এ আকাশ চিনি কি?
চিনতেম কি কোনদিনও!
তবু তো সে বুক ফুড়ে দিলে জল,
হিম তুষারের অশ্রু।
চললেম কেষ্ট রাত্রী ফেলে
শুভ্র অশ্রুর মত তুষার মাড়িয়ে
আমার সবুজের ঘরে,
আমার চির ক্ষুধা আর তেষ্টার ঘোরে।
গোলার্ধের শেষে এসেও যখন পেলেম না
আমার ঠিকানা
আমার ঘর
চললেম তখন
আবারও ঠিকানার খোজে।
এ তুষার থেকে আষাঢের ঢল
যদিও বলেছে,
তোমার ঠিকানার সন্ধানে পদব্রজেই
তোমার একক ঠিকানা,
তবু কোন এক নক্ষত্র খোজে চোখ,
কোন এক পেয়ালা খোজে ঠোট
আর কোন এক ঘর খোজে বুক।
ওরে সন্ন্যাসব্রতী
ওরে চির পদচারী
চল ছুটে তবু ঘুড়ির দেশে
চল তবু ছটফট তেষ্টা আর কলকল কান্নার দেশে।
সেখানে এলোকেশি রাতকে কানে কানে বলিস,
তুই তবু ফিরে এলি,
তবু ক্লান্তিতে জিরোতে এলি
সেই তেষ্টা রাতের নিবিড় কোলে!