ক্ষুধা লাগছে?
- হাটা দাও চানখাঁরপুল
বিড়ি দরকার?
-দৌড় মার চানখাঁরপুল
কান্না পাইছে?
-হিমুর মত হন্টনবিলাশ টু চানখাঁপুল
বিশাল অর্জন?
-সেলিব্রেশন এট চানখারপুল
রাতে ক্ষুধা লাগার অভ্যেসটা রাতজাগা পাখিদের মত আমারও রক্তের সাথে মিশে আছে। প্রতিদিনই মোচড় দিয়ে ওঠে পুরোনো অভ্যেস। আজ অনেকদিন পর খুব যত্ন করে গরম ভাত রেধে একটা কাচা মরিচ, এক ফালি কাগজি লেবু আর অর্ধেক কাচা পিয়াজ নিয়ে বসে পড়লাম হাপুষ-হুপুষ। 'হাপুষ-হুপুষ' আমার আর সাজ্জাদের একান্ত ব্যাক্তিগত, আপন শব্দ। ফজলুল হক হলের আড়াই ফুট বাই পাচ ফুটের চৌকি আর ছাড়পোকার কামড়ের দিনগুলোর শব্দ, আমাদের হাসি আর বিষাদের আপন বর্ণমালা। ক্ষিধে লাগলেই চানখারপুল আর ডোবা ডালের গরম ভাতের হাপুষ-হুপুষ। উত্তর মেরুর এই শুনশুনে শহরেও আমার কান্না পায়না চানখারপুলের উপচে ওঠা স্মৃতি রোমন্থনে, কারন আমি আর কিছু নিশ্চিত না হলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে চানখারপুল আমার, ও আমারি থাকবে।
প্রথম বাবা হবার খবরের এক বিহব্বল রাত, একটা চিত্রনাট্য প্রসবের খনখনে দুপুর, একটা বন্ধু বিয়োগের নি:সম্বল সন্ধ্যে, একটা বেনসনে কান্না চাপার ধলপ্রহর- চানখাঁ সাহেবের সেই আদিম পুলপাড়। নিজেকে ভেঙে গড়বার, নিজেকে গড়ে ভাঙবার এ এক অনবদ্য অাতুড়ঘর!