somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমরা যারা ফ্রীলান্সিং কোচিং সেন্টার এ যাও.....!!!!

২২ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বলতে গেলে প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর পর লিখতে বসলাম , বরাবরের মতোই আমি এখনো বাংলা লিখায় কাঁচা, এবং বরাবরের মতো ভুল ত্রুটি মাফ হবে.
এই বিগত কয়েকবছর এ অনেক কিছু পাল্টেছে গুনে শেষ করতে পারবোনা, আগে বিবাহিত ছিলাম না এখন বিবাহিত, আগে শুকনা ছিলাম এখন মোটামুটি ভুরিয়াল, আগে লিখতে গেলে ভাবতাম না এখন ভাবি, যদিও খুব যে লিখতাম তাও না.

আগে থেকেই আইটি নিয়ে লিখি/লিখার চেষ্টা করি, আজকে লিখার শখ হলো, বসলাম লিখতে, কিন্তু এই ব্লগ এর পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে ২০ মিনিট কামলা দিতে হলো, শেষ পর্যন্ত আমি সফল.

যাই হোক মূল কোথায় আসি : আমরা বা আমাদের সময়ে যেভাবে আমরা কাজ করতাম এখন তার ঠিক উল্টো টা দেখছি, মানে আমরা যারা এখন থেকে আরো ৭/৮ বছর আগে ফ্রীল্যানসিং করতাম তারা কিন্তু অনেকটা শূন্য থেকে শুরু করে এতদূর আশা, আমাদের কোনো গাইড লাইন ছিলোনা কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করতেপারতাম না নিজেই যত টুকু আগানো যায়, কোচিং সেন্টার তো ছিলইনা , ১২৮ কেবিপিএস অনেক বেশি ছিল আমাদের জন্য, আমরা ভুল করতে করতে শিখেছি, এইটা ছিল আমাদের সময়ের কথা, মাঝখানে কিন্তু বিশাল একটা জেনারেশন সৃষ্টি হয়েছে যারা এই কাজ এ আগ্রহী এবং এখন পর্যন্ত ভালো করছে আমি দেখেছি, দেখে ভালো লেগেছে, অনেক সময় আমার মনে হয়েছে ওদের তুলনায় আমি হয়তো কিছুই করতে পারিনাই।

সবকিছুর মধ্যেই একটা কিন্তু থাকে এখানেও আছে, আমি যাদের দেখেছি তারা নিজে নিজে করেছে কোনো রকম এর প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য ছাড়াই

আমার সাথে বেশ কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনের কথা হলো, বয়সে অনেক ছোট কিন্তু ভালো টেলেন্ট, সবার একই প্রশ্ন "ভাই কিভাবে শুরু করবো ?"

আমার মাথায় একটাই কথা প্রথম এ মাথায় আসছে "তোমাদের কি মাথায় ঢুকে গেছে কোচিং সেন্টার? এইটা ছাড়া কি কিসুই করা যায়না "
আমি সবাইকে একই কথা জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার কি ইচ্ছা? কি করতে ভালো লাগে ? যেটা ভালো লাগে সেটা নিয়েই আগেও, এর পর উত্তর পেয়ে আমি হতাশ

একজন বললো "শুনলাম ওই খানে এই কোর্স টা করাচ্ছে , ওটা বলে ভালো, মার্কেট এ ভালো ডিমান্ড "

আরেকজন বললো "ভাই যেটা খুব তাড়াতাড়ি শেখা যায় ঐটার ওপর একটা কোর্স করি কি বলেন "

আমি চিন্তা করলাম ভাগ্গিশ আমার সময়ে কোচিং সেন্টার ছিলোনা, থাকলে আমিও হয়তো এখন কোথাও জিজ্ঞাসা করে বেড়াতাম "ভাই কি করবো"?

--------------

আমরা একটা নতুন জেনারেশন পেয়েছি কিন্তু তাদের রক্ষা করতে পারছিনা, জাস্ট বিকজ অফ কোচিং সেন্টার, আমরা তাদের মাথায় বুনে দিয়েছি কোর্স না করলে কিন্তু কিছুই করতে পারবনা

তার মানে আমরা তাদের মানতে বাধ্য করছি যে তোমার মাথায় কিছুই নেই, আমার কাছে আসো আমি তোমার মাথায় ফ্রীলান্সিং ভোরে দেবো আর তুমি ঘরে বসে বসে $$$ কমাবে

আমার মনে হয় এখন স্কুল / কলেজ এর থেকে এই ফ্রীলান্সিং এর কোচিং সেন্টার সংখ্যায় বেশি, হয়তো কয়েকদিন পর স্কুল / কলেজ এর কোচিং সেন্টার গুলো ফ্রীলান্সিং কোচিং সেন্টার এ পরিণত হতে পারে বলা যায়না।

অথচ আমরা যদি এই জেনারেশন টাকে আইডিয়া দেই , যদি বলি কিভাবে শিখবে, কিভাবে শুরু করবে, তাহলে মনে হয়না এরা হারায় যাবে, বাট এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কোচিং সেন্টার দিয়েই এদের কে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে, কথায় আছে না "আমার লেজ কাটছে এখন আপনার লেজ না কাটা পর্যন্ত আমার শান্তি নাই "

এখন এত রিসোর্স আসে পাশে, এত সুবিধা এত ইন্টারনেট স্পিড তও কোচিং সেন্টার এ যেতে হবে কেন? গুগল নামের একটা জিনিস থেকে শিখে যদি আমি, আপনি এতদূর আসতে পারি তাহলে তোমরা কেন পারবনা।
Stop giving excuses, learn by your self, don’t give your brain to control by a god damn Coaching center.

যারা নতুন তাদের বলি, মাথা খাটাও, সার্চ করতে শেখো, প্র্যাক্টিস করো, কেউ তোমাকে সঠিক দিশা দেখতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি না বুঝবা যে কোনটা করে তুমি তৃপ্তি পাচ্ছ, কোচিং সেন্টার কাউকে দিশা দেখতে পারেনা হয়তো পলিশ করতে পারে।

আমি অনেক আহামরি কেউ না, আমার কোথায় ভুল থাকতেই পারে কিন্তু আমি কি বলতে চেয়েছি তা হয়তো তোমাদের পরিষ্কার।

গাইড লাইন টাই অনেক বড় কিছু সঠিক গাইড লাইন থাকলে র পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না

যাই হোক চিন্তা করছি আরো ডিটেল এ লিখবো এইটা অনেকটা টিজার এর মতো হয়ে গেলো, আশা করি আবারো লিখা শুরু করবো, আমার এই ভাঙ্গা বাংলা লিখা পরে যদি তোমাদের একজনের ও উপকার হয় তাহলেই আমি ধন্য।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×