প্রেয়সী!
যখন পথিমধ্যে জটলা, ট্রাম-বাস, ব্যস্ততার আলিঙ্গন
ঘড়ির কাঁটায় যখন পরিমাপ হয় দেহ-মনের বিচরণ,
যখন ল্যাম্পপোস্টের পোকাগুলো মৃত্যুসুখে ফিরে আসে
যখন গেঁয়ো রমণীর চোখগুলো আটকে যায় দূর্বাঘাসে;
তখন আমি-
নিয়তিকে শুধাই, ‘হে অন্তর্যামী!’
আমিই কেন ভাঙতে চাই এ প্রথা
কেনই বা নিজেকে মনে হয় অফিনেতা,
কেনই বা না-বোধগুলো কামড়ায়
কেনই বা ঘুণপোকা ধরে চামড়ায়,
কেনই বা মনে হয়, আমার কষ্টে তুমি হাসো,
বিধাতা উত্তর দেয়, ‘বোকা! তুমি শুধুই ভালোবাসো’।
প্রেয়সী!
শ্রদ্ধাশীল জনমানবতায় যখন হানে অপঘাত
যখন প্রসারিত হয় অশ্লীল গায়েবী দৃষ্টিপাত,
চুম্বনে ফিরে আসে অস্থিরতা, বায়বীয় সুখ
যখন শেষের আগে ডুকরে কাঁদে পরাজিত বুক;
তখন আমি-
নিয়তিকে শুধাই, ‘হে অন্তর্যামী!’
স্বাভাবিকতায় আমার কেন এতো অভিমান
কেনই বা নিজেকে মনে হয় সমুদ্রের সন্তান,
কেনই বা যাকে চাই, তাকে দিচ্ছি ঘৃণা
কিছুই জানি না, আর কেনই বা জানতে চাইও না,
কেনই বা পায়ে শিকল বেঁধে তাকে ডাকি, ‘প্রিয়তমা, আসো’
বিধাতা উত্তর দেয়, ‘ বোকা! তুমি শুধুই ভালোবাসো’।