দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের অনেকেই নানা অজুহাতে গাজা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না, অনেকেই ট্যাংকে চড়ে গাজায় ঢুকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে চরম হতাশার শিকার ১৫ ইসরাইলি সেনা আত্মহত্যার পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইসরাইলি চ্যানেল-টু টেলিভিশন এক প্রতিবেদনে এইসব তথ্য জানিয়েছে। সরকারি এই টিভি জানিয়েছে, ৩০ জন ইসরাইলি সেনা ট্যাংকে চড়ে গাজায় ঢুকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে এসেছে, বহু ইসরাইলি সেনা যুদ্ধ এড়ানোর অজুহাত দেখাতে নিজেদের আহত করছে এবং তাদের অনেকেই এ জন্য নিজের পায়ে নিজেই গুলি চালিয়েছে। আর এইসব ঘটনায় বর্ণবাদী ইসরাইলি নেতারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৬০ জন ইসরাইলি সেনা নিহত ও ১০০'রও বেশি আহত হয়েছে। কেবল ফিলিস্তিনি স্নাইপারদের গুলি বর্ষণে নিহত হয়েছে অন্তত ১১ হানাদার সেনা এবং ফিলিস্তিনি সংগ্রামীরা ধ্বংস করেছে ৩৬ টি ইসরাইলি সাঁজোয়া যান।
এ ছাড়াও তারা একটি ইসরাইলি ড্রোন ঘায়েল করেছে এবং ইসরাইলের একটি এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমানেও আঘাত হেনেছে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্র-রেডিও তেহরান
১ হামাস কমান্ডোর হাতে ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত: এএফপি
গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে একজন ফিলিস্তিনি কমান্ডোর হাতে এক অফিসারসহ পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি আজ (মঙ্গলবার) সকালে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী নাহাল ওজ এলাকায় সোমবার এসব সেনা নিহত হয়।
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একজন কমান্ডো ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এসে ওই পাঁচ ইসরাইলি সেনাকে জাহান্নামে পাঠান। হামাসের ওই কমান্ডো জীবিত অবস্থায় গাজায় ফিরে গেছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পদাতিক সৈন্য ড্যানিয়েল কেডমি (১৮), ব্যারকি ইশাই শোর (২১), সাগি ইরেজ (১৯) ও ডোর ডেরি (১৮) নিহত হয়েছে। তবে নিহত পঞ্চম সেনার নাম প্রকাশ করা যাবে না।" ইহুদিবাদী সেনাদের বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে, নিহত পঞ্চম সেনা ইসরাইলের কোনো পদস্থ সেনা কর্মকর্তা।
এ নিয়ে তেল আবিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুধুমাত্র সোমবার হামাসের হাতে ১০ ইসরাইলি সেনা নিহত হলো। অর্থাৎ ইসরাইল গত ২১ দিনের গাজা যুদ্ধে নিজের ৫৩ সেনার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করলো। এ ছাড়া হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয়েছে আরো তিন ইহুদিবাদী বেসামরিক ব্যক্তি। তবে হামাস বলেছে, তারা অন্তত ১১০ জন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে।
একজন হামাস কমান্ডারের হামলায় এমন সময় অফিসারসহ পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হলো যখন ইহুদিবাদীরা নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুসজ্জিত ও চৌকস সেনাবাহিনী বলে দাবি করে। অন্যদিকে হামাস সেই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে বসে প্রশিক্ষণ নিয়েছে যা চতুর্দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে মানবতার শত্রু ইসরাইল।
সূত্র- এএফপি , রেডিও তেহরান (হামাসের হামলায় বিচলিত ইসরাইলী সৈন্যদের একাংশ)
প্রতিবাদ বিক্ষোভ
লেটেস্ট ব্রেকিং : ৩০/০৭/২০১৪- ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । আজ এক দীর্ঘ ফোনালাপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেনজামিনকে বলেন ,গাজায় নিরস্ত্র নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর ইসরায়েলি বোমা বর্ষণ অবিলম্বে থামাতে হবে নতুবা রাশিয়া ইসরায়েল সম্পর্কের অবনতি ঘটবে । ক্রেমলিন সূত্র থেকে জানা যায় , পুতিন দীর্ঘ ফোনালাপ শেষে বেনজামিনকে বলেন ,বিশ্ব শান্তিতে যদি ইসরায়েল ব্যাঘাত ঘটায় তবে রাশিয়া তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে ।
মন্তব্য : এখন পর্যন্ত একটাও তথাকথিত "ক্ষমতাবান মুসলিম রাষ্ট্র" ইসরায়েলের হত্যাকান্ডের নিন্দা করল না , হুমকি দেয়া তো দূরের কথা । হুমকি দিতে হয় ভ্লাদিমির পুতিনকে ।হে আরব বিশ্ব তোরা নিজেদের আর জীবনেও মুসলিম দাবি করবি না । এবং থ্যাংক ইউ ভ্লাদিমির পুতিন ফর স্ট্যান্ডিং উইথ গাজা।
সুইডিশ নিউজ থেকেও আমি এ খবরের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।
Click This Link
গাজার সমর্থনে ফ্রান্স, লন্ডন, ডাবলিন, তেলআবিব শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ। প্যারিসে ১০ হাজার লোকের মিছিল। ব্যাপক সংঘর্ষ।
নিপিড়িত অসহায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ফ্রান্সে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার রাস্তায় নেমে আসেন। প্যারিসে অন্তত ১০ হাজার লোকে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়লে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ অন্তত ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়লে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ কর্মকর্তা আহত হন।
ধিক্কার ইজরাইল আর আমেরিকাকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫