আমার ব্যক্তিগত কিছু ঋণ সুদ করতে গিয়ে ঈদে প্রাপ্ত বেতন বোনাস ও জমানো সকল টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। ঈদের অন্তত ২/১ দিন আগে দু'টি স্থান থেকে কিছু টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল তাই হাতের সকল টাকা দিয়ে ঋণ সুদ করে ফেলি। কিন্তু ঈদের আগের দিন একজনের কাছে টাকা আনতে গেলাম (আমার নিজেরই টাকা), কিন্তু তিনি আমাকে টাকা দিলেন না বরং হিসাবের মারপেচে ফেলে জটিলতার সৃষ্টি করলেন। আমি তাঁকে বললাম আপনার কাছে আমার ........ টাকা পাওনা আছে। তনি বললে আমি আপনাকে ........ টাকা দিয়ে দিয়েছি, এই দেখেন আমার কাছে লিখা আছে। আমি তাঁকে অনেক বুঝাতে চেষ্টা করলাম যে, আপনি ভুল করেছেন। শেষ পর্যন্ত বললাম আচ্ছা ঠিক আছে ঐ টাকাটা বাদ দিয়ে যা থাকে তা আমাকে দিয়ে দেন, তখন তিনি বললেন, "আজ আমি আপনাকে কোন টাকা দিতে পারবো না। তখনই বুঝে গেলাম, আসল সমস্যাটা কোন যায়গায়।
আর আরেকটা যায়গায় যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল সেখানে আমি বলিনি বা বলার মত সুযোগ পাইনি। যাঁর কাছে টাকা পাওয়ার কথা ছিল তিনি এত্তোই ব্যস্ত ছিলেন যে, তাঁকে বলার মতো পরিবেশই পাইনি।
যাই হোক প্রায় খালি হাতে ঈদ করলাম। নিজের জন্য কিছুই কিনা হলো না। একটা টুপি কিনতে চেয়েছিলাম। দেখলাম ভাল মানের টুপি কিনতে হলে ১০০/- টাকার উপরে লাগে তাই টুপিতো আছেই, কিনলাম না।
যাই হোক ঈদের জন্য আশপাশের বাড়ী খেকে পিঠা সন্দেশ তৈরির আওয়াজ পেলেও আমাদের ছিলনা তেমন আয়োজন। ঈদের নামাজ শেষেও বাসায় এসে দেখি তেমন নড়াচড়া নেই। তখন বার বার মনে পড়ছিল সেইসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারির কথা যাঁরা কোন বেতন বোনাস না পেয়েও ঈদ করছেন। মনে পড়েছিল তাঁদের কথা যাঁরা সহায় সম্বলহীন, রাস্তায়, প্লাটফরমের মানুষগুলোর কথা।
আহারে ওদের ঈদের দিনটা কেমন কেটেছিল যদি জানতাম। আমার ঈদতো ওদের ঈদের চেয়ে অনেকগুণ বেশী আনন্দময় ছিল।