somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাজ্জাল, খিলাফাত, ইমাম মাহদি রা., ঈসা আ. ও কিয়ামাত সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু সত্য ও কিছু মিথ্যার অপনোদন

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(শেষে ফুটনোট আপডেটেড)

কিয়ামাত, খিলাফাত ও দাজ্জাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এ নিয়ে প্রত্যেক নবী ও রাসূল আ. সর্বযুগে সতর্ক করেছেন। এই একটা ঘটনা এবং এই একটা বিষয় নিয়ে। এই সেই সময়, যখন ঈমান রক্ষা করা হাতে জ্বলন্ত আগুন রাখার চেয়েও কঠিন। তা মুখের কথা নয়, বাস্তব কথা। এই সেই দাজ্জালপূর্ব ফিতনার সময়, যখন মানুষ হাঁটলেও ঈমানহারা, দাঁড়ালেও, বসলেও, এমনকি শুলেও। শুয়ে শুয়ে ঈমান হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ, ইসলামের নামে টিভি দেখে। এই সেই সময়, যখন ঈমান রক্ষার জন্য কোন প্রকৃত খলিফা না পেলে জঙ্গলে চলে গিয়ে মানুষের চক্ষুর আড়ালে লতাপাতা খেয়ে বৃদ্ধ হয়ে মারা যাবার আদেশ এসেছে, তাও যেন মানুষের সংস্পর্শে না আসে, কারণ, সংস্পর্শে এলেই ঈমান হারাবে- যদি তার নিজের খলিফা না থাকেন। এই খলিফা মানে জরুরি নয়, যে রাজা।

এখানে আমরা পয়েণ্টআউট করে সরাসরি চূড়ান্ত সত্যগুলো নিয়ে আলোচনা করব যা সরাসরি কুরআন ও হাদীসের প্রকৃত ফলাফল। কিয়ামাত বা দাজ্জাল বা অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে শুধু ইমাম মাহদী রা. বিষয়ক গ্রহণযোগ্য হাদীসের সংখ্যাই ২০০+, হাদীসের সবচে বড় ইমামগণের তাঁকে নিয়ে লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ২০+, এমনকি হাদীসের প্রায় সকল ইমাম এবং তাফসীর ও ফিকাহর প্রায় সকল ইমাম বলছেন, ইমাম মাহদি রা.'র বিষয়ে সত্য জানা এবং সর্বৈব সমর্থন ও প্রস্তুতি ওয়াজিব অথবা ফরজ। আউট অভ কনটেক্সট আলগা আলাদা আলাদা হাদীস ও আয়াত অনুযায়ী তৈরি করা সিদ্ধান্ত নয়। অনেক বেশি প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার উপর আলোকপাত করব এবং কিছু সঠিক বিষয় স্পষ্ট করব।

আজ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নকল ইমাম মাহদি আগমন করেছে। ইরানে গত ১৪০০ বছরে গড়ে প্রতি বছর একজন করে নকল ইমাম মাহদি আগমন করে। তারা নতুন নতুন ধর্ম বানায়। পশ্চিমা পাক্কা পৃষ্ঠপোষকতা পায়। বাংলাদেশেই বহু ইমাম মাহদি আছে, ইমাম মাহদির সেনাপতি আছে, এমনকি ইমাম মাহদির দাদাও আছে। নি:সন্দেহে তারা পথভ্রষ্ট।

কিছু ঘোর চলছেই। কিছু ভুল বিষয় আগে পয়েন্টআউট করি, ভুল বিশ্বাস সমূহ-

ভুল: দাজ্জাল ইমাম মাহদি কেউই নেই। এসবই আল্লাহর রাসূল অনুমান করেছেন। আল্লাহর রাসূল দ.'র এইসব কথার কোন আগামাথা নেই। (অভিশপ্ত মওদুদী)...
ভুল: ইমাম মাহদি রা. বলতে কেউ নেই (হিজবুত তাহরীর এবং এই জাতীয় যত জিহাদী দল আছে...) অথবা এসে গেছেন, আগেই জন্মেছেন, জন্মাবেন দু চার দশ বছরের মধ্যে (ধান্দাবাজ, ভন্ডপীর ইত্যাদি অথবা যারা ইমাম সাহেবকে খুজতে গিয়ে অপেক্ষারত হয়ে অধৈর্য্য) ... (এখানে একটা বিষয় বুঝতে হবে, যার যার ইমাম/খলিফা/উলিল আমর তার তার জন্য যুগের ও স্থানের হাদী ও মাহদী- হাদী ও মাহদী মানেই তো যথাযথ পথপ্রদর্শক, ঠিক যেমন উলিল আমর। কথা সত্যি। কিন্তু এই হাদী ও মাহদী ওই ব্যক্তি ইমাম মুহাম্মাদ মাহদী একই মানুষ নন)...
ভুল: ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. একই জন...
ভুল: দাজ্জাল হল ইহুদি-খ্রিস্টান-শয়তান পূজারী কাল্টের সভ্যতা...
ভুল: ইমাম মাহদি ও ঈসা আ. শুধু ইসলামের এই ফির্কা বা ওই ফির্কার জন্য আসবেন সকল অমুসলিমকে হত্যা/বন্দি/শাস্তি করবেন...
ভুল: মুসলিমরা চাইলে চেষ্টা করলে খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করতে পারে, বা খিলাফাত অতি দীর্ঘ হবে বা ইমাম মাহদি ও ঈসা আ.'র খিলাফাত অনেক অনেক দীর্ঘ হবে...
ভুল: ইমাম মাহদি অথবা ঈসা আ. নবুয়্যত/রিসালাত নিয়ে আসবেন...
ভুল: যে কেউ যে কোন অবস্থাতেই জিহাদ করতে পারে, বা জিহাদের জন্য খলিফা অপরিহার্য নয়...

যারাই উপরের ভুল বিষয়গুলো বলে, তারাই নিজের মতবাদ ও লড়াই নিয়ে অতি ব্যস্ত।

এবার প্রকৃত বিষয়গুলো-

১. ইমাম মাহদি অবশ্যই একজন ব্যক্তি। তাঁর আগমন ক্ষণ অধিকতর খোদায়ি চাদরের তলায় লুকায়িত, যা এমনকি সাধারণ ওয়ালীরাও ঠিকমত জানেন না। তিনি যেহেতু পূর্ণ খোদা দ্বারা পরিচালিত, তাই তাঁকে আলাইহিস সালাম বলা যায়, তবে সেক্ষেত্রে আহলে বাইতে রাসূল দ. গণের ইমামগণকেও আলাইহিস সালাম বলতে হয়, তাই তাঁকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলাও উত্তম। মদিনায় জন্মাবেন। তাঁর আসার জন্য যে লক্ষণ সমূহ আছে, তার বেশিরভাগই পূর্ণ হয়েছে, কিছু বাকি আছে। এই লক্ষণগুলো পূর্ণ হতে এখন থেকে আরো কিছু বছর সময় লাগবে। তা নেহায়েত এক বা দুই যুগ নয়। ইমাম মাহদি রা.'র আগমনের সাথে সাথে তিনি যে পৃথিবীতে এসেছেন, তা ঐশী জ্ঞান সম্পণ্ন তথা সূফিদের মধ্যে যারা উচ্চতর, তারা বুঝতে পারবেন। তাঁর আগমন হলেও এরপর চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্ব শুরু হবে না। অবশ্যই তিনি পিতৃধারায় হুসাইনি এবং মাতৃধারায় হাসানি হবেন। অবশ্যই তাঁর নাম হবে মুহাম্মাদ। তাঁর পিতার নাম হবে আবদুল্লাহ। অবশ্যই তিনি ৪০ বছর বয়সে প্রকাশিত হবেন। তিনি আগমনের সময় পুরো পৃথিবীর সমস্ত বিশ্বাসীরা এত বেশি অত্যাচারিত হবে এবং পদদলিত হবে যে, একজন মহান ত্রাণকর্তা তথা গাউসে আজমের জন্য মুহুর্মুহূ প্রার্থনা করতে থাকবে। এখন যেমন মুসলিম জাতির উপর আক্রমণ শুধু কয়েকটা দেশে সীমাবদ্ধ, তখন সেটা প্রতি অঞ্চলে প্রকাশ্য হয়ে পড়বে। ৪০ বছর বয়সে তাঁর হাতে মক্কাতে বাইআত অনুষ্ঠিত হতে শুরু করবে। প্রথম বাইআত থেকেই তিনি খলিফা। তাঁর হাতে যারাই বাইআত হবেন, তাঁরাই সবাই সরাসরি গায়েবি সংবাদে আল্লাহর ওয়ালি হিসাবে ঘোষিত হবেন, এও বলা হবে যে, তাদের না আছে কোন ভয় না আছে কোন চিন্তা। প্রতিবার বাধ্য হয়েই তিনি যুদ্ধ করতে শুরু করবেন। তিনি প্রথমেই আরব উপদ্বীপ বিজয় করবেন। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের আগ পর্যন্ত বিজয় করবেন। তারপর তাঁর সমরশক্তি এত বৃদ্ধি পেতে থাকবে যে, ফ্রিগেট-করভেট-এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সহ ১,৭০০ সমুদ্রগামী রণতরী নিয়ে তিনি ইহুদি দখলে থাকা পূণ্যভূমি জেরুজালেম মুক্ত করতে ইজরায়েল আক্রমণ করবেন। ইজরায়েল আক্রমণ করার আগেই তাঁর শাসনকালের অন্তত ৯-১০ বছর পেরিয়ে যাবে। জেরুজালেমে তিনি ১৪ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করবেন, বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী বানিয়ে। এই ১৪ বছর গজবায়ে উজমা বা মানব ইতিহাসের বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে মানুষকে। এই ১৪ বছরের সময়ে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে একেশ্বরবাদের খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত হবে। ইস্তাম্বুল, ইতালির রোম, পশ্চিমা বিশ্ব- এদিকে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব তিনি দিবেন এবং আমাদের উপমহাদেশ, চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়াতে তাঁর বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে তাঁর পাঠানো বাহিনী। বিশ্ব খিলাফাত অন্তত ৭ বছর পরিচালনা করবেন ইমাম মাহদী আ. অথবা তাঁর সাথে নবী ঈসা আ.ও। এমন হবার সম্ভাবনা বোঝা যায়, ইমাম মাহদি ও ঈসা আ.'র আল্লাহর কাছে চলে যাবার পর ৭০ তথা বেশ কিছু বছর যাবত পৃথিবীতে ইসলামি খিলাফাত থাকবে।

অবশ্যই ইমাম মাহদি রা.'র যুদ্ধ অমুসলিম বা কাফিরদের বিরুদ্ধে নয়, বরং তার যুদ্ধ আক্রমণকারী ও আক্রান্তকারী সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে তা মুসলিমের মধ্যে পথভ্রষ্টদের দ্বারা হোক, অথবা অন্য সকল ধর্ম, নাস্তিকতা, কমুনিস্ট, ইহুদি খ্রিস্টান যাই হোক না কেন। তাঁর আক্রমণ কোন ধর্ম বিশ্বাস বা কিছুর বিরুদ্ধে নয়, এবং কোন বিশ্বাসের কেউ বিশ্বাসের কারণে তাঁর দ্বারা আক্রান্ত হবে না, কারণ তিনি আল্লাহ কর্তৃক আদিল তথা চূড়ান্ত ন্যায়বিচারক।

২. অবশ্যই ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. ভিন্ন ব্যক্তি। অবশ্যই ঈসা আ. দামেশকের বিশাল মসজিদের মিনারে অবতরণ করবেন অথবা বায়তুল মুকাদ্দাসে। অবশ্যই ঈসা আ.'র আগমনের জন্য ইমাম মাহদি রা. দোয়া করবেন বায়তুল মুকাদ্দাসে থাকাকালে। কারণ তখন বায়তুল মুকাদ্দাস কিছুকাল যাবৎ মুক্ত হয়েছে তখন দাজ্জাল প্রকাশ পেয়ে গেছে। অন্তত ১,২০০ অনুসারী নিয়ে নামাজের সময় ইমাম মাহদীর কাছে পৌছবেন নবী ঈসা আ.। ইমাম মাহদী রা. তাঁকে নামাজের ইমাম হওয়ার অনুরোধ করলে ঈসা আ. ইমাম মাহদী আ. কেই নামাজে ইমামতিতে দাঁড় করাবেন। অবশ্যই নামাজের সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা বলার সময় সমবেত নামাজীরা ঈসা আ.'র আগমনের খুশিতে বলে উঠবেন, ‌'আল্লাহরই প্রশংসা, যিঁনি দাজ্জালকে কতল করেই দিয়েছেন আর তাকে শেষ করে দিয়েছেন।' এবং নামাজের পরই বায়তুল মুকাদ্দাসের সামনে দাজ্জাল তার '৭০' হাজার সৈন্য নিয়ে হাজির থাকবে। অর্থাৎ বহু সংখ্যক। তাকে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে তাড়া করে তেল আবিবের কাছে বর্তমান এয়ারপোর্ট যে শহরে, সেই শহরের গেইটে শেষ করা হবে। এই তাড়ার নেতৃত্বে ঈসা আ. একা অথবা উভয়ে থাকবেন।

ঈসা আ. নবী ও রাসূল। কিন্তু তিনি আগমন করবেন আল্লাহর মহান সেনাপ্রধান হিসাবে, নবী ও রাসূল হিসাবে নতুন কিতাব/শরিয়াত/নিয়ম নিয়ে নন, যদিও নবী ও রাসূল হিসাবে প্রাপ্য সমস্ত সম্মান তিনি পাবেন। তিনি তখনো নবী, কিন্তু নতুন করে কিতাব ও শরিয়াহ প্রচারের নবী নন। বরং পুরনো শরিয়াহ এ মুহাম্মাদী দ.'র প্রধান সেনাপতি।

৩. অবশ্যই কিয়ামাতের আগের দাজ্জাল কোন একক ব্যক্তি, সেই 'অ্যান্টি ক্রাইস্ট', মাসিহুল কাজ্জাব শব্দের মানেই অ্যান্টি ক্রাইস্ট। দাজ্জাল আগমনের সময় ধীরে ধীরে ঘনিয়ে আসছে এবং একে একে লক্ষণগুলো সব চূড়ান্তরূপে প্রকাশ পাচ্ছে। আল্লাহর নিদর্শনসমূহ, তথা নবী-ওয়ালীগণের পবিত্র কবর-বাগান ধ্বংস করা, আল্লাহর নবীগণের ও আহলেবাইতগণের সমস্ত স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করা এবং মুসলিমগণের মধ্যেই নবী-রাসূলগণের সম্মান ও তাদের উপর ঈমান কমে যাওয়া হল জাহিরি ও বাতিনিভাবে আল্লাহর নিদর্শন ধ্বংস। এই দাজ্জালের মূল অস্ত্র হবে, ধোঁকা, মিথ্যা ও অস্পষ্টতার বেড়াজাল, কূটকৌশল, নীতিহীনতা, ভয়, ব্ল্যাকমেইল। তার ধোঁকা এত সূক্ষ্ণ হবে যে, সাধারণ মানুষ যার বিশ্বাস দুর্বল, সে বুঝতে পারবে না। এমনকি দুর্বল বিশ্বাসের মানুষ তার পক্ষে কাজ করতে শুরু করবে। দাজ্জালের সময় কে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, এটাই বুঝতে পারবে না। দাজ্জাল নিজেও বহু ভুলপন্থীদের সাতে লড়াইরত থাকবে, আবার সেইসব পক্ষও ইমাম সাহেবের সাথে লড়াইরত থাকবে। এই দাজ্জালের আগে অন্তত আরো ৩০ জন দাজ্জাল আসবে এবং এসেছে যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজেকে প্রথমে ইমাম মাহদী রা. দাবি করত, পরে নিজেকে নবী ও রাসূল দাবী করবে এবং অনেকেই নিজেকে খোদাও দাবী করত বা করেছে। অবশ্যই চূড়ান্ত দাজ্জাল, যে কিনা মাসীহুল কাজ্জাব, যার একটা চোখ ফোলা, চুল কোঁকড়া, 'ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতা'র দ্বারা জন্মানো। অবশ্যই তার মূল প্রকাশস্থল শয়তান পূজারী বিভিন্ন কাল্ট, গুপ্তসংঘ, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার। কিন্তু সে এই কৃত্রিম সভ্যতা নয়, বরং এই কৃত্রিম সভ্যতার একজন চূড়ান্ত প্রোডাক্ট ও চূড়ান্ত নির্দেশদাতা। তার প্রকাশ ঘটবে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী পথের অঞ্চলে, অর্থাৎ চরমপন্থী আইএসআইএল এখন যেখানে সর্বধর্ম ও সর্ব মতবাদের মানুষকে বীভৎসভাবে হত্যা করে আক্ষরিক অর্থে কলিজা চিবিয়ে খাচ্ছে, ক্রুশবিদ্ধ করছে, সে অঞ্চলে। তারা, কৃত্রিম খিলাফাত নিজেদের অজান্তে অথবা কেউ কেউ জানে, লড়াই করছে দাজ্জালপূর্ব অবস্থায়, অনাগত দাজ্জালের পক্ষে। তাদের মাধ্যমে ইমাম মাহদি আ.'র পবিত্র খিলাফাতের বিষয়ে মানুষের মনে বিতৃষ্ণা পৌছে দেয়া হচ্ছে। সে একই সাথে বিশ্ব নেতা হবে, ভন্ড নবী হবে, যে পরবর্তীতে খোদা দাবি করবে, তার প্রচারণার বিষয়ই হবে ধর্মহীনতা, যে কোন অপকর্ম করার স্বাধীনতা। একেই বলা হচ্ছে কপালে লিখিত কাফ ফা রা, কাফির। বা ধর্মবিহীন নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। তার মূল শক্তি হবে বিজ্ঞান এবং শয়তান পূজার মাধ্যমে অলৌকিকতা। এরোপ্লেন তার বাহন, 'গাধা' হবে। সে মৃতকে কৃত্রিমভাবে জীবিত করবে, সে বিজ্ঞান ও জাদুর শয়তানি শক্তিতে (দুই ভিন্ন শক্তি) বিভিন্ন অলৌকিক বিষয় দেখাবে। তার রাজত্বে আরাম আয়েশের অভাব থাকবে না, যা জান্নাতের মত এবং তার বিরুদ্ধে যারা লড়বে তাদের আপাতত কষ্টের অভাব থাকবে না, যা দেখতে জাহান্নামের মত- কিন্তু চূড়ান্তে বিপরীত।

দাজ্জালকে শেষ করার সাথে সাথে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে না, বরং মাত্র এক তৃতীয়াংশ ফুরাবে।

৪. ফিরকাবাজি ও ধর্ম নিয়ে ধান্ধাবাজি অবশ্যই ঈসা আ. ও ইমাম মাহদি রা. কে স্পর্শ করবে না। কেননা, তাঁদের সাথে প্রথম থেকেই অনেক বিশ্বাসী খ্রিস্টান যোগ দিবেন। অনেক বিশ্বাসী শিয়া যোগ দিবেন। সূফিদের পরই শিয়াদের সংখ্যা হবে সর্ব্বোচ্চ। এমনকি আরবের ভূমি থেকে এখন যে আহলে হাদিস/সালাফি/ ওয়াহাবি দুর্গন্ধ উৎপন্ন হচ্ছে, সেই ওয়াহাবি দুর্গন্ধের মূল উৎস বনু তামিম গোত্র থেকেও ইমাম মাহদি আ.'র অন্যতম প্রধান সেনাপতি ও অনেক অনুসারী আসবেন। তাই এখনকার ওয়াহাবি মতবাদ থেকেও বিশাল সংখ্যক বিশ্বাসী ইমাম মাহদি আ.'র সাথে যোগ দিবেন। সেই বনু তামিমের মহান ব্যক্তির নামও হাদিসে আছে, তার পিতার নামও। অবশ্যই তাঁদের সাথে স্বল্পসংখ্যক বিশ্বাসী ইহুদিও যোগ দিবেন। তাঁরা সবাই তখন মুমিন/বিশ্বাসী তথা আহলুস সুন্নাহ, আহলে বাইআত হবেন। অবশ্যই সূফিবাদীরা সবচে বিশাল সংখ্যায় ইমাম মাহদির অনুসরণ করবেন।

৫. ইয়াজুজ মাজুজ হলেন চৈনিক জাতির মানুষরা, যাদের অনেকেই বাজে অবস্থানে থাকবেন। চৈনিকরা শুরু করবেন নদী বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ-বার্মা-নেপাল-ভূটানকে মরুভূমি করার কাজ শুরুর মাধ্যমে। অথবা ইয়াজুজ মাজুজের একটা চৈনিক জাতি (তথাকথিত কমুনিস্ট) এবং অন্যটা শয়তান পূজারী কাল্টসমূহের মানুষেরা। দাব্বাতুল আরদ হল পঙ্গপাল অথবা পোকা (দুর্বল ব্যাখ্যা) অথবা ডায়নোসর জাতীয় প্রাণী (সবল ব্যাখ্যা)। সম্ভবত আল্লাহর আদেশে ঈসা আ. আপন মাসীহাতের ক্ষমতায় অথবা মাহদি রা. আপন খিলাফাত ও গাউসিয়াতের ক্ষমতায় মাসিহিয়াতের মাধ্যমে মৃত ডাইনোসর জাতীয় প্রাণীগুলোকে পুনরায় জীবিত করবেন এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ ও লড়াইতে প্রেরণ করবেন। এই কিয়ামাতপূর্ব বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধে অবশ্যই মানুষ ছাড়াও জীবাণু ব্যবহৃত হবে, পশু ব্যবহৃত হবে, জ্বিন ব্যবহৃত হবে, শয়তান, রোবটিক ফর্ম, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীব ব্যবহৃত হবে। এক পর্যায়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালসের সক্ষমতা সকল পক্ষের হাতে চলে যাওয়াতে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।

৬. ইসলামের খিলাফাত কোন স্থির বিষয় নয়। ইসলামের কোন খিলাফাতই শত শত বছর ধরে চলেনি এবং চলবেও না। তাই ইসলামে রাষ্ট্র কায়েম করা মূল বিষয় নয়, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে রাষ্ট্র কায়েম করতে হয়েছে ও হবে। ইসলামের মূল বিষয় হচ্ছে সর্বত্র আল্লাহকে এবং আল্লাহ যাকে যাকে মানতে বলেছেন তাকে তাকে মেনে চলা। সর্বত্র শান্তি ও সহাবস্থান সৃষ্টি করা। আমরা দেখতে পাই, সর্বশেষ বৈশ্বিক খিলাফাত তথা ইমাম মাহদি রা. ও ঈসা আ.'র খিলাফাতও খুব বেশিদিন চলবে না। এ খিলাফাত আল্লাহ জারী করবেন শুধু এটুকুর জন্য যে, সত্য পুরো বিশ্বে সবকিছুর উপর বিজয়ী এটা দেখানোর জন্য। এক সময় শয়তানের প্রকাশ্য পূজারী, অপ্রকাশ্য পূজারী এবং না জেনে অনুসরণকারীরা আবার একত্রিত হবে কারণ বিশ্বাসীদের বিশ্বাস আবারো দুর্বল হতে হতে শেষ হয়ে যেতে নিবে। এক পর্যায়ে যাঁরা বিশ্বাসী আছেন তাদের একটা মিষ্টি বাতাস তথা জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড জীবাণু দিয়ে পৃথিবী থেকে শেষ করে দেয়া হবে। এবং ক্রমাণ্বয়ে সারা পৃথিবী এমনভাবে দখল করবে যে, আল্লাহর প্রতিটা নিদর্শন শেষ করে দিবে। সর্বত্র শয়তানের প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহর শেষ দুই পার্থিব নিদর্শন- মদীনা শরীফ ও মক্কা শরীফের ক্বাবা ঘরও তারা ধ্বংস করার পরই কিয়ামাত সংঘটিত হবে।

৭. কিয়ামাতের পরপরই সমগ্র বিশ্বের অতীতের সমস্ত মানুষ পুনরায় জীবিত হবে রক্তে ও মাংসের শরীরে। হাশরের ময়দানে তারা একত্রিত হবে একই সম বয়সে এবং সমস্ত জ্বিন, মানুষ ও শয়তানের বিচার হবে। এমনকি কৃত্রিমভাবে পূজা করা পাথর ও অন্যান্য বস্তুকেও প্রাণদান করে তাদের সাক্ষ্য নিয়ে চূড়ান্ত বিচারকাজ হবে, মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং জড়বস্তুও সাক্ষ্য দেবে। যা আল্লাহ পরিচালনা করবেন এবং যেখানে সাধারণ মানুষ ইয়া নাফসি তথা ওরে আমার মন বলে চিৎকার করবে এবং মহান প্রতিপালকের প্রিয়জনদের না কোন মানসিক অস্থিরতা থাকবে, না কোন ভয়, বরং তারা সুশোভিত হয়ে মহান সম্মানের সাথে উঠবেন এবং অন্যদের সহায়তার জন্য উঠেপড়ে লাগবেন। কিয়ামাতের আগে শুধু শহীদ ছাড়া আর কেউ শরীর নিয়ে জান্নাতে যাবেন না। অতি উচ্চ মুমিনদের রুহ জান্নাতি হবে। কিয়ামাতে সবাই দলবদ্ধ হয়ে উঠবে। যে যাকে অনুসরণ করে, যার আনুগত্য করে, যার সাথে সাদৃশ্য রাখে এবং যাকে ভালবাসে, সে তার সাথে সারিবদ্ধ থাকবে।

শাফঅাতে উজমার মাধ্যমে রাসূল দ. যাকেই শাফাআত করবেন (৭০ হাজার তথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী সংখ্যক) তারাই আবার প্রত্যেকে শাফাআতের অধিকার পেয়ে যাবেন (প্রত্যেকে আবার ৭০ হাজার তথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী সংখ্যক)। কিয়ামাতের ময়দানে প্রত্যেক নবী নিজ নিজ গোত্রের প্রত্যেকের কাজের বিষয়ে এবং ঈমানের বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন। এবং রাসূল দ. সব নবীর সমস্ত উম্মাহর সমস্ত কাজের বিষয়ে এবং ঈমানের বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন। এই বিচারে অন্যের অধিকারকে প্রাধান্য দেয়া হবে, আল্লাহর আদেশকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

আল্লাহ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন ক্ষমার দর্শনে। তিনি এত বেশি সংখ্যক ক্ষমা প্রদর্শন করবেন, যা মানুষ ও জ্বিনেরা এই পৃথিবীতে তাদের জীবনে কখনো কল্পনাও করেনি, কল্পনা করার সামর্থ্যও রাখে না।

যাদের অন্তরে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস ছিল না, তাদের শাস্তি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হবে, অতি দীর্ঘস্থায়ী (আবাদান) জাহান্নাম। যাদের অন্তরে অতি সামান্য হলেও বিশ্বাস ছিল, তারাই আল্লাহর ক্ষমার পর কিয়দংশ (পাপ অনুযায়ী ক্ষমার পর যা বাকী থাকে, একেকজনের একেক রকম) জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যার পাপ যত কম তার জান্নাত তত সম্মানিত। অনেকেই সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবেন যাদের সংখ্যা ৫০০ কোটিরও অনেক বেশি।

ফুটনোট:

১. বিষয়গুলোকে সাজানোর চেষ্টা হাদিসের বিশারদরা যেভাবে করেছেন, আমরা সেভাবেই করেছি। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই আল্লাহ সবচে ভাল জানেন। সবই আল্লাহর অধিকারে, আর অদৃশ্য বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারে আরো বেশি করে থাকে। সামান্য হিসাবের গড়মিলের জন্য অনেক কিছু উলট পালট হয়ে যেতেই পারে। যেমন, আরব ভূমি থেকে ফিলিস্তিন ভূমি পর্যন্ত অভিযান চালাতে মূল পোস্টে বলা হয়েছে ৯-১০ বছর লাগবে, আবার হাদীস থেকে এও জানা যায় যে, তা ৬ বছর এবং বৃহত্তম যুদ্ধ-দাজ্জালের প্রকাশ ও ফিলিস্তিন বিজয় পর্যন্ত সময়ের পারস্পরিক শুরুর দূরত্ব মাত্র সাত মাস। আর কিছু শব্দ আছে, যা পড়লেই বোঝা যাবে যে, সেগুলো হিসাব মিলানোর অনুমান হিসাবেই করা হয়েছে।

২. ইমাম মাহদি রা.'র পরে (এটাই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত, কোন কোন মতে আগে) আরো দুটি খিলাফাত আসবে।

৩. ইমাম মাহদি রা.'র জন্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত নির্ভরতায় উম্মাহ কখনোই বসে থাকতে পারে না, কারণ তাঁর প্রকাশের সময়কাল এখন থেকে এমনকি আটশো বা এক হাজার আটশো বছর পরও হতে পারে। কিন্তু এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না, যে, তারচেও আগে বা পরে হবে না। এ নিয়ে হাদিসের বিশারদদের মধ্যে তুমুল মতপার্থক্য রয়েছে, এ সময়টা চূড়ান্ত রহস্যাবৃত। কিয়ামাতের প্রধান লক্ষণ দশটি বলা হয়, যার মধ্যে প্রথম লক্ষণ তাঁর প্রকাশ, সেটার সময় নির্ধারণকারী আমরা নই, কেননা আমরা শুধু এটুকু জানি যে, তিনি প্রকাশিত হবার পর কিয়ামাতের বেশি বাকি থাকবে না। মূল বিষয়টা ছিল এরকম, কিয়ামাত পূর্ব ফিতনার সময় ও তার লক্ষণগুলো স্পষ্টতর হচ্ছে। আর অবশ্যই, আল্লাহর প্রকৃত খলিফা, তাদের রাজ্য থাক বা না থাক, সব সময়েই পৃথিবীতে আমাদের মাঝে সশরীরে বর্তমান। আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে না ধরে ও সেই সরল পথে, যে সরল পথে তার প্রিয়জনরা চলে গেছেন, না চলে কখনোই শান্তির সাথে সহাবস্থান বা 'বিজয়' সম্ভব নয়।

এবং চূড়ান্তে সেই কথা, আল্লাহ সবচে ভাল জানেন এবং বিশেষত অদৃশ্যের সংবাদ তিনি নিজেই জানেন যা তার প্রিয়জন ছাড়া কাউকে জানান না, এবং আমরা শুধু হিসাব করতে পারি যাতে ভুলভ্রান্তি থাকা খুবই স্বাভাবিক, তবে, বিস্তৃতভাবে হাদীসগ্রন্থে পাওয়া যায় যেসব কথা, তার বিপরীত বিশ্বাস থেকে, যেমন, 'ইমাম মাহদি অলরেডি চলে এসেছেন' বা 'দাজ্জাল ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতার নাম' জাতীয় বিভ্রান্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এসব আলোচনা অত্যন্ত জরুরি ও ফলপ্রসূ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৩
৩৩টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×