তুমি কী ছুঁয়েছো আমার হাত?রাগ,অভিমান?
তালতলায় ছোটো ট্যাপকল থেকে ছিটিয়ে দেওয়া জল
ঘাড়ে-গলায়-কানের দু’পাশে
স্বস্তি এনে দিলো।রাতজাগা অশ্রুসকল।
রতনপল্লীর এই খাঁ-খাঁ সকালে
কোথায় যেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিংকরদা—
চারটি নড়বড়ে অসম ছায়া শুধু
গড়িয়ে যাচ্ছে সুবর্ণরেখায় ঠাসা বই আর কাগজের ভিড়ে;
সেই দশ বছর আগের মতোই
বাসন্তী আর হলুদের মাঝেই আগুনরঙা পলাশ,শিমূল।
ওই চোখদুটো কি দেখেছি আগে,ওই ঠোঁট!
প্রবীণকবির পাশেই সুগন্ধি।আবির।
ক্যামেরা অনবরত একই ফ্রেমে ধরে রাখতে চাইছিলো
কালোবাড়ি,উত্তরায়ণ,কলাভবনের মাঠ,শ্যামবাটী,
একা এবং কয়েকজন—
পিঠ ছুঁয়ে থাকা আবিরে রাঙানো বিনুনী...
তোমার করতল যখন ছুঁয়ে দিচ্ছিলো কপাল ও গ্রীবা
আনত দুটো চোখ তখনো কাঁপছে,
তুমি আগের মতোই অন্যদের পাশে
গোল হয়ে মাঠে বসে।উড়ছে মেঘ,নেশাতুর আবেগ...
বৃত্তের মাঝে এখনো শ্যামা,চণ্ডালিকা,চিত্রাঙ্গদা।
আর তোমাদের রংছড়ানো রাস্তা তখন মিলিয়ে যাচ্ছে
প্রান্তিকের জ্যোতস্নামাখা রেলপথে,
এই ভরদুপুরেও গৃহবাসী খুলে রেখেছে দ্বার
তোমরা যাবে বলে।
গান,কবিতা ও আড্ডায় কখন ওই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত
চতুশ্চক্র যান ফিরিয়ে নিয়ে যায় পারুলডাঙায়।
ঝিরিঝিরি শালবন।নুড়িপাথরের পথ।
মাথার আকাশে জ্যোতস্নারাতের চাঁদ আটকে।
অচেনা গায়ক গায় দেহতত্ত্ব,মিলনের গান—
একটি দুটি পাখি ফিরে যায় খাঁচায়
অন্যের জুতোয় পা গলাবো না মুখে বললেও
চলো যাই গড্ডালিকায়...রংমিলান্তি...সাক্ষী টেলিভিশন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৬