বাবুল সাহেবের সাথে গতকাল দেখা।
না; ব্যাংক ব্যালেন্সওয়ালা কোনো
সাহেব নয় সে। সামান্য পরোটা বিক্রেতা।
পরোটার টাকা দিয়ে, ছেলে আর মেয়েটাকে-
করিয়েছে এসএসসি পাশ।
কিন্তু সচিবের বাড়ির চুরিই
তার জিবনে নিয়ে এলো কঠিন সর্বনাশ।
তাই ঘটনার পরে, সচিব বাড়ির দ্বারে-
হলো না ঠাই তার। এমন দুঃসময়ে বাবুলের জন্য;
কোথাও এতোটুকু যায়গা নেই আর।
এই বারে; দ্বারে দ্বারে ঘুরে সে,
যদি পায় যায়গা ভার্সিটির পার্কিং লটে।
শুনে আমার মনে হলো না এতোটুকু ব্যাথা,
তবু তাকে কথা দেই, কথা না দেয়ার কথা।
শুধু বাড়তি এতোটুকুই বলি; করবো চেষ্টা ।
এই বলে ভেঙে সিড়ি, উপরে উঠি।
বলবার লোক খুঁজি। পাই না; কোথাও কেউ নেই।
তারপর সেই একই কথা, হবে না যা
তা নিয়ে কেনো এতো মাথা ব্যাথা।
এভাবেই চলে যায় গতকাল।
আজ আবারও প্রতিদিনের মতো,
সাইদের দোকানে বসি,
চা খাই, সিগারেট খাই; সাথে-
চোখে চোখ রেখে খেলা, লুকোচুরি।
সেই চোথ দেখি, যে চোখ আবার-
বাঁচতে বলে। এরই মাঝে হুট করে,
বাবুল সাহেব আসে।
জানতে সে চায়, কেমন আছেন?
আমি বলি ভালো, সাদা আর কালো।
প্রতুত্তরে বাবুল; এ কেমন ভালো?
আমি বলি সে তুমি বুঝবে না,
কি বলার বলো, সময় যে ফুরালো।
আমায় সুধায় একই কথা,
হলো কি কোনো যায়গার ব্যবস্থা।
চুপ করে থাকি, তারপর বলি-
বোঝো না বোকা বাবুল,
তুমি বড়ই আবুল।
ও পার্কিং লটে, গাড়ি রাখে-
মন্ত্রী সচিব প্রভাষক অধ্যাপকে।
তবে কি করে তোমার পরোটার গাড়ি-
যায়গা করে?
হতাশ হয়ে ফিরে যায় বাবুল,
যায়গা খোঁজার কর্মে।
আমিও ফিরি তাড়াতাড়ি বাড়ি,
কবিতা লিখতে সেই সনাতনী ফর্মে।
(১৮ নভেম্বর ২০১৪, ইউল্যাব)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১