এখনো জুমার নামাজ শুরু হয়নি। আর জুমার নামাজের পরও বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে জানাজা শুরু হতে। ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে এখনো সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে পৌছানো সম্ভব। ঢাকা শহরের আশপাশে বা এই মহানগরীতে যারা বসবাস করেন তাদের এখনো সুযোগ আছে নিরপরাধ একজন মানুষের শেষ বিদায়ের জানাজায় যুক্ত হবার। এই দায় সেই মানুষটার, যে নিরস্ত্র মানুষকে জবাই করার সমর্থক নয়। এই দায় সেই মানুষটার, যে বাংলাদেশের একাত্তরের ঘাতক দালাল আল বদর আল শামস রাজাকারের পাইকারি জবাই করাকে সমর্থন করে না। এই দায় সেই মানুষের, যে মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে।
আর যে কাফেলা অনুষ্ঠান জীবনে একবারও আগ্রহ নিয়ে দেখেছে, আল্লামা ফারুকী র.'র অধিকার আছে তার উপর! আল্লামা ফারুকী র.'র শেষ যাত্রায় অংশ নেয়া এই শহীদের অধিকার।
কারণ রাসূল দ. বলেছেন, একজন বিশ্বাসীর উপর আরেক বিশ্বাসীর অধিকার, তার জানাজায় অংশ নেয়া।
কাপুরুষ গলা কেটে গুপ্ত-হত্যাকারীর শিকার আল্লামা ফারুকি র.'র জানাজার নামাজে যুক্ত হওয়া একটা বক্তব্য পৌছে দিবে চতুর্দিকে। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির সাথে আঁতাত না করার শাস্তি জবাই নয়, এ কথাটা পৌছে দিবে।
যে কাউকে যে কোন কারণে জবাই করে হত্যা করার বিরোধী আমরা, এই মেসেজটা পৌছে দিবে। বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ বিচার সংস্থার সাথে জড়িতদের উপর হামলার বিরোধী, তা জানিয়ে দিবে। নিরস্ত্র, নির্বিষ মানুষকে কেউ চাইলেই হত্যা করতে পারে না, সাংবাদিকদের চাইলেই জবাই করা যায় না, একজন ইমাম-একজন আলিম একজন হাদীস বিশারদের গলা কোন সস্তা বিষয় নয়- এই মেসেজটা পৌছে দিবে।
জানাজায় একজন মানুষ বাড়া মানে ন্যায়ের পক্ষে আরো একজন মানুষের উপস্থিতি দেখা যাওয়া। বিন্দু মিলেই সিন্ধু। একজন মানুষ কম উপস্থিত হওয়া মানে অন্যায়কে মেনে নেয়ার একটু বেশি সমর্থন।
সুযোগ থাকলে চলে আসুন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। কিছু দায় এড়ানো যায় না। কিছু দায় কাঁটার মত গলায় বেঁধে।