somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সকল আঘাত বন্ধ হোক

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি গ্রাম্য গল্পঃ গ্রামের একটি বাড়ি নিয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীরা খুবই বিরক্ত। সে বাড়িতে সারাদিন চিৎকার চেচামেচি লেগেই আছে। বাড়ির কর্তারা সকালেই কাজে বেরিয়ে যায়। তারপর সারাদিন বাড়িতে থাকে শাশুড়ি আর তার পুত্রবধু। সকাল থেকেই শাশুড়ি তার পুত্রবধুর উদ্দ্যেশ্যে চিৎকার করে গালিগালাজ আর অভিশাপ বর্ষন শুরু করেন।কিছুক্ষন চিৎকার করার পর ক্লান্ত হয়ে শাশুড়ি থেমে যান। পুত্রবধু ঘরের ভেতর থেকে মিষ্টি করে আম্মা বলে ডাক দেয়। শাশুড়ি আবার চিৎকার শুরু করেন!

প্রতিবেশীরা অবাক হয়। আহা! বউটি কি ভালো! শাশুড়ির এত গালির পরও কখনো সে কোন উত্তর দেয় না! তারা ভাবলো এবার একটা বিহীত করতেই হবে। কয়েকজন উৎসাহী চলে গেল ঐ বাড়ির কাছাকাছি লুকিয়ে থেকে আসলে কি ঘটে সেটা দেখার জন্য। তারা যেটা দেখতে পায় সেটা এরকমঃ

শাশুড়ি ঘর থেকে বাইরে আসলেই পুত্রবধু ঘরের ভেতর থেকে মিষ্টি করে আম্মা বলে ডাক দেয়। তারপর হাতে বটি নিয়ে খুন করে ফেলার ইশারা করে আর হাসে। তাই দেখে শাশুড়ি চিৎকার করে। শাশুড়ি থেমে গেলে বউ আবার আম্মা বলে ডাক দিয়ে বটি দেখায়! এভাবেই ঘরের ভেতর থেকে পুত্রবধু ঝগড়া উস্কে দিয়ে মজা নেয়!

প্রতিবার একজন করে ব্লগার খুন হয় আর এই গল্পটা মনে পড়ে! কট্টর পন্থী আস্তিকেরা যখন চুপ হয়ে যায় তখনই নিজেদের নাস্তিক দাবী করা কিছু কট্টর পন্থী ব্লগার ঘরের ভেতর থেকে বটি নাড়ে আর তাই দেখে যখন আস্তিকেরা চিৎকার করে আশপাশের মানুষেরা ভাবে আহা! আস্তিকেরা কত খারাপ!

আমি কখনো দেখিনি একজন আস্তিককে একজন নাস্তিকের বিশ্বাসের উপর আঘাত করতে। আমি কখনো দেখিনি একজন নাস্তিককে একজন আস্তিকের উপর চাপাতি নিয়ে আঘাত করতে। কিন্তু খুব শীঘ্রি তেমন কিছু ঘটলেও অবাক হবো না। একজন আরেক জনের বিশ্বাসের উপর কোন পর্যন্ত আঘাত করতে পারবে তার একটা সীমা নির্ধারন করা জরুরী। না হলে একি ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে।

আমি কোন অবস্থায় কোন হত্যাকে সমর্থন করি না। আবার যে বটি নাড়ে আর যে চিৎকার করে কার দোষ কম সেটাও বুঝতে পারিনা।

জ্ঞানের প্রসার হোক। মনের সংকীর্নতা দুর হোক। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×