somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিভিউ: 'টেলিভিশন' ও কল্পনার ঘোড়দৌড়

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক আর নতুন ব্যাকরণের নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর যৌথ রচনা আর ফারুকীর পরিচালনায় টেলিভিশন।



ফারুকী সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা ছিল। তাঁর নির্মাণের মূল শৈলী হল মানুষের সহজাত প্রবণতা ও তাৎক্ষণিক রিঅ্যাকশন। আনিসুল হক যে কাহিনীকার, তা অবশ্য মুভি দেখার সময় বুঝতে পারিনি।

মুভিটা প্রথমেই আটকে ফেলে যে এলিমেন্ট দিয়ে, তা হল চেয়ারম্যান সাহেবের ডানহাত ফ্রেঞ্চকাট লোকটা ট্রলারে করে প্রথম আলো আনার সময় প্রতিটা ছবি সাদা কাগজের টুকরা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। খুবই স্বাভাবিক মানবিক প্রবণতায় ঢাকার আগে বারবার দেখে নিচ্ছেন এক মডেলের ছবি। এটাই টোপ। এটাই অ্যাঙ্কর পয়েন্ট, যা দিয়ে একজন দক্ষ কাহিনীকার-নির্মাতা তার দর্শককে পুরো মুভির শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি প্রথম আলোর ব্র্যান্ডিঙও হয়ে গেল। নিখুত ব্র্যান্ডিঙ বা সিনেমায় গেঁথে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখতেও ভাল লাগে। দর্শককে গেঁথে নেয়ার বড়শি পয়েন্টটাতেই ব্র্যান্ডিঙ।

এরপরই চেয়ারম্যান সাহেব। হাডারি সাব বা পাটোয়ারী সাহেব। পর্দা পুশিদা করা প্রথম আলো পড়ছেন।

সাগর-নদী-মোহনার কাছাকাছি বিচ্ছিন্ন গ্রামের ইলিশ-বিচরণক্ষেত্রে এই চেয়ারম্যান সাহেব সর্বদন্ডমুন্ডবিধাতা। তাঁর গ্রামে টিভি নাই, অপেশাদারের জন্য ফোনও নাই, ছবি তোলার চল নাই। মানুষের আগ্রহ যে একটু হয় না, তা তো নয়। কিন্তু তারা মেনেই নিয়েছে। এবং আনুগত্য করছে চেয়ারম্যান সাহেবের।

চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসীর মেয়ের সাথে আত্মিক-আবেগিক সম্পর্কে জড়িত। তারা কোনক্রমে দেখা করে। তাদের সম্পর্কটা যতটা না বাহ্যিক, তারচে বেশি সার্বিক। তাই চেয়ারম্যান সাহেবকে শ্বশুর সম্বোধন করা। এখানে অভিনেত্রী তিশা'র বিশেষ করে এন্ট্রি লেভেল অভিনয়, পড়া আউড়ে যাবার অভিনয় এবং কান ধরে উঠবস করার পর চলে যাবার সময় হাঁটার ছন্দের অভিনয় যে কোন আন্তর্জাতিক মানকেও এক মুহূর্তে বহুক্রোশ পিছনে ফেলে দিবে।

তিশা'র ওই সময়ের অভিনয়, চেয়ারম্যানপুত্রের মাতালকালীন অভিনয় অথবা চেয়ারম্যানপুত্রসহযোগীর মাতালকালীন এবং অন্যান্য জায়গার অভিনয় আর চেয়ারম্যান সাহেবের শেষ দৃশ্যে আল্লাহর কাছে পৌছানোর আকুতি এমন একটা উচ্চতায় পৌছেছে, যার কাছাকাছি কোন পর্যায় নেই। অনভ্যস্ত চোখ বলে ওঠে, এরচে ভাল অভিনয় সম্ভব নয়, এরচে ভাল অভিনয় নেই।

প্রথমদিকে চেয়ারম্যান সাহেবের টিভি সাক্ষাৎকারকে যতটা পশ্চাৎপদ ব্যক্তির উপস্থাপন মনে হয়েছিল, মুভি এগিয়ে যাবার সাথে সাথে সেটা ফিকে হয়ে পড়ে। কিন্তু বাবার সাথে মা হয়ে ছেলের কথা বলার দৃশ্য যে কাঠিন্যের বৃত্তে বন্দী করে চেয়ারম্যান সাহেবকে, সেই বৃত্ত পরবর্তীতেও রয়ে যায়- বাস্তবানুগভাবেই।

কাহিনীর মোড় বা টার্নিঙপয়েন্ট এক সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রাথমিক শিক্ষকের টিভি নিয়ে গ্রামে ঢোকা। আধুনিক কাহিনীতে যতটা সময় পার করে টার্নিং পয়েন্ট আনার কথা, চরম মুন্সিয়ানায় ঠিক সেইরকম একটা পর্যায় আনা হয়।

চেয়ারম্যান সাথে সাথে অস্থির হয়ে মসজিদে আল্লাহর সামনে রত। টিভি ঢুকতে দিলে ধর্মনষ্ট। না ঢুকতে দিলে অন্যধর্মঅধিকার নষ্ট। এই যে যন্ত্রণা, এই যে আকুতি, এই যে আন্তবিশ্বাস ন্যায়বিচারের ধারণা, এই মুহূর্তটাই টেলিভিশন মুভির সাফল্যের মুহূর্ত। স্বর্ণশিখরে আরোহণের প্রথম ধাপ।

নিতান্তই গ্রাম্য, গ্রাম ছেড়ে কখনো ঢাকায় না আসা এক চেয়ারম্যান আর তার কথা গঞ্জে গিয়েও মানা পশ্চাৎপদ গ্রামবাসী, যাদের কাছে খুব সরলভাবে টিভি হচ্ছে ইহুদি খ্রিস্টানের ষড়যন্ত্র, খুবই সরলভাবে সাংবাদিক আপার জিন্স-ফতুয়া পুরুষালী, বিমানে চড়ার ভয় হচ্ছে শয়তানের ওয়াসওয়াসা, টিভিতে ধর্মের প্রোগ্রাম হচ্ছে হারামের উপর ভিত্তি করে ভালর কথা বলা- সেই মানুষের ভিতরে অন্যধর্মাবলম্বীর অধিকার এত ভীষণ করে বাজে! এই বাদ্য তুলে আনার অতুল কৃতীত্ব অবশ্যই লেখক-পরিচালকের প্রাপ্য।

চেয়ারম্যান সাহেবের রমরমা ইলিশ ব্যবসা। সেই ব্যবসায় পাইকারী-ব্যাপারীরা কোন অন্যায় করলে সরলভাবে আল্লাহর কাছে ঠেকে থাকবে। এতে কোন দোটানা নাই। কোন দ্বিতীয় ভাবনা নাই। আর পুত্র, সাধারণ তারুণ্যের পাশাপাশি দারুণ অনুগত সন্তানের প্রতীক। গঞ্জের দোকানে নীলরঙা ঝালরের আড়ালে তার টিভি চলে। সুপ্রচলিত হিন্দি সিনেমার আইটেম সঙ। অথচ পিতার সঠিক হওয়া নিয়ে তার ভিতরে দোটানা নাই। দোটানা নাই গ্রামের সাধারণ মানুষেও। ছেলের দোকানে থাকতে চাওয়া নিয়ে তাঁর সন্দেহবাতিক নেই, কিন্তু 'কামান চাইলে অন্তত বন্দুক তো পাওয়া যাবে'র মোবাইল কিনতে চাওয়াতে বুদ্ধিবৃত্তির অভাবও নেই।

একজন ধর্মানুসারীর প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে, যখন চেয়ারম্যানসাহেব আপন স্ত্রী কেও আপনি সম্বোধন করেন। যখন তিনি নিজের ছেলেকে সেলফোন কিনতে অনুমোদন করার পর গ্রামের সব তরুণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেন। যখন প্রভুর দ্বারে উপস্থিতির আশায় তাঁর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যখন প্রতারিত হবার পর লজ্জায় গ্রামে ফিরে যান না এবং মহান প্রভুর কাছে যেতে না পারার যন্ত্রণায় দিনের পর দিনের পর দিন না খেয়ে হজ্বের দিন পর্যন্ত ওষ্ঠাগত প্রাণ হয়ে পড়ে থাকেন ভাড়ার মেস অথবা হোটেল রুমে।

প্রাইমারি শিক্ষক তাঁর কথা রাখেন। সরাসরি কোনও মুসলমানকে টিভি দেখতে দেন না। মানুষের অনুরোধ ফেলতে পারেন না। আয়নায় কৌশলে দেখার ব্যবস্থা করে দেন। চেয়ারম্যান সাহেবের লেঠেল বাহিনী নাই, নাই অতিরিক্ত ক্ষমতাপ্রয়োগ। তার ক্ষমতার উৎস যেন স্বাভাবিক, সার্বিক, সার্বজনীন। তিনি যেন ধরেই নিয়েছেন, যা ঠিক তা তিনি জানেন এবং বাকিরা তা জানে যে তিনি জানেন। এইটুকুই যথেষ্ট। আবার পরামর্শ শুনতেও তাঁর বাঁধে না।

চেয়ারম্যান সাহেবের নৈতিকতা প্রখর। তিনি যা জানেন, স্পষ্টভাবে জানেন এবং তাতে কারো ধার ধারেন না। প্রয়োজনে ইমাম সাহেবকে ধমকাতে তাঁর বাঁধে না। আবার নিজের ছেলের বউয়ের হাতে আঙটি পরানোর মত সম্মানিত কাজটা ইমাম সাহেবকে দিয়েই করান। তিনি যাতে কম্প্রোমাইজ করেন সবার জন্য তা উন্মোচিত করে দেন।

আবার গ্রাম্যতা ও একরোখামিও প্রখর। তাই তরুণী একটা মেয়েকে নিতান্তই বাচ্চাজ্ঞান করে 'বাবা-মা'য় আদব শিখায় নাই?' বলার মধ্যে যে শিশুজ্ঞান কাজ করে, সেই সরলতাতেই একটা সীমাতিক্রমী ভুলও তিনি অবলীলায় করে ফেলেন, কান ধরে ওঠবস করান। সীমা অতিক্রমের বিষয়টা যেন তাঁর চোখেও পড়ে না। এসব দেখেই যেন তিনি অভ্যস্ত। চিরায়ত বাস্তবতা এখানে সরাসরি ফুটে ওঠে। কোন অন্তরাল ছাড়াই।

চাইলেই চেয়ারম্যাকে অত্যাচারী, একরোখা, পরধর্মবিদ্বেষী, ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকারপন্থী, ছাত্তিমাথা টিপিক্যাল লুচ্চা চেয়ারম্যান আকারে উপস্থাপন করতে পারতেন লেখক-নির্মাতা। এটাই বাংলাদেশের নাটক-চলচ্চিত্রের আবহমান ফ্যাশন। আমরা ত্রিশ বছর আগের চলচ্চিত্র-নাটকে অথবা এখনকারও চলচ্চিত্র-নাটকে এমন চেয়ারম্যান দেখে দেখে অভ্যস্ত। এতে আমাদের ধর্ম নষ্ট হয়ে যায়নি। সমাজও নষ্ট হয়নি। ওইসব টিপিক্যাল নাটক-ছবির নির্মাতা-লেখকের মহাডাম্বনেস অথবা একচোখামি অথবা 'অ্যাসাইনমেন্টমুখী বিনোদন নির্মাণ' এর বাইরে চলে এসেছে এই টেলিভিশন।

গঞ্জে গিয়ে নারকেলের বিনিময়ে সিনেমা দেখে আসা তরুণদের বেঁধে তো উপস্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু তাদের শাস্তি দেয়ার বদলে কষ্ট পাওয়া চেয়ারম্যান সাহেব সব দায়দায়িত্ব ছেড়েছুঁড়ে দিতে চান। সাথে সাথে সরল স্বীকারোক্তিতে যারা ক্ষমাপ্রার্থণা করে, তারাই আবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছেলের বিয়ের ঘোষণা এবং টিভি আনার প্রচারণা ও গণপিটুনি দেয়ার মহান দায়িত্বে শামিল হবার পর চেয়ারম্যান সাহেবের পক্ষ হয়ে গ্রাম থেকে নদী হয়ে গঞ্জে যাবার পথে ভিসার তদারকি করে ও তাঁর চলে যাবার সময় আপ্লুত হয়ে বিদায় জানাতে আসে।

চেয়ারম্যানের ছেলে এখানে গুডিবয় গুডিবয়। তার চরিত্র বাস্তবেই যেন প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ পায়নি দুর্দান্তপ্রতাপ পিতার ছায়ায় থাকতে থাকতে। একটু বোধবুদ্ধি কম, কারণ তার সংগ্রাম কম। অথচ তার অ্যাসিস্ট্যান্ট অতি অল্প এক ফোঁটা জিঘাংসাপ্রবণ। তার সংগ্রাম তাকে একটুখানি এমন করেছে। তার কল্পনার ঘোড়া সীমা মানে না, কিন্তু বাহ্যিক পার্থিব সমস্ত ভব্যতার সীমা তার রয়েছে।

চলচ্চিত্রের কাহিনী তো অবশ্যই অসাধারণ। আগাপাশতলা। এই একই মানের সাউন্ডট্র্যাক নেয়া হয়েছে। হজ্বের সাউন্ডট্র্যাকে আমরা দেখি দুই টেলিভিশনের শব্দের নিখুত ওভারল্যাপ। লৌকিক প্রচলিত মিলাদের সাউন্ডট্র্যাকে সত্যিকার রেকর্ড ব্যবহার করা হয়। মিউজিক আলাদাভাবে কানে বাজে না। বরং তা যেন দর্শকের প্রত্যাশিত হার্টবিটরেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চিত্রধারণও, আবারো, অসাধারণ। একটা অভাব বোধ করতাম, তা হল, সরাসরি বক্তার চেহারায় ক্যামেরা ধরা হতো। সেটা এখন আর নেই। বক্তার পেছন থেকে, পাশ থেকে, সামনে থেকে, অথবা বক্তাকে না দেখিয়েই বক্তার শব্দ নেয়া হচ্ছে- অসাধারণ অগ্রগতি। এ বিষয় ফারুকী তে ছিল, কিন্তু ফাইন পলিশড সিনেমায় ছিল না। চেয়ারম্যানের বাড়ির ঘাটে দুই মোসাহেবের কথাবার্তার সময় সামনে দিয়ে একটা ট্রলার চলে যায়। প্রকৃত ট্রলার। প্রকৃত তার আভরন। প্রকৃত ধরনের মানুষজন।

ক্ল্যাসিক মুভি বানাতে হলে যে দৃশ্য থাকা আবশ্যক হয়ে গেছে বাংলাদেশে, তা হল দু-চারটা ন্যাংটো আট-দশ বছরের ছেলেপুলে গোসল করছে। সেটাও আছে। পুরো দৃশ্যায়নের অঞ্চলে ফাঁকা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয় খেয়াল রাখা হয়েছে। নির্মাতা পুরো মুভি তৈরি সময় এই একটা বিষয়ে খেয়াল রেখেছেন, যেন দর্শকের চোখ ক্ষুদ্র দেখতে না থাকে, যেন সুপরিসর ও বৃহত্তর দেখতে পারে। আবার একের আড়ালে আরেক ফুটিয়ে তোলার মুন্সিয়ানাও দারুণ। বাচ্চার প্লাস্টিক গাড়ি সুতলিতে টাঙিয়ে সাথে করে বাথরুমে নেয়া বা ট্রলার থেকে নদীতে ঝুলানো অথবা চেয়ারম্যানপুত্রের সম্ভাব্য স্ত্রীর সাথে তারই এসিসটেনের আলাপচারিতার সময় ফ্রেমিং তাদের মনের প্রকৃত অবস্থাকেই অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলে।

বিশেষ করে সামনে নদী দেখিয়ে নদীর পাড়ে 'ভিসার ঘাটে' পোঁতা বাঁশে লটকানো হাত-আয়নায় মানুষের লাইন ধরা এবং কজ-ভেরিফিকেশনের পদ্ধতির দৃশ্যায়নে মানুষের ওপাড়ে এই নদী ধরে যাবার আকুতি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সেভাবেই সামান্য কাগজ কলম নিয়ে কিছু শব্দ লিখে ফেললে কবিদের হাত বেয়ে কবিতা হয়ে যায়।

প্রপস বাস্তবানুগ। সবার পোশাক ও আশপাশের প্রতিটা জিনিস খেয়াল করে বাছাই করা। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের দরজার একপাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পোস্টার এবং অন্যপাশে মাতা লক্ষীর পোস্টার একই সাথে শিক্ষার ও মানসিক অগ্রগতির পরিচায়ক, সেইসাথে দারিদ্র্যপীড়িত শিক্ষকের দেবীকে তুষ্ট করে কোনক্রমে সংসার চালানোর প্রবণতাও লক্ষণীয়। (পোস্টারটা জ্ঞানদেবী সরশ্বতীরও হতে পারে)।

আর্ট ফিল্ম হতে হবে বোরিং। চরম বিরক্তিকর। কিন্তু এই কী! এই আর্ট ফিল্ম তো পরতে পরতে রস-ঠাসা। কাতুকুতুর হাসি নয়, মাঝে মাঝেই প্র্রাকৃতিকভাবে প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে দর্শকের দম ফাটার অবস্থা।

টেলিভিশন দেখেই ভাবনা, এটা এক্কেবারে আন্তর্জাতিক মান হয়েছে। এর কাছে হলিউডের ছবিও নস্যি। এর মান থ্রি ইডিয়টস টাইপের হয়েছে। এমনকি মাটির ময়না বা রানওয়ের মত বিষয় যদিও এর নয়, বিষয়ের ভিন্নতায় তুলনাও চলে না, কিন্তু ওই দুই চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আসার যোগ্যতা পেয়েছে। পৃখিবীর যে কোন দেশে যে কোন ভাষায় প্রদর্শিত হবার মত একটা যোগ্য সৃষ্টি হয়েছে।

মাটির ময়নার পরিচালক মারা যাবার পর যে পরম শূণ্যতা অনুভব করেছিলাম, যে আফসোস করে বলেছিলাম, প্রভু, তোমার কি খুবই দরকার ছিল তাকে তুলে নেয়ার? সেই পরম শূণ্যতা কেটে গেল এই টেলিভিশন দেখে।

টেলিভিশন প্রকৃতই কল্পনার ঘোড়দৌড়। মানুষের কল্পনা কতটা গোছানো, কতটা দরদী এবং কতটা অন্যকে বোঝার সামর্থ্যপূর্ণ হতে পারে, সেটা দেখিয়েছেন লেখক- নির্মাতারা, চিত্রগ্রাহক, শব্দকুশলী এবং এডিটররা। দেখিয়েছেন অভিনেতারা।


এবং মানুষের কল্পনার ঘোড়দৌড় যে বেঁধে রাখার বিষয় নয় বরং বেছে নেয়ার বিষয়, সেটাই নানা মাত্রায় এই ছবির একমাত্র উপজীব্য হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
৫৩টি মন্তব্য ৫৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য: টিপ

লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈশাখে ইলিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০



এবার বেশ আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে । বৈশাখ কে সামনে রেখে ইলিশের কথা মনে রাখিনি । একদিক দিয়ে ভাল হয়েছে যে ইলিশকে কিঞ্চিত হলেও ভুলতে পেরেছি । ইলিশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×