নতুন বছরের শুরুটা ভালো ভাবে করতে হয় ৷ ভালো ভাবে? আমার সবকিছু ভালো মানে ভ্রমন!! ভ্রমন ছাড়া আমার ভালো হওয়া সম্ভব ই না ৷ আর সেই ভ্রমন টা যদি হয় স্বপ্নের দেশে তাহলে তো !!!
গত ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করি কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে ৷ নাহ! কক্সবাজার আমার স্বপ্নের দেশ না ৷ স্বপ্ন আমার নীল পানির জলরাশিতে ৷ দুজন মিলে বের হই এবার ৷
গত পোস্ট এ মেইল ট্রেন এর ব্যাপারে লেখেছিঃ view this link
তাই চট্টগ্রাম পৌছানো পর্যন্ত আর লিখতে হবেনা মনেহচ্ছে!
সকাল ৮ টায় পৌছায় আমরা চট্টগ্রাম এ ৷ সেখান থেকে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে রওনা হই কক্সবাজার এর পথে ৷ দুপুর ১২ টা নাগাদ পৌছাই কক্সবাজার ৷ এটি আমার দ্বিতীয় কক্সবাজার ভ্রমন,তাই কক্সবাজার মনটাকে ততটা আন্দলিত করেনি ৷ হোটেল,খাওয়া দাওয়া করে রওনা হই ইনানী সমুদ্র সৈকতের দিকে ৷ মেরিন ড্রাইভ ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলো আমাদের গাড়ী ৷ ইনানী সেদিন ছিলো মানুষে ভরপুর ৷ সমুদ্রের গর্জন আর পাথর দেখতে ভালোই লাগছিলো ৷ খুব দূরের কুয়াশায় আচ্ছন্ন সৈকত দেখতে অত্যাধিক সুন্দর লাগছিলো ৷ পুরো বিকেলটা কাটিয়ে দেই আমরা ইনানী সমুদ্র সৈকত এ ৷ সন্ধ্যায় ফিরি কক্সবাজার এ,এদিক সেদিক ঘুরে সেইন্ট মার্টিন এর হোটেল রুম আর জাহাজ এর টিকিট করে নেই স্বপ্ন নামক একটি এজেন্সীর মাধ্যমে ৷
তবে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ নাকি এজেন্সির বাস ছাড়া যাওয়ার কোনো উপায় নেই! রাত ১০ টার সময় যায় সুগন্ধা পয়েন্ট এর মাছের দোকান গুলোতে ৷
মনে আছে সেই কুয়াকাটার টুনা মাছ? সেই টুনা মাছের স্বাদ নিলাম আবার! কিন্তু প্রথম ভালোবাসা প্রথম ই থাকে ৷ টুনা মাছের স্বাদ টা কেন জানি না কিন্তু কুয়াকাটার মত অমৃত মনে হয়নি ৷ আচাড়,বিভীন্ন ধরনের জিনিসপত্র কিনে নিলাম,সেইন্ট মার্টিন পাবো কিনা তা তো জানিনা!
রাতে খবর নিয়ে রাখলাম লালদিঘী নামক যায়গা থেকে ভোর ৬ টায় টেকনাফ এর বাস ছাড়ে ৷
দীর্ঘ সময় জার্নি আর ঘুরাফিরা নিয়ে ক্লান্ত একটা দিন কাটালাম ৷ তবে মজার বিষয় হলো হয়তো আমরী রেকর্ড করে এসেছি!! কিসের রেকর্ড?
কক্সবাজার গিয়ে কক্সবাজার সৈকতের পারে আমরা একটিবার যাওয়ার সময় ই পাইনি!!
কিছু ছবিঃ
১) কমলাপুর থেকে দুই বন্ধুর যাত্রা শুরু
২)মেরিন ড্রাইভ
৩)দুই বন্ধুর ইনানী তে প্রবেশ
৪)খুদে ট্রাভেলার
৫)পাথুরে সমুদ্র সৈকত
৬)ইনানী তে সূর্যাস্ত
৭)ইনানীর সৌন্দর্য
৮)ঐ দূরে ইনানী রয়েল রিসোর্ট
৯)জেলেদের নৌকা
১০)টুনা মাছের উপর হামলা
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪