চেয়ে পরিত্যক্ত জিনিষ। বরং ক্ষুদ্র বস্তু যেমন- আপনার আমার আভ্যন্তরীণ কিন্তু বিশেষ উপাদান, যদিও তা আসলে শুন্য স্থান।

অনেকগুলো পাথর, কাঁচ এবং ষ্টীল দ্বারা তৈরি এই যে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, যদি আপনি এসবের মুল উপাদান অর্থাৎ পরমাণুর আভ্যন্তরীণ সকল শুন্য অর্থাৎ খালি স্পেস সরিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনি একটি চালের দানার সমান দেখবেন এই বিল্ডিং কে, কিন্তু এর ওজন হবে কয়েক হাজার মিলিয়ন পাউন্ড। বাকি থাকলো শুধু শুন্য স্পেস।

কিন্তু প্রকৃত ভাবে কি এই স্পেস? আমি আপনাকে এই মুহূর্তে একটি ফটো দেখাচ্ছি স্পেন এর, এটি নেপোলিয়ন এর, ইনি আমার আঙ্কেল হেরল্ড, কিন্তু স্পেস? দেখতে এই রকম, (একটি অন্ধকার/ কালো ফটো), দেখতে কিছুই না।
সুতরাং যা আপনি দেখতেই পান না তার সম্পর্কে কি ধারনা পেতে পারেন?

লিওনার্ড সুসকিন্ড বলছেন- কেন সেখানে কোন স্পেস না থাকার চেয়ে স্পেস আসলো? কেন স্পেস ত্রি-মাত্রিক? কেন এই স্পেস বিশাল? আমাদের জন্য অনেক গুলো কক্ষ আছে, কিন্তু এগুল কেন ক্ষুদ্র নয়? এই ব্যাপার গুলোতে আমাদের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

ALEX FILIPPENKO, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বলছেন- স্পেস কি? আমরা আসলে এখনো জানি না।

S. JAMES GATES, JR বলছেন- এটা ফিজিক্সে একটি গভীরতম রহস্য।

ভাগ্যক্রমে আমরা পুরোপুরি ভাবে অন্ধকারে নই। আমরা এই শতকের প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে তথ্য একত্রিত করার চেষ্টা করছি, যার কিছু আসে কিভাবে বস্তু স্পেসে চলাচল করে/ নড়াচড়া করে।
এ বিষয়ে একটি ধারনা পেতে লক্ষ্য করুন এই স্কেটার- এর প্রতি ,



সে ঘুরে ঘুরে স্কেটিং করছে তার পারিপার্শ্বিক সব কিছু সাতে, একটি সম্পর্ক আছে, যেমন বরফ। এবং যখন সে গতি সঞ্চার করে, সে শুধু তা দেখেই না যে সে ঘুরছে, বরং সে তা অনুভবও করতে পারে, কারন সে গতিতে আছে, সে অনুভব করে তার বাহু বাইরের দিকে প্রসারিত হচ্ছে।

কিন্তু এখন, কল্পনা করুন আপনি এই স্কেটারের চারপাশের সব কিছু সরিয়ে ফেলছেন, ফ্লোর থেকে দুরের গালাক্সি পর্যন্ত, এখন কি দেখতে পাচ্ছেন? স্কেটার সম্পূর্ণ ভাবে "শুন্য" স্পেসে ঘুরছেন।



যদি এই স্কেটার এখনো অনুভব করেন তার হাত বাইরে টানছে, সে জানবে যে সে ঘুরছে। কিন্তু যদি এই স্পেস "কিছু না", তাহলে এই স্কেটারের ঘূর্ণন কিসের সাতে সম্পর্কিত?

মনে করুন আপনি এই স্কেটার; যখন আপনি বাইরে তাকালেন, কিছু দেখছেন না। শুধুমাত্র ইউনিফর্ম। আপনার চারপাশে আর বাকিসব অন্ধকার, এবং এখনো, আপনার বাহু কি বাইরের দিকে টান অনুভব করছে? সুতরাং আপনি নিজেকে জিগ্যেস করছেন, আমি কার অথবা কিসের অবলম্বনে ঘুরছি? তাহলে কি এখানে এমন কিছু আছে যা আমি দেখছি না?

চেষ্টা করি আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে, বিজ্ঞানীরা স্পেসের একটি পরিষ্কার ছবি তুলে ধরেছেন। এবং তা ছিল শুন্য( nothing) থেকে কোনকিছু(something) আবিস্কার করা।



কিন্তু এখানে আপনি এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে যা আপনি এর বিজ্ঞাপন পত্রে খুঁজে পাবেন না। এমন কিছু যা আমরা খুব শক্ত ভাবে লক্ষ্য করেছি; এই ষ্টেজ বা মঞ্চ। ইহা প্রদর্শনীর একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ, এবং এখনো আমাদের অনেকে, একে নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করি নি। কিন্তু "আইজ্যাক নিউটন" করেছিলেন।
ঠিক এইভাবে আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক "আইজ্যাক নিউটন" স্পেস কে তুলে ধরেনঃ একটি শুন্য মঞ্ছের মতো। নিউটনের কাছে এই মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটে, স্পেস ছিল কাঠামো। যেখানে এই থিয়েটারের মতো মহাবিশ্বের সকল নাটক মঞ্চস্থ হয়।

এবং নিউটনের ষ্টেজ ছিলো নিষ্ক্রিয়, পরম, অসাড় ও অপরিবর্তনীয়। action মঞ্চকে(ষ্টেজ) প্রভাবিত করেনা, এবং স্টেজও action কে অর্থাৎ কাজ(অভিনয়) প্রভাবিত করে না।
এইভাবে স্পেস কে তুলে ধরে, নিউটন বিশ্ব কে এমন ভাবে বর্ণনা করেছিলেন, যা এর আগে কেউ করতে সমর্থ হয় নি। তাঁর এই অপরিবর্তনীয় ষ্টেজ তাকে আমাদের চারপাশের সব কিছুর গতি বুঝিয়ে দিতে পেরেছিলো, কেন অ্যাপেল মাটিতে পড়ে, কেন সূর্য কে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরে।

তাঁর এই ব্যাখ্যা এতোই ভালো ছিল যা আজও আমাদের পারিপার্শ্বিক সব কিছু ব্যাখ্যা করছি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে উড়োজাহাজ অবতরণে।

আর এই সব সুত্র একটি তত্ত্বই বলেঃ স্পেস আসলে বাস্তব। যদিও আপনি একে অনুভব করতে পারেন না, অথবা গন্ধ নিতে পারেন না কিংবা স্পর্শও করতে পারেন না, কিন্তু ফিজিক্স একে ভালো ভাবেই বর্ণনা করতে পারে। ঐ স্কেটারের মতোঃ নিউটন বলতেন- যখন সে ঘুরে, তার বাহু বাইরে প্রসারিত হয় কারন সে "কোন কিছু"র সাতে সম্পর্কিত হয়ে ঘুরছে, এবং এই "কোন কিছু"ই স্পেস নিজে।

S. JAMES GATES, JR.- বলেছেন- দার্শনিকগণ অনেক আগে থেকেই স্পেসের ধর্ম নিয়ে বিতর্ক করছেন। নিউটন যা করেছন, তা হলো তিনি বিতর্কের "বিষয়"ই পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন, এবং তার সাথে, সংগত কারনেই, আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম হয়।

নিউটনের এই "ষ্টেজ" বা মঞ্ছ ছিলো বিশাল জনপ্রিয়। যা প্রায় ২০০ বছর রাজত্ব করেছে। কিন্তু ২০ শতকের শুরুর দিকে, একটি নতুন ধারনা এই ষ্টেজের কাঠামোকেই নাড়িয়ে দেয়, ধারনা আগাতে থাকে একজন তরুণ প্রতিভাবানের সাতে, যিনি সুইস প্যাটেন্ট অফিসে কাজ করছিলেন, তার নাম? "আলবার্ট আইনস্টাইন"
আইনস্টাইন বেড়ে উঠেছিলেন ১৮০০ সালের শেষ দিকে, বৈদ্যুতিক যুগের ঊষালগ্নে। বৈদ্যুতিক শক্তি শহরকে আলোকিত করছিলো, সকল প্রকার প্রযুক্তিকে এমন ভাবে জাগিয়ে তুলছিল, যা নিউটন কখনো চিন্তা করেন নি।

এর সব পরিবর্তন এমন কিছুর আধার ছিলো যা আইনস্টাইন কে ছোটবেলা থেকেই অনুপ্রাণিত করেঃ আলো। ভাল্বের আলো কিংবা রাস্তার বাতিও নয়, বরং আলোর প্রকৃতি, নিজে। আর এর মাঝে আলোর একটি বিশেষ ধর্ম তাকে আকর্ষণ করেছিলো চরম ভাবে; এর গতি, যা নিউটনের স্পেস থেকে নতুন মোড়ে নিয়ে আসেন আইনস্টাইন।

এটা দেখতে চলুন একটু ঘুরে আসি। ( মিঃ গ্রীন একটি ট্যাক্সি তে চড়লেন)

এই মুহূর্তে, আমরা ঘন্তায় প্রায় ২০ মাইল বেগে ভ্রমণ করছি।
আরও দ্রুত যেতে, ড্রাইভার তার গ্যাসে অর্থাৎ এক্সিলারেটর দাবাতে হবে, ক্যাব এর গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন, আপনি এই পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন, এবং তা দেখতেও পারেন ক্যাব এর স্পিডোমিটারে, অথবা একটি রাডার স্পিড সঙ্কেতে।
ঠিক আছে, আপনি এখানে থেমে যেতে পারেন (ড্রাইভার কে উদ্যেশ্য করে)

কিন্তু এখন, মনে করুন আপনি ক্যাব এর গতি না মেপে, আপনার কাছে একটি রাডার সংকেত আছে যা দিয়ে ক্যাবের হেডলাইট থেকে নিঃসরিত আলোর গতি পরিমাপ করছেন। এই সংকেত আলোর গতি বলবে- ৬৭১,০০০,০০০ মাইল/ প্রতি ঘণ্টায়
যখন, ক্যাব চলতে শুরু করে, আপনি ভাবতে পারেন যে ক্যাব এর গতির সাতে আলোর গতিও বৃদ্ধি পাবে সমান অনুপাতে। অর্থাৎ, আপনি ভাবছেন চলতি ক্যাব আলোর গতিতে আরও একটু বাড়তি ধাক্কা দিতে পারে।

কিন্তু বিস্ময়করভাবে, তা ঘটছে না।
আমাদের রাডার সংকেত, অথবা যে কোন ধরণের আলোর গতি পরিমাপক যন্ত্র, আলোর গতি সর্বদা সমান দেখাবে- ৬৭১,০০০,০০০ মাইল/ ঘণ্টায়, ক্যাব চলুক অথবা না।
কিন্তু কিভাবে? কিভাবে সকল অবস্থায় আলোর গতি সমান হতে পারে?

JANNA LEVIN, কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, বলছেন- যদি আপনি একটি দেয়ালের দিকে দৌড়ান, তাহলে তা আপনার দিকে আরও দ্রুত আসছে যদি আপনি দাড়িয়ে থাকেন দেয়াল কে লক্ষ্য ধরে, তবে তা ঘটবে না। কিন্তু আলোর বেলায় এটা সত্য না। আলোর গতি সবার জন্যে সমান। যা আসলেই বিস্ময়কর।

সুতরাং, আইনস্টাইন এখানে এই বিস্ময়কর ব্যাপারে জট খুলছেন, তা জেনে যে, গতি শুধুমাত্র স্পেসের একটি পরিমাপক যা সময়ের সাতে ভ্রমণ করে, আইনস্টাইন প্রকৃতপক্ষেই একটি অসাধারণ ধারনা উত্থাপন করেন, যা হলো- আপনি যত দ্রুতই ভ্রমণ করেন না কেন, আলোর গতি সর্বদা হিসেব করলে ৬৭১,০০০,০০০ মাইল/ প্রতি ঘণ্টা থাকবে।

যদি স্পেস এবং টাইম ফ্লেক্সিবল হয়ে যায় তাহলে তা ভালো শুনায় না, কারন আমরা প্রতিদিন যথেষ্ট দ্রুত ভ্রমন করি না যে এই ক্রিয়া দেখতে পারি। কিন্তু যদি এই ক্যাব আলোর গতির কাছাকাছি গতিশীল হয়, তাহলে এই ক্রিয়া আর লুকায়িত থাকবে না।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকেন যখন আমার গতি থাকে আলোর কাছাকাছি, আপনি দেখবেন যে স্পেস সংকুচিত হয়ে আসছে,



সুতরাং আমার ক্যাব আপনার কাছে মাত্র এক ইঞ্চি দীর্ঘ লাগবে,

এবং আপনি আমার ঘড়ীর কাটার শব্দ শুনলে বুঝবেন তা অনেক ধীরে চলছে।
কিন্তু ক্যাবের ভেতর আমার দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার ঘড়ি ঠিকই আছে মনে হবে।

আমার দৃষ্টিতে, ক্যাবের ভেতর, আমার ঘড়ি স্বাভাবিক ভাবেই চলবে এবং স্পেসও ঠিক মনে হবে।
কিন্তু যখন, আমি বাইরে তাকাবো, সব কিছু বেকে যেতে দেখবো। এর সব কিছু আলোর গতিকে ঠিক রাখতে



২-



সুতরাং, আইনস্টাইনের মতে- টাইম ও স্পেস এখন আর দৃঢ় এবং পরম নয়। তার পরিবর্তে, গতির সাতে তারা একত্রে মিশেযেতে পারে, গঠন করে একটি একক সত্ত্বা, যার নাম "স্পেসটাইম - SPACETIME"।

EDWARD "ROCKY" KOLB , শিকাগো ইউনিভার্সিটি, বলছেন- আমার মনে হয়, আমাদের এই প্রাত্যাহিত জীবন আসলে নিউটনিয়ান জীবন, তিনি যেভাবে স্পেস ও টাইম কে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ইহা তো এমন কিছু যাতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি, কিন্তু আইনস্টাইন তার গভীরে যেতে পেরেছেন, যা আসলেই আইনস্টাইনের প্রতিভা কে তুলে ধরে।

S. JAMES GATES, JR বলছেন- টাইম আর স্পেস এর এই ধারনা একটি একতা, আমার কাছে, এটা বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর ব্যাপার।
আর আইনস্টাইনের হাত ধরে, তার এই নতুন তত্ত্ব হয়তো বিজ্ঞানের এই গভীর রহস্য বের করতে পারে যা মহাকাশের সাতে চিরায়ত ভাবেই জড়িতঃ অভিকর্ষ।

নিউটন জানতেন যে অভিকর্ষ একটি বল যা বস্তুকে পরস্পরের দিকে টানছে। আর তার সুত্র এই ক্ষমতাকে একটি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে। কিন্তু আসলে অভিকর্ষ কিভাবে কাজ করে? হাজার লক্ষ মাইল দুরের চাঁদকে কিভাবে পৃথিবী তার দিকে টানে? তাদের আচরণ দেখে মনে হয় যেন পরস্পর একটি অদৃশ্য রশি দিয়ে বাঁধা, কিন্তু সবা জানতো যে এই সুত্র সঠিক ছিল না, এবং নিউটনের সুত্র এর ব্যাখ্যায় অপারগ হয়।

ALEX FILIPPENKO বলছেন- আইনস্টাইন আবিষ্কার করলেন যে একম কোন কিছু নিউটনের অভিকর্ষকে সংশোধন করতে পারবে না। এর জন্যে তাঁকে এর কারিগরি আবিষ্কার করতে হয়েছিলো,এটি তাঁকে বুঝতে হয়েছিলো।

১০ বছর এই সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর পর, আইনস্টাইন উপসংহার টানতে শুরু করলেনঃ অভিকর্ষের এই গোপনীয়তা স্পেসটাইমে নিহিত। এটা তার আগের ধারনা থেকেও আরও স্বাভাবিক ছিলো। ইহা প্রসারিত হতে পারে, প্রকৃত ফেব্রিকের মতো। যা আসলেই নিউটন থেকে এক বিশাল মোড় ছিলো।



এই টেবিল কে স্পেসটাইম হিসেবে কল্পনা করুন, এই বলগুলো স্পেসের বস্তু। এখন যদি স্পেসটাইম সুন্দর ও চ্যাপ্টা হয়, এই টেবিলের মতো, তাহলে বস্তু টেবিলে সমান্তরাল অর্থাৎ সোজা চলার কথা। কিন্ত, যদি স্পেস হয় একটি ফেব্রিক ের মতো যা প্রসারিত ও বাকা হতে পারে? তা একটু বিভ্রান্তিকর মনে হবে, কিন্তু দেখুন, যদি আমি এতে ভারি কিছু রাখি।



এখন যদি আমি আবার বলকে আঘাত করি, তাহলে তা ফেব্রিকের ঐ বাকে বাকে চলবে যা ভারি অবজেক্ট রাখার ফলে তৈরি হয়েছে।



আর আইনস্টাইন তাই অনুধাবন করেছিলেন যে কিভাবে গ্রাভিটি বা অভিকর্ষ কাজ করে। অন্যকথায়- অভিকর্ষ নিজে হচ্ছে স্পেসটাইমের গঠন বা শেপ। চাঁদ তার কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে, এই জন্যে নয় যে তা পৃথিবীর দিকে আকর্ষিত হয় কোন রহস্যজনক বল দ্বারা, বরং তা ঐ বাকে বা লাইনে ঘূর্ণায়মান যা পৃথিবী স্পেসটাইমের ফেব্রিকে স্থাপিত হওয়ার দরুন সৃষ্টি হয়েছে।



সুসকিন্ড বলছেন- আইনস্টাইনের মতে- স্পেস শুধুমাত্র বাস্তব নয়, বরং তা ফ্লেক্সিবলও। যার কারনে স্পেসের ধর্ম আছে, বক্রতা আছে। যার কারনে হঠাৎ করে জ্যামিতিতে স্পেস ফ্লেক্সিবল হয়ে উঠে, যেমন একটি রাবার সিট এর মতো।

S. JAMES GATES, JR, বলছেন- মহাবিশ্বের বর্ণনায় তা একটি সম্পূর্ণ ধারনা নিয়ে এসেছে। আইনস্টাইন, "আইনস্টাইন" হয়েছেন তাঁর ঐ পর্যবেক্ষণের জন্যে।

নিউটন যেখানে স্পেস কে দেখেছেন নিষ্ক্রিয় ভাবে, আইনস্টাইন একে দেখেছেন সক্রিয় অর্থাৎ ডায়নামিক রুপে; যা টাইমের সাতে জড়িত, এবং টাইমের আচরণকেও নির্দেশ করে। সুতরাং, আইনস্টাইনের পরে, স্পেস আর একটি স্থির মঞ্ছ হিসেবে বিবেচ্য নয়। ইহা সয়ং এক এক্টর (নায়ক), এবং তা মহাজাগতিক নাটকে একটি অত্যাবশ্যকীয় চরিত্র।

এখন, আমরা স্পেস কে চিন্তা করি ডায়নামিক, সক্রিয় এবং ফ্লাক্সিবল হিসেবে, ফেব্রিকের মতো। কিন্তু আসলে কি তা এইরকম? নাকি একটি রুপক মাত্র? অথবা ইহা কি আসলে স্পেস কে ব্যাখ্যা করতে পারে?

হ্যাঁ, আইনস্টাইনের থিয়োরি দাবি করে তা নির্ণয় করতে হলে ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছি আমাদের একটি ভ্রমণ দরকার।
ব্ল্যাকহোল হলো অতি সংকুচিত তারকা, বিশাল বস্তু এর কেন্দ্রে সংকুচিত হয়ে অবস্থান করে তিব্র অভিকর্ষের প্রভাবে, আইনস্টাইনের মতে- একটি সচল ব্ল্যাক হোল সরসরি স্পেসকে তার দিকে টানতে পারে, মুচড়ে দিতে পারে এক টুকরো কাপড়ের মতো।

কাছাকাছি ব্ল্যাক হোল ট্রিলিয়ন মাইল দুরে, এই তত্ত্ব প্রমাণ করতে একে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।

কিন্তু ১৯৫০ সালের শেষ দিকে, একজন পদার্থবিদ নাম, "Leonard Schiff", আইনস্টাইনের এই ধারণাকে পরীক্ষা করতে একটি উপায় খুঁজছিলেন, অনেকটা কাছাকাছি। Leonard Schiff অনুপ্রেরণা পান একটি শিশু খেলনা থেকে; একটি "জায়রোস্কোপ"


ফটো- জায়রোস্কোপ

তিনি ভাবলেন যদি স্পেস প্রকৃত ভাবেই ফেব্রিকের মতো বেকে বা মুচড়ে যায়, তাহলে একটি "জায়রোস্কোপ- Gyroscope" তা শনাক্ত করতে পারবে।

একটি বিস্ময়কর আইডিয়া ছিলো, এবং তিনি একটি অদ্ভুত জায়গা খুজলেন এই আইডিয়া বিশ্বের সাতে শেয়ার করতে; স্ট্যানফোর্ডের ফ্যাকাল্টি সুইমিং পুল, এখানে, ১৯৫৯ সালে Schiff দেখা করলেন তার দুজন কলিগের সাতে- "উইলিয়াম ফায়ারব্যাঙ্ক" ও "বব ক্যানন"। তিনি এর আগে একটি উচ্চ প্রযুক্তির জায়রোস্কোপ নিয়ে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখছিলেন। যদিও তা দেখতে ভিন্ন ছিল, ইহা আসলে কাজ করে শিশুদের খেলনার মতই। এর পর তিনি এখানে, তিনজন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা একটি জায়রোস্কোপের মতো যন্ত্র তৈরি করবেন যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে পারে।

সাধারণতঃ একটি জায়রোস্কোপের অক্ষ একটি নির্দিষ্ট দিকে তাক করা থাকে। কিন্তু যদি পৃথিবী সত্যই স্পেসকে তার দিকে টানে, তাহলে জায়রোস্কোপের অক্ষেও এর টান পড়বে, এমন একটি পর্যায়ে যা পরিমাপ করা যায়।

ইহা একটি চমৎকার সহজ প্লান ছিলো। কিন্তু দেখা দিলো একটি সমস্যাঃ আইনস্টাইনের তত্ত্ব দাবী করে পৃথিবীর ঘূর্ণন স্পেস দ্বারা মুচড়ে যায় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র পরিসরে, যা এমন হবে যেন ৬২ মাইল দুরে থেকে একটি কয়েনের উচ্চতা মাপার মতো।
গবেষক দল দুই বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করলেন কিভাবে এই সমস্যার একটি সূক্ষ্ম সমাধান বের করা যায়। তাঁরা পরিশেষে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যা চারটি ফ্রি-ভাসমান জায়রোস্কোপের সাতে একটি টেলিস্কোপে স্থাপন করবেন দুরের একটি তারকার দিকে তাক করে। যদি স্পেস মুচড়ে যায়, সময়ের সাতে, তাহলে জায়রোস্কোপের লক্ষ্য আর ঐ তারকার দিকে ঠিক থাকবে না।



এবং ১৯৬২ সালে, তাঁরা "নাসা" তে এই প্রজেক্ট অনুমোদনের জন্যে আবেদন করলেন, যাতে প্রায় মিলিয়ন পাউন্ডের মতো খরচ পড়বে, প্রজেক্টের নাম দিলেন- "গ্রাভিটি প্রোভ বি- Gravity Probe B"
দলের সদস্যরা ভেবেছিলেন যে এই প্রজেক্ট শুরু হতে হতে খুব বেশি হলে ৩ বছর লাগতে পারে। তাঁরা খুব কমই আশাবাদী ছিলেন।

কিন্তু এই টিমের সাতে, Gravity Probe B হয়ে পড়ল একটি দীর্ঘ-সময়সাপেক্ষ প্রজেক্ট। দশকের পর দশক গত হতে লাগলো শুধু এর আসল উদ্দেশ্য বুঝতে।

চার দশক ও প্রায় ৭৫০,০০০,০০০ ডলার ব্যয় হবার পর, এই প্রজেক্ট নাসা ৯ (নয়) বার বতিল করেছে। পরিশেষে, এপ্রিল ২০০৪ এ, টিম তা লঞ্চ করার আয়োজন করতে লাগলো। কিন্তু তা দেখার জন্যে সেই তিন জনের মাত্র একজনই বেঁচে ছিলেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, Gravity Probe B পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে, যখন গবেষক দল এর প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করছেন, চেষ্টা করছেন দেখতে যে পৃথিবী কে আসলে স্পেস কে মুচড়ে দেয়।
শেষ পর্যন্ত, ডেটা যখন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিলো, সেখানে দেখা দিলো এক সমস্যা; জায়রোস্কোপটি একটি ক্ষুদ্র, অপ্রত্যাশিত কম্পন অনুভব করছে, কিন্তু একে মেরামত করতে মিলিয়ন ডলার ব্যয় পড়বে।

এদিকে ফান্ডও শেষ পর্যায়ে, মনে হতে লাগলো যে প্রায় অর্ধ শতকের কাজ ও পরিশ্রম খাঁদে যাচ্ছে।

তখন, শেষ সম্ভাব্য মুহূর্তে, ফান্ডে কিছু টাকা যোগ হলো, ওরিজিনাল টিম মেম্বার- উইলিয়াম ফায়ারব্যাঙ্ক-এর ছেলে এগিয়ে আসলেন; আরও এগিয়ে আসলেন "তুর্কি-আল-সউদ", স্ট্যানফোর্ড থেকে অ্যারোনটিকস -এ ডিগ্রি নেয়া সৌদির রয়াল ফ্যামিলির এক সদস্য, যিনি একটি বড় পরিমাণের ডোনেশন প্রদান করেন।
পরবর্তী দুই বছরে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো, প্রকাশিত হলো যে জায়রোস্কোপের অক্ষ ঠিক সে দিকে ঘুরে গেলো যেভাবে আইনস্টাইন দাবী করেছিলেন।


ব্রাড পার্কিনসন বলছেন- আমি মনে করি এই প্রথমবার আপনি আইনস্টাইনের তত্ত্বের প্রমাণ খালি চোখে দেখতে পারছেন।

এই পরীক্ষা সরাসরি প্রমাণ করে যে স্পেস আসলে বাস্তব, এতদিন ধরে আমরা যার সত্যতা পেয়ে আসছি,যা একটি ফিজিক্যাল স্বত্বা, একটি ফেব্রিকের মতো। এক কথায়, যদি স্পেস "কিছুই না" তাহলে সেখানে একে বাকিয়ে দেয়ার মতোও কিছু থাকার কথা না।
কিন্তু একই সময়ে, আলবার্ট আইনস্টাইন স্পেসকে খুঁজছিলেন আরও বৃহৎ স্কেলে, যেমন এই মহাবিশ্বের স্কেল অনেক ক্ষুদ্র। এবং সেখানে, আইনস্টাইন এমন কিছু পেয়েছিলেন, যা আজ আমরা সবখানে পেতে পারি।

আমি কি ভাবছি তা দেখতে, কল্পনা করুন আপনি নিজেকে এতো ক্ষুদ্র করে ফেলুন যা কল্পনাও করা যায় না, আপনার বর্তমান আকৃতি থেকে। এই হলো পরমাণুর রাজত্ব, আমরা যা কিছু দেখি, বিল্ডিং অথবা যে কোন কিছুর একেবারে প্রাথমিক উপাদান।
এবং যখন আপনি এরও বেশি ক্ষুদ্র আকারে চলে যাবেন, বিশ্ব তখন একটি ভিন্ন নিয়ম পালন করে, যাকে বলে - "কোয়ান্টাম মেকানিক্স"। এই নীতিতে যদি আপনি চেষ্টা করেন সব কিছু অর্থাৎ শেষ পরমাণুটি ও কণাটি সরিয়ে ফেলতে, আপনি শুন্য স্থানকে শুন্য করা থেকে অনেক দুরে থাকবেন।

লিওনার্ড সুসকিন্ড বলছেন- কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, শুন্য স্থান আসলে ততটা শুন্য নয়, ইহা তরঙ্গায়িত ক্ষেত্র দ্বারা পরিপূর্ণ, যেখানে অতি সূক্ষ্ম ঘটনা চলতেই আছে।

থিয়োরি যখন এটা দাবী করছে, কিন্তু তা ১৯৪৮ সালের পূর্বে ছিল না, যখন একজন বিজ্ঞানী, নাম- Hendrik Casimir, উপস্থাপন করেন যে... যদিও আমরা পার্টিকল দেখতে পারি না, কিন্তু তারা শুন্য স্থানে এমন কিছু করে যা আমরা দেখতে পারি, তিনি দাবী করেন যে আপনি যদি দুটি সাধারন ধাতব প্লেট খুব কাছাকাছি রাখেন, যেমন একটি কাগজের সিট যতটুকু পুরু, সে দূরত্বে, তাহলে কিছু ভিন্ন শক্তির পার্টিকল এতে বাধা প্রাদান করবে, কারন কিছু ক্ষেত্রে, তারা এই প্লেটের মাঝখানে অবস্থান করতে পারে না।

"Casimir" এর মতে, শুন্য স্থানে এই দুটি প্লেট আলগা থাকতে পারে না, কারন এতে পার্টিকল বল প্রয়োগ করবে। এবং কয়েকবছর পরে, যখন এই এক্সপেরিমেন্ট করা হলো, Casimir সঠিক প্রমাণ হলেন। শুন্য স্থানে, প্লেট দুটি একত্রিত হয়ে যায় পার্টিকলের চাপে।
সুতরাং, পারমাণবিক স্কেলে, শুন্য স্থান কিন্তু শুন্য নয়; ইহা ক্রিয়ার এক পূর্ণ সংযোগস্থল যা বস্তুকে চলাচলে বাধ্য করে।
আর আজকে, এই ক্ষুদ্র বস্তুর কার্যক্রম বুঝতে চলছে ইতিহাসের সব চেয়ে ব্যায়বহুল ও বিশাল এক্সপেরিমেন্ট।

তা হলো- "CERN, the European Organization for Nuclear Research", জেনেভায়। যেখানে পার্টিকলকে আলোর গতির ৯৯.৯৯ কাছাকাছি বেগে গতিশীল করে বিস্ফোরিত করে পর্যবেক্ষণ করা হবে।



এই বিস্ফোরণ থেকে খোঁজা হচ্ছে এমন এক "পার্টিকল" যা সব কিছুর সৃষ্টির মূলে, যার খোঁজ শুরু হয়েছিলো ৪০ বছর পূর্বে......।

------------চলবে...


----------------------------------------------------------------
**পর্ব -১ এখানেই সমাপ্ত...।

**তথ্যসূত্র- pbs.org
-PBS: Public Broadcasting Service
**ডকুমেন্টারি লিঙ্ক- http://video.pbs.org/video/2163057527/
**ইউটিউব- http://www.youtube.com/watch?v=2w-xAKL8G_Y



** প্রথম অনুবাদ ছিলো "ডিসকভারি চ্যানেল" -এর একটি ডকুমেন্টারি- " দ্য লাস্ট ডে অব দা ডাইনোসরঃ অতিকায় দানবদের শেষ দিন ও পৃথিবীতে মনুষ্য প্রাণের সূচনা। বিতর্কের আড়ালে প্রকৃত সত্য।


ভালো থাকা হোক সবার, নিরন্তর।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
২৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×