somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্নার্ল

২১ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যেদিন আমি অথবা তুমি, অথবা আমরা দুজনেই, তীব্রতার আকাশে উড্ডয়ন শেষে প্যারাসুট থেকে সবেগে নীচে নামতে থাকবো,
অথবা যেদিন চুম্বনের সঙজ্ঞা জানতে ফিজিক্সের চর্মঘর্ষণবিদ্যার শরণাপন্ন হব,
অথবা যেদিন আমার মেনোপজকালীন বিষণ্ণতা এবং তোমার প্রস্টেট গ্রন্থির বিদঘুটে আচরণে একে অপরকে সদ্য রুট ক্যানেল অথবা ক্যাপকৃত ভাঙাচোড়া দাঁত দিয়ে কর্কশ শব্দে শাপ-শাপান্ত করব,
তার আগেই গল্পটা লিখে ফেলা যাক, কী বল? গল্প বলা রাতের রেশম জোৎস্নার রূপালী ওম গায়ে মেখে হাস্যমুখী মুখোশবিহীন এ্যাসাসিন, স্নাফ আর্টিস্ট, স্নিফিঙ এ্যাবিউজারস হয়ে আমাদের দেহের খন্ডিতাংশের গভীরে ঢুকে সুতীব্র, ব্যাখ্যাতীত ভালোবাসার তত্ত্বতালাশ আর কতদিন? খুঁজে পাই নি পরম আগুন- নিহারিকা কুঞ্জে। শুধু ছুটে চলেছি মরীচিকার পেছনে। আমাদের ক্লান্তি আসে নি এখনও। তৃষ্ণা মেটেনি। কিন্তু একদিন হয়তোবা আমরা আকন্ঠ হৃৎজল পান করে ব্লাডার ফুলিয়ে বসে থাকবো। তুমি আনমনে স্বমেহন অথবা প্রস্রাব করবে, আর আমি প্রেগনেন্সি কিট কিনে দুটো লাল দাগের খোঁজে উৎকন্ঠিত চিত্তে চেয়ে থাকবো। তুমি জানো, যাপিত জীবনে তীব্রতা, ঘোর এবং পারস্পরিক অনুসন্ধিৎসু শল্যকার্য বাদ দিলে নিপাট সুখী জীবন যাপন করা সম্ভব। তুমি কি তাই চাও? হয়তোবা হ্যাঁ, হয়তোবা না, ইউ কান্ট নেভার সে! তার আগেই আমাদের অপরবাস্তব অনুভূতির প্রাবল্যের গল্পটা লিখে ফেলা যাক, কী বল?

*
ঘুমো, ঘুমো! তোর কাছে গল্প লেখার অনুমতি চেয়েছি নাকি? তোর অনুমতির তোয়াক্কা করি আমি? তোকে আমার মোটেও দরকার নেই। ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জের পোস্টার, সেক্স পিস্তলসের পাঙ্ক ফিলোসফি, সালভাদর দালির আন্দালুসিয়ান ডগ, হাংরিয়ালিস্ট মুভমেন্টের প্রতি তোর অবসেশন তোকে খুব শিখিয়েছে নিহিলিস্ট রোমান্টিক মায়াকান্না। এ ছাড়া তুই কী! হাহা! এসবই তো তুই! আর এসবের কারণেই তোর জন্যে আমি। মেড ফর ইচ আদার! ভালোবাসার সাথে নিহিলিজমের মিক্সচারটা ভালোই রপ্ত করেছিস। আমাদের অতৃপ্ততার অণ্বেষণে যা খুবই সহায়ক। তবে তোর দ্বারা প্রভাবিত হলেও তোর কাছ থেকেই এসব শিখেছি ভাবলে ভুল করবি। আমি ওরকম ন্যাকাবোকা মেয়ের অভিনয় না করলে কার ওপর এইসব তত্ত্ব প্রয়োগ করতি জানোয়ার! এই দেখ, এখন যদি আমি তোকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলি "এই শোনো, আমার না খুব ভয় করছে" তখন তোর ঘুমমিশ্রিত চোখে অহমিকা আর তৃষ্ণার লেখচিত্রের প্রতিটি স্থানাঙ্ক কেমন হবে, তা আমি বলে দিতে পারি। আমাকে কেটেকুটে ভেতরে ঢুকে কিছুই পাস নি, পাবিও না, এই সুখবোধ আমাকে বাঁচিয়ে রাখে ভীষণভাবে। তবে ভয়ও হয়, কবে তোর এই অভিযানের আগ্রহে ভাটা পড়ে। খুব হতাশ লাগে মাঝেমধ্যে, তোকে এত সহজে বুঝে ফেলেছি বলে। তুই কেন আরেকটু দুর্বোধ্য হলি না বিমূর্ত কোন চিত্রকর্মের মত? তবে ভয় পাস নে, তোর শরীরের ভেতর শরীর, মনের ভেতর মনটা কেমন, জানার আগ্রহ আমি প্রতিনিয়ত নতুন করে সৃষ্টি করি।
-খবরদার... জড়িয়ে ধরবি না। আজ রাতে খুব গরম। ছাড় বলছি!
-ছাড়বো বলছো? কাম অন বেইবি, আই নিড সেক্স!
-হু ডাজন'ট! ওকে, লেটস হ্যাভ সেক্স। আমাদের প্রয়োজনের তো অভাব নেই। সেক্স, ফুড, জব, বেবি...প্রয়োজনের ঊর্ধে উঠতে বলি না তোমাকে আর, আমি নিজেই কী তা পারি! হাজার হোক, রক্ত-মাংসের মাংসল মানবীতো!
-ডোন্ট বি আপসেট! স্যরি, বি আপসেট! আপসেট হও তোমার মাংসল জীবনের জন্যে। এটাইতো চাচ্ছিলাম। তোমাকে আমি নাক্ষত্রিক আকাশের ঔজ্জ্বল্যের মাঝে লুকিয়ে থাকা কালো তারা বানাবো। আর তোমাকে খুঁজবো, খুঁজে চলবো... ফাক সেক্স! চলো কালো তারা, আকাশে চলো।
-কী বললা! ফাক সেক্স! হাহাহা!
-হু! এখন হাসো, তারপর ভাসো! ভেসে যাও! ওপরে উঠে যাও তারার গাউন পরে। তোমাকে আমি কেটেছিড়ে পাই নি, এবারও পাবো তাও আশা করি না। কিন্তু তোমাকে খোঁজার, পুনঃপুনঃ আবিস্কার করার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না কখনও।
-অথচ আমরা একসাথেই থাকি তাই, না!
-ইউ গট ইট মাই ব্ল্যাক স্টার!

*
গল্প লেখায় বাগড়া পড়েছে বলে আমার একটুও রাগ হয় নি। এভাবে ভাসতে ভালোই লাগছে। 'ই' প্রত্যয় দিয়ে আসলে ঠিক বোঝানো গেলো না। খুব... খুব ভালো লাগছে। অসম্ভব ভালো লাগছে। এই যে রক্তমাংসের নারী থেকে এভাবে পরী হওয়া, দেবী হওয়া, তারা হওয়া, কালো তারা! অজস্র তারার মাঝে লুকিয়ে থাকা একজন। চমৎকার ব্যাপার। বেশ অনায়াসেই হয়ে গেলো। তুমি চাইলেই হয়। আমি চাইলেই হয়। আমাদের চাওয়া পাওয়ার সমীকরণটা প্রথমদিকে খুব সরলভাবে শুরু হয়। তারপর যাবতীয় জটিলতা... একটার পর একটা চলক এবং ধ্রুবকের আগমন সমাধানটাকে জটিলতর করে দেয়। অবশ্য সমাধান নিয়ে আমরা ভাবলে তো!

গোলাপী নাইট গাউন পরা ঐ ছেমড়িটা ঘুমাক, তার পাশের দামরাটাও ঘুমাক! সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এলোমেলো বিছানা গোছগাছ করে অফিসে অথবা নিরুদ্দেশে যেখানে খুশি যাক। নাহ! বড্ড রূঢ় মনোভাব পোষণ করছি বোধহয় ওদের ব্যাপারে। ওরা কেউই এখন আর বিছানায় নেই। ওরা নেই, আমরা নেই, নেই এই বিছানা-বালিশ-এ্যালার্ম ক্লক-টুথব্রাশ মন্ডলীতে। রাতের তন্দ্রা কেটে যাবার আগেই নিকষ কালো আকাশে কালো তারা হয়ে ফুটে রই আমি। সে আমাকে খুঁজবে, এবং খুঁজে না পাওয়ার আনন্দে বিভোর হবে। সেই পুরোনো খেলা, নতুন রূপে। আমি ক্লান্তি আসার আগেই গল্পটি লিখতে চেয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে অলিখিত এবং অদৃশ্য ঘটনাবলীই আমাদের পরিচালিত করবে আজীবন। গল্প লেখার কোন দরকার নেই।
-আমাকে খুঁজে বের কর! আই এ্যাম দ্যা ব্ল্যাক স্টার!
ব্ল্যাক স্টারের কনসেপ্টটা চমৎকার। আমাদের কাঙ্খিত অতৃপ্তি অভিযানের অভিধানে আরেকটি শব্দ যুক্ত হল। এর প্রায়োগিক দিকটা দেখার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছি!

*
কোথায় তুমি কালো তারা? আমি ধূমকেতুরথে চড়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি তোমায়। বছরের পর বছর...বছরের পর বছর...। আমার বয়স বাড়ছে না, ক্লান্তি পাচ্ছে না। এই আনন্দময় অনুসন্ধান পর্বের গর্বিত অভিযাত্রী আমি। কখনও তোমার ছায়া পড়বে ভেবে সমুদ্রের গভীরে নেমে যাই, মুখরিত জলকল্লোলের মধ্যে হারিয়ে যায় আমার চিৎকার। মুখে লোনা পানি ঢুকে যায়। কখনও অরণ্যের পাখি এবং বৃক্ষপত্রের ধ্রুপদী কনসার্টে সবুজের প্রতি তোমার ভালোবাসার কথা ভেবে সন্ধান করি সেখানে। তবে মহাবিশ্বের ক্রমবর্ধমান প্রসারণে তোমার শুন্যতাও যে অসীমে বিস্তৃত হচ্ছে এটা ঠিক বুঝতে পারি। আমি খুঁজছি...খুঁজছি...খুঁজছি তোমাকে কালো তারা। এটা অনস্বীকার্য যে, আমাদের আগের কার্যপ্রণালীর সাথে এটার অনেক তফাৎ। ওটাতে কম বয়সের অপরিপক্ক তীব্রতা এবং সহিংসতার তীব্র আনন্দ ছিলো বটে, কিন্তু এই অভিযাত্রা আরো আনন্দময়, প্রশান্তিময়, ব্যথা এবং অশ্রূবিহীন, কষ্টবর্জিত।

হোয়াট দ্যা ফাক আই এ্যাম থিংকিং!

আনন্দ! প্রশান্তি! যন্ত্রণাহীনতা!

আমার কী বয়স বাড়ছে? ক্লান্তি আসছে? আমার কালোতারার খোঁজে আমি পেরিয়ে যাচ্ছি সবুজ মাঠ, নিবিড় বন, গায়ে মাখছি জলজ সতেজতা। এর মাধ্যমে কি আমি আমার মধ্যবয়স্ক আরামপ্রিয় শরীর, আর প্রশান্তিভ্রান্ত চোখকে মহান যন্ত্রণা আর বিচ্ছেদ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি না? কালোতারার খোঁজে আনন্দভ্রমণ তাহলে আমার বিলাস অজুহাত ছিলো? তীব্রতা এবং অপ্রাপ্তির অনুসন্ধান না? আমি সুখী গেরস্থ হয়ে যাচ্ছি? কালো তারা, নেমে এসো। নেমে এসো প্লিজ! অনেক বছর পার হয়ে গেছে, অনেক তো হল! এবার নেমে এসো! এই খেলা আর ভালো লাগছে না। আমি অরণ্যের সজীবতা চেয়েছিলাম, সমুদ্রের গভীরতার সাথে ভালোবাসার গভীরতাকে পরখ করতে দেখতে চেয়েছিলাম-কিন্তু কিছু শামুকের বাড়ি ভেঙে দেয়া ছাড়া আদতে কিছু হয় নি। উজ্জ্বল নক্ষত্রদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলাম- আমার চোখ ঝলসে গিয়েছিলো। তোমাকে না পাওয়ার নিশ্চয়তার ছত্রতলে দাঁড়িয়ে ভুলে গিয়েছিলাম সুখ নামক অশ্লীল আরাম মাদক। অপ্রাপ্তির অনুভব আর বোধ করছি না কালো তারা, তোমাকে প্রয়োজন আমার এখন। হ্যাঁ, অনেক বছর আগে যে স্থূল শব্দটি নিয়ে আমাদের মাঝে মন কষাকষি হয়েছিলো সেটার কথাই বলছি।

তোমাকে আমার প্রয়োজন। নেমে এসো!

*
এভাবেই কেটে যায় বছর-মাস-দিন! এভাবেই কেটে যায় সময়ের দেহ! আমাদের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী, কিন্তু ফলপ্রসূ প্রক্রিয়াটা এভাবে পরিত্যক্ত হয়ে গেলো! এতদিন অন্ধকারে সাঁতরে চলে, ঘাপটি মেরে মজা দেখে নিজেকে মনে হচ্ছিলো অসূর্যস্পর্শা অহংকারী এক তারা, যার খোঁজে আজীবন ছুটে চলবে একজন প্রেমিক পুরুষ। এই আত্মম্ভরীতার আড়ালে ঢেকে গিয়েছিলো আমার বয়স, ক্লান্তি, তীব্রতা, গভীরে ঢোকার মোহ...। আসলে কালো তারা বলে কখনও কিছু ছিলো না। থাকবেও না...

*
Snarl (verb)
-(কুকুর সম্বন্ধে) দাঁত বের করে ক্রুদ্ধ গর্জন করা।
-(ব্যক্তি সম্পর্কে) কর্কশ কন্ঠে কথা বলা।

*
-এভাবে ঘোরগ্রস্থ জীবন আর কতদিন কাটাবা হ্যাঁ? রাখো, ভদকার বোতলটা রাখো!
-শাট আপ বিচ!
-শোন, গালি আমিও কম জানি না, প্রতি বৃহস্পতিবার আসলেই তোমাকে বোতল নিয়ে বসতে হবে?
-গেট দ্যা ফাক আউট অফ হিয়ার!
-মদ খাইলে খালি ইংরাজি মারাও, না? মদ খায়া যেই টাকা উড়াইছো, সেইটা দিয়া আমারে কয়টা শাড়ি কিনা দিতে পারতা!
-তুমি আমাকে ভালোবাসো না আর?

এরকম স্টুপিড প্রশ্নের পরে তার সাথে কথা চালিয়ে যাওয়ার আর কোন মানে খুঁজে পাই না। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, তাকে আমি ভালোবাসি, এবং তাকে আমার প্রয়োজন। ঘেন্না লাগে নিজের ওপর। আমি জানতাম, এরকমটাই হবে শেষতক। আমাদের গল্পটা অনেক আগেই লিখে ফেলা উচিত ছিলো। লেখা হয় নি, কালো তারা নামক উদ্ভট অভিযানের কবলে পড়ে, আদতে যা ছিলো নির্ভরতা এবং আয়েশের একটা অজুহাত মাত্র! গত ক'বছর আমরা তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মত একে অপরের জলাধার পান করে জলীয় হয়েছি, জ্বলীয় হতে পারি নি। বেমালুম ভুলে গেছি! তবে হ্যাঁ, এখন আমরা একে অপরকে খুউব ভালোবাসি! পরস্পরের যত্ম নেই, জন্মদিনে টেক্কা দিয়ে দামী উপহার দেয়ার নেশায় মাতি। আর এভাবেই জ্বলে উঠলো সব বাতি। হারিয়ে গেলো কালো তারা।
-কালো তারা, তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
-কালো তারার ব্যাপারটা নেহায়েৎ একটা পাগলামি ছিলো।
-আরেকটু পাগলামি করা যায় না? শেষবারের মত?
-তুমি ড্রাংক।
-এখন মদ্যপ যে, পাগলামি করার তার শ্রেষ্ঠ সময়!
-আই এ্যাম নট ড্রাংক, এ্যান্ড আই এ্যাম নট ইয়োর ব্ল্যাক স্টার।
-ইউ আর আ বিচ!
-গালি দিবি না বাঞ্চোৎ!
-তুই শাড়ি কিনবি না? গহনা কিনবি না? নেকলেস কিনবি না? চল, কালকেই তোকে সব কিনে দেবো।

আমি অনায়াসেই একটা নতুন অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করতে পারতাম, ভালোবাসার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে। আবারও স্নাফ থিয়েটারে গিয়ে তাকে দিয়ে আমার দেহ কাঁটাছেরা করে ভেতরে, যতটা ভেতরে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় ব্যাখ্যাতীত ভালোবাসা এবং অসহনীয় অর্গাজম, সেটার বিশ্লেষণ করতে পারতাম। আমাদের পরস্পরের দেহের খন্ডিতাংশ হাতে নিয়ে স্নিফ করতে পারতাম। এতটা হার্ডকোর লেভেল না গেলেও আবারও বছরের পর বছর কালো তারা হয়ে মিলিয়ে গিয়ে তার একান্ত অনুসারিত হতে পারতাম, এবার হয়তোবা আগের ভুলগুলো আর হত না। কিন্তু আমাকে পেঁচিয়ে ধরে দ্বিধার বাহু। তাকেও হয়তো বা!

আমরা একে অপরের দিকে খরচোখে তাকিয়ে থেকে মৌনভাবে বোঝাপড়া করতে থাকি। হয়তোবা সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে সেই মহান, কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক অনুসন্ধানে ব্রতী হব, হয়তো বা প্রাত্যহিক ভালোবাসা চর্চাটাই অব্যাহত রাখবো, হয়তো বা...
-চোখ নামাও!
এতসব দ্বিধার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সইতে না পেরে আমি চিৎকার করে উঠি।

এখন আমি তার বমি পরিস্কার করে বিছানায় শুইয়ে দেবো। ভালোবাসা রক্ষা করার ক্ষেত্রে এসব অতি প্রয়োজনীয়।

আমাদের নিয়ে সেই গল্পটা আর কখনই লেখা হবে না আমার।

# এই গল্পটি "তীব্রতা" ট্রিলজির শেষ গল্প। আগের দুটি গল্প হল,
স্নিফ
স্নাফ
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৫০
৮৬টি মন্তব্য ৮২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×