প্রকৃতি, সমাজ, এবং প্রযুক্তিকে যখন উপেক্ষা করা হয়, বিবর্তনের প্রয়োজনে তখনই কাউকে না কাউকে উদ্যোগী হতে হয়। যার ফলে ঘটে বিস্ফোরণ। সমাজ পরিবর্তনের প্রশ্নে এই বিস্ফোরণ হলো ‘মহাজাগরণ’
যুগে যুগে তরুণ প্রজন্মই সে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
আমাদের দেশেও তরুন্দের মধ্যদিয়ে আজ সে জাগরণ ঘটেছে। আগামীতেও ঘটবে। এই ধরনের জাগরণ কোনো শ্রেনী বা দল বা সমাজের কোনো বিশেষ অংশের ক্ষনিকের চিন্তার ফসল নয়। এটা দেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। আমাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ ৪২ বছরের জমে থাকা অন্তর্দাহ এবং তারই বহিঃপ্রকাশ হলো আজকের বিস্ফোরণ। তরুন-প্রজন্মই সেই বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দিলো।
স্বাধীনতার পর শাসক বদল হলেও ব্রিটিশ পাকিস্তানি আদলের শাসন-আইন-কানুনসহ কোনো কিছুরই বদল হয়নি। যে কারনে পুরনো ঔপনিবেশিক ধাঁচের আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ফাঁসির আসামীকে যাবৎজীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দুর্নিতিবাজরা জামিন পায়। সন্ত্রাসীরা রাস্ট্রীয় ছত্রছায়ায় অপকর্ম চালাবার সুযোগ পায়। কিন্তু প্রয়োজন ছিলো শাসন-প্রশাসনে পরিবর্তন এবং পুরনো সামাজিক সম্পর্কের অবসান।
স্বাধীনতার চার দশকেও শাসন-প্রশাসনে আনা হয়নি কোনো সময় উপযোগী পরিবর্তন। পরাধীন আমলের রাষ্ট্র-কাঠামো এবং সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই চলছে আজকের রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা। সে কারনে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা হয়ে গেছেন ব্রিটিশ পাকিস্তানি কায়দায় শাসকরা আমলারা হয়ে গেছেন ক্ষমতার মালিক। ফলে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে সমাজের এক অংশ যে জন্য পরাধীন আমল স্বাধীন দেশের পার্থক্য বোঝা কঠিন।
শাসক বদলের পাশাপাশি সবকিছুতেই পরিবর্তন আনার নামই হলো স্বাধীনতা। কেবল শাসক বদল নয়, রাস্ট্রীয় কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিও পরাধীন আমলের মতো উপেক্ষিত। এসব কাজ করার দায়িত্ব ছিলো রাজনৈতিক দল ও সমাজপতিদের। কিন্তু তারা করতে পারেনি।
অতীতের মতো রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হয়ে আমাদের ছাত্র যুব সমাজকেই সেই ভুমিকা নিতে হবে। তরুন-প্রজন্মের অপ্রতিরোধ্য গতিপথকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। সব গুলো
রাজনৈতিক দল গুলো এ অপপ্রয়াসে লিপ্ত । এটা হতে দেয়া যাবে না । এটা গোটা দেশবাসীর একান্ত কাম্য।
সামাজিক সাইটঃ
View this link
www.sakpc.org
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩০