: বদটারে সকাল বিকাল নিয়ম করে ডলা দেয়া দরকার, নিয়ম করে। খালি পেটে তিন ডলা, খাবার পরে পাঁচ ডলা! সকাল সাতটায় তাকে তুন্দুল রুটি আনতে পাঠিয়েছি, এখন বাজে নয়টা, আসার নামও নাই ? না, হারামজাদারে খালি পেটে তিন ডলা না, পাঁচ ডলাই দিতে হবে। সকাল বিকান সমান ডোজ।
: ভাই, ভাই, এই যে আপনের তুন্দুল রুটি। দোকানে কী ভিড় যদি দেখতেন ? সারা মহল্লা ভাইঙ্গা পড়ছে ! চুলার ভিতর থিকা থাবা দিয়া আমি যদি দৌড় না দিতাম, তাইলে এই রুটি আনতে আরও দুই ঘন্টা লাগত।
: ভিড় ! কেন ?
: হাজারটা কারণ আছে ভাই।
: মানে ?
: প্রথমে ধরেন, বাড়ির বৌ-ঝিরা এখন রাত জাইজ্ঞা জি-বাংলা দেখে, সকালে উঠতে পারে না, রুটিও বানাইতে পারে না, এই জন্যে সবাই হোটেলের রুটি খায়।
২, নম্বরে ধরেন গিয়া, ঢাকা শহরে এখন বুয়া পাওয়া যায় না, পাইলেও রেইট হাই, তাই বাইধ্য হইয়া অনেকে হোটেলের নাস্তা করে।
৩, ফাস্ট ফুড খাইতে খাইতে, জিহবা গেছে শক্ত হইয়া, বাসার রুটিতে কেউ স্বাধ পায় না ।
৪ নম্বরে হইল গিয়া, বাসার সব মেয়েছেলে অফিস আদালত করে, নাস্তা বানাইব কে ?
৫, নম্বরে ধরেন, মানইসের পকেটে এখন অনেক টাকা, তাই কষ্ট কইরা আর কেউ রুটি বানাইতে চায় না।
.
.
.
১৭ নম্বর কারণটা হইল, গ্যাস সকাল ৬টায় চইলা যায়, আয় দুপুর ৩টা/৪টায়, রুটি বানাইব কি দিয়া কন ?
: হারামজাদা গ্যাস নাই এই কথা প্রথম কইলেইতো হয়, এত কথা কছ ক্যান ? দাঁড়া, আজ তোরে মাইরাই ফালাব।
: ওমা-গো ! ও বাবা-গো !