বিপ্লবীদের হাতে সম্রাটের পতন ঘটল। ৬ ডিসেম্বর ১৭৯৩ সালে মাদাম বারি গ্রেফতার হলে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় জামরকে। আদালতে দাঁড়িয়ে জামর নিজের সত্যিকারের পরিচয় প্রকাশ করল। বলল, আমি আফ্রিকার নই, চট্টগ্রামের ছেলে। দাস-ব্যবসায়ীরা আমাকে মাদাগাস্কার নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিয়ে আসে ফ্রান্সে।’ ফরাসি লেখিকা ইভ রুজিয়ের তার লো রেভ দো জামর বা জামরের স্বপ্ন (২০০৩) উপন্যাসের মুখবন্ধে বলেছেন, কৈশোরে ভারতের দক্ষিণের বেলাভুমিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় জামরের জীবন। সাগর-মহাসাগর আর দ্বীপের বন্দরে বন্দরে কেটেছে জীবনের একটা সময়। দাস হিসেবে সে এসে পৌঁছায় কাউন্টেস বারির কাছে। কৃষ্ণাঙ্গ এ তরুণ এক সময় হয়ে ওঠে ভার্সেইবাসীর চোখের মণি।
মাদাম দ্য বারি এবং দ্য ওয়েজ অব বিউটির লেখিকা জন হাসলিপ বলেছেন, বিপ্লবের সময় জামর প্যারিস রয়্যাল ক্যাফেতে যাতায়াত করত। ইংরেজ বিপ্লবী জর্জ গ্রিভের সঙ্গে সেখানে তার বন্ধুত্ব হয়। জামরের প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন ফ্রান্সের সে সময়ের কয়েকজন শিল্পী। তেমনই একটি প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন ফরাসি নারী-শিল্পী মারি-ভিক্তোয়ার লোমোয়ান। গাঢ় কৃষ্ণবর্ণের জামরকে কৃষ্ণাঙ্গ বলে মনে হয়। জামরের জীবনতথ্য নিয়ে ১৯৭৮ সালে ফ্রান্স থেকে বেরিয়েছে লা রু পের্দ্যু নামে একটি কমিক উপাখ্যান। ১৮২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জামর মারা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২০