অনেকদিন থেকেই দেখছি ব্লগে কয়েকজন নিয়মিতভাবে ভিন্নমতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অশ্লীল আক্রমন করেই চলেছে। লেখার ধরণ দেখলেই চেনা যায় পেইড ফরমায়েসি লেখাগুলোকে। আক্রমনের ক্ষেত্রে সহজ অস্ত্র রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী, ইত্যাদি। কোন যুক্তি, বাস্তবতার প্রয়োজন নেই। মিথ্যা তথ্য, আর আবেগই এদের সম্বল! তাও জীবিতদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মানা গেল, কিন্তু যিনি মারা গেছেন, যার প্রতিবাদের কোন সুযোগ নেই তাকে মিথ্যা উপাধি প্রদান, অপপ্রচার কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
গত কয়েকদিন ধরেই দেখলাম পিয়াস করিমকে নিয়ে কি জঘন্য মিথ্যাচার! ওনার বাবা,দাদা, চৌদ্দগুষ্টি কিভাবে রাজাকারী করেছে তার কি চমৎকার বর্ণনা! পিয়াস করিমের অপরাধ উনি সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলে গেছেন বার-বার। আমেরিকান ইউনিভার্সিটির দীর্ঘ অধ্যপনা ছেড়ে দেশকে ভালবেসে দেশে ফেরার কি চমৎকার প্রতিদানই না আমরা দিলাম!!!
নিচের লিংকের লেখাটা এখনও না পড়ে থাকলে পড়ুন।
”মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বৈঠক করায় পিয়াসকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী’: আইনমন্ত্রী”
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/10/18/126540.htm#.VEKekWftCJU
এবার এই জানোয়ারেরা কি যুক্তি দিবে? আইনমন্ত্রীও রাজাকার! যে জানোয়ারেরা এই সমস্ত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এরাই আসল রাজাকারের জারজ সন্তান! একজন পিয়াস করিম কতটা শক্তিশালী ছিলেন আজ তা আরো বেশি করে প্রমাণিত হল এদের ইতরামির মাধ্যমে।
ফরিদপুরের বিখ্যাত (!) ব্যক্তির সাথে আত্নীয়তা করার সময় এদের চেতনা জাগে না, জামালপুরের বিখ্যাত রাজাকার আওয়ামী টিকিটে সংসদে ঢোকার সময় এদের কোন কার্যক্রম দেখেছিলেন? মুসা বিন শমসের কেবল বিটিভিতে গিয়েছে! অপেক্ষা করুন কোনদিন স্বাধীনতা পদক পায় দেখার জন্য! অসুবিধা নাই সেদিন মুসাকে অভিনন্দন জানিয়ে এদের লেখা দেখতে পাবেন!!!
চারিদিকে অন্ধকারের মাঝে পিয়াস করিম ছিলেন এক উজ্জল নক্ষত্র। ওনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।