somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হত্যা, ধর্ষণ এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন এর প্রয়োজন!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই যে ফেসবুকার ও ব্লগার ভাইবোন একটু সময় নিবো। একটু সময় দিন। আমি নায়লা নাইম, মিথিলার এর স্টাফ রিপোর্টার নয় যে, নগ্ন ভাষায় ওদের কৃতিত্ব শুনাবো। আমি ধর্ম ব্যবসায়ী বা আমিন সমান সমান ১ হাজার লাইক চাচ্ছি না। আমি যমুনা টিভি, এস.এ টিভির সংবাদ পাঠক নয় যে সংবাদ শুনাবো। একটু মনোযোগ দিয়ে নিচের নগ্ন বা উলঙ্গ কথাগুলো পড়ুন।

আসল কথাটিতে আসি, বর্তমান সময়ে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, বিশৃঙ্খলা সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে ভবিষ্যৎ কালো হওয়ার ভয় থেকে যায়। এগুলো বৃদ্ধির আসল কারন একটা ই, আইন এর সঠিক প্রয়োগ নেই। আইন জিনিসটা সস্তা না যে মানুষকে শুধু আইন সম্পর্কে শিক্ষা দিলাম। কিন্তু, আইন ব্যবহার করা শিক্ষা দিলাম না। আর নিজে আইন এর সঠিক ব্যবহার করলাম না।

আইন এর সঠিক প্রয়োগ নেই বলে ই আজও সাগর-রুনি হত্যার মূল রহস্য রাজনৈতিক ফাঁদে আটকে গেছে, তনুর মতো মেয়েদের রাস্তাঘাটে ধর্ষণ এর শিকার হতে হয়, রিশার মতো শিশুদের হিংস্র জানোয়ারদের হাতে হত্যার শিকার হতে হয়, দিনে-দুপুরে নারায়ণগঞ্জ এর সাত খুন করা হয়। এভাবে আমরা আর কত লাশ দেখার অপেক্ষায় আছি? আর কত হলে ক্ষান্ত হবে এসব হিংস্র জানোয়ার এর দল?

আসলে আমাদের এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দাঁড়াতে হবে। আর কত ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করব? সহ্যের সীমানার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। কি আজব এক বিচার প্রয়োগকারী সংস্থা আমাদের প্রত্যেকটা ঘটনার পর ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষার আশ্বাস দেয়? ৪৮ ঘন্টার অপেক্ষার করানোর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলবে, তনু ঝোপের আড়ালে যৌন কাজ সম্পাদন করতে গিয়েছিল। মনে রাখো, বিচার বিভাগ যতদিন আত্মীয়র মায়াজালে থাকবে, ততদিন এই দেশে সুখ তারাটা জ্বলবে না। প্রতিটি বিশৃঙ্খলার আড়ালে কোনো এক প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছে হিংস্র জানোয়ার এর দল।

কিছুদিন আগে সিলেটে শিশু রাজন হত্যা, খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা প্রতিটি মানুষের মাঝে ভালোভাবে সাড়া তুলেছিল এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। তাই শেষ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয় নাই,
শিশু নির্যাতনে ক্রিকেটার শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রীকে। উক্ত প্রতিটা নেক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার হয়েছে। কিন্তু, সাগর-রুনি, তনুর বিচার এর বেলায় এতো সময় নেওয়ার কি হলো? জাতি তো জানতে চাচ্ছে? এগুলোর বিচার তো ভিন্ন গ্রহের কথা মূল রহস্য ই জানানো হয় নাই। বাঙালিকে বোকা পেয়ে সবাই ফায়দা লুটতে চায় তাই না? আমি যদি নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন করি, কেন এসব হিংস্র জানোয়ার এর দল শক্ত অবস্থানে আছে? হয়তো তারা উত্তর দিবে, আমাদের জাতীয় পশু বাঘ তো তাই, এসকল জানোয়ার বাঘের শক্তিতে রূপান্তর হয়েছে। যে জাতি নিজ কানে শুনতে পায় যে, জঙ্গি হওয়ার কারন হলো, মায়ের বুকের দুধ না খাওয়ার ফলে।

এতো সময় তো হত্যার নীতিকথা শুনালাম, জানি আপনি আমাকে গালি দিচ্ছেন। আমি জানি আপনার কোথাও আঘাত লেগেছে। যদি আঘাত লেগে থাকে তাহলে দ্রুত ডক্টর না দেখিয়ে এর আসল ব্যবস্থা করেন। আমরা সেই জাতি যেখানে সামান্য পেট খারাপ হলেও ডক্টর এর নিকট দৌড়াদৌড়ি করি। নিজের মধ্যে স্বাভাবিক বুদ্ধি হয় নাই। কিন্তু, আপনার মাথায় এতটুকু বুদ্ধি হয় নাই যে, যদি কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখেন তাহেল নিজ বুদ্ধি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করবেন। এখানে আপনি বলবেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার চুল করবে? ওরা এঘটনাকে ধামাচাপা দিবে আরও। এ বাক্য বা প্রশ্ন যা ই বলে, প্রত্যেকটা বাক্য আদম সন্তান বাঙালিদের কথা। আসলে উপরের কথাগুলো নাটক, নীতিকথা বা একটু ভাব প্রদর্শন ছিল বলতে পারেন। তবুও বলছি, উপরের আদম সন্তানদের প্রতিটা কথা সত্য। আপনি হয়তো বলবেন, এসব কথা ফেসবুকে না বলে, মাঠে আসেন ওখানে সুযোগ দেওয়া হবে। মাঠে কথাগুলো বলবেন। আমি বলবো, মাঠ অনেক গরম সবাই ইমরান এইচ সরকার ও ফেমাস হতে চায় রে ভাইয়া। মাঠে কথা বলবে, মাঠে থাকবে, শুধু বিরিয়ানির প্যাকেট দিলে ই হচ্ছে।

এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজনীয় একটা ব্যবস্থা দরকার তা হল, গণ-আন্দোলন ও বিক্ষোভ আন্দোলন। এ সকল বিক্ষোভ আন্দোলনের জন্য কিছু বিশেষ লোকের প্রয়োজন ছিল। যারা আজ ওপারে পাড়ি জমিয়েছে। যা ই হোক, আমরা কি তাদের আদর্শবান ছেলে হতে পারি না? তারা মায়ের পেটের সন্তান ছিল, মানুষ হয়ে জন্মেছিল, তাদেরও পরিবার ছিল। তারপরও, জীবন বাজি রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছে। শুধুমাত্র দেশের জন্য শুধুমাত্র মাকে বাঁচানোর জন্য। আপনার মায়ের অসুস্থ অনুভব হলে, আপনি কি চুপ করে থাকবেন? না কি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিবেন যে, আল্লাহ বিচার করবেন। আল্লাহ কুরআনে কোথাও কি বলেছেন যে, তোমরা প্রতিটা বিষয় আমার উপর ছেড়ে দাও, আমি বিচার করব। আর তোমরা বাসায় বসে, ফেসবুকে রেস্টুরেন্ট এ খাওয়াদাওয়ার ছবি আপলোড করবে, আর জ্যাকলিন মিথিলা হবে আর তার আদর্শে তুমিও চলবে। তুমি কি শোনো নাই, আল্লাহ নিজের ভাগ্যকে নিজেকে সচল রাখতে বলেছে।

থাক! অনেক বলে ফেলেছি মাফ করবেন। আরও অনেক কিছু বলার আছে আরেকদিন বলবো।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×