অনেক সময় নিজের বাস্তবতা নিজের কাছে কাল্পনিক হয়।
যেমন →আমি চাকরী করি সবাই জানে এখন আমি কর্মজীবী,একটা কম্পানিতে চাকরী করি,থাকি,খাই আর আরাম করে গুমাই,মাস শেষে বেতন পাই,,
প্রথমত কম্পানি মানেই সবাই মনে করে, যেখানে অনেক বড় বড় দালান,ভালো মানের থাকা খাওয়া এক কথায় কোন কিছুর কমতি নেই!
থাকা কে সবাই মনে করে যে অবশ্যই বড় রুম,এ,সি বা ফ্যান ত থাকবেই,
খাওয়া ত মোরগ-পোলাউ হবেই,
আর এই সব থাকলে গুম আরামের হবে না তো কি,,,
সবার কাছে এটাই বাস্তব...#
*কিন্তু,কেউ কি বুঝতে চায় এর আরালে কি আছে?
কম্পানি মানে,একটা বিশাল বন্দিশালা,যেখানে সবার হাত রশি বাধা থাকেনা,কিন্তু কম্পানি নিয়মগুলা তুমাকে একটা রশির উপর দিয়ে হাটার ন্যায় করে দিবে,একটু এদিক-ওদিক হলেই পরে যাবে নিছে,,
আর কাজ গুলা ত আহারের মত, মানুষ আহার না করলে যেমন বেচে থাকা সম্ভব নয়
ঠিক তেমন কাজ ছাড়া চাকরী করা সম্ভব না,বাধ্যতামূলক করতেই হবে,হউক তা টয়লেট ক্লিন থেকে মাটি কাটা,তাও সারাদিন যতখন ডিউটি আছে '
তার পর খাওয়া? হা হা,ভাই শামুক এর ছাল এর মত বাটি যার অর্ধেকটায় তরকারি থাকে,,..তাও সময় মত না গেলে পাওয়া যায়না,তখন ঢাল দিয়ে রাত্রের জন্য এই পেট কে বুঝ দিতে হয়,
থাকার কথা কি বলবো→ ৪-৫ হাতের কুঠুরি ২ জন শেয়ার করে থাকতে হয়
২ হাতের খাঠ,একটু এদিক-ওদিক হলেই অসতর্কতাবশত নিচে পরে যাওয়া ছাড়া আর কি,
গুম? সেতো কখনো ধরা দেয়না,সে যে রুপকথার পরীর মত, সারা দিন এতো কাজ করার পর যখন রুমে গিয়ে শার্ট খুলে,হাত-মুখ ধুই বা গোসল করে বিছানায় যাই
তখন গুম আমার চিন্তার সাথে যুদ্ধ করে হেরে যায়
পরে চিন্তাই রাজত্ব করে,কি করে আগামী মাসে বাড়িতে টাকা পাঠানো যায়,এই মাসে বেতন কবে হবে,,শুনেছি আম্মুর অসুক,ছোট ভাই টার নাকি স্কুল ড্রেস লাগবে,,ইসসস ওবার ডিউটির টাকা টা যদি দিত,তাহলে ত কিছু টাকা বার্তি পেতাম,,আরও কত কি
চিন্তা করতে করতে যাও একটু চোখ লাগলো তখন
বাবা- মশার পালা শুরু,মশারি নেই তাই ইচ্ছামত ওরা গান শুনাবে আর আমার দেহকে তাদের আহার বানাবে,,,,এমনি করেই রাত চলে যায়
এই হচ্ছে আমার বাস্তবতা আর সবার বাস্তবতা
যা আমার নিজের কাছে কল্পনা মাত্র,.....
শেষ কথা→ সব কিছু বলা সম্ভব না,আরও অনেক কিছু আছে বুঝে নিও
→→→→→→→→→রাজিব