বরিশাল বনাম ঢাকা মেট্রো এর লীগ খেলা হচ্ছিল খুলনাতে আবু নাসের স্টেডিয়াম এ। অনেকদিন মাঠে যাওয়া হয় না। আন্তর্জাতিক খেলা খুব কম ই হয় তো তাই বলে কি লীগ ম্যাচও মিস করবো। তা কি হয়! তাই মাঠে যেয়ে অনেক সুন্দর একটা অনুভূতি শেয়ার করলাম। মাঠে প্রবেশের সময় বাহির থেকে ভাবলাম বাহিরে কিছুটা খারাপ হলেও ভিতরটা হয়তো সুন্দর হবে। মাঠে প্রবেশের পর অবস্থা দেখে ভড়কে গেলাম। মাঠে মানুষ খেলা দেখে আনন্দ পায়, আর খেলোয়ারদের ছবি তুলে মজা পায়। ফেসবুকে সেই ছবি দিয়ে হাজার হাজার লাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে পাল্লা দেয়। আর আমার মন বলছিলো, এই মাঠের ভুতুড়ে পরিবেশের সাথে একটা ছবি তুলি। এরকম মাঠের পরিনেশ সহজে সামনে পাওয়া নাও যেতে পারে। ছি! ছি! আমরা কোথায় বাস করি? আর কাদের হাতে এই দেশকে তুলে দিচ্ছি? যারা নিজের পকেট এর জন্য কাজ করে, আমরা তাদেরকে মনোনীত করছি দেশ উন্নয়নের জন্য।
মাঠের ভিতরের পরিবেশ এর বর্ণনা দিতে গেলে- আমি মনে করি, নিজের অলিগলির মাঠের থেকেও অপরিচ্ছন্ন। মাঠের ৮০ শতাংশ চেয়ার ভেঙে গেছে। দর্শক সারিতে প্রত্যেক কর্ণারে বটগাছ বেড়ে উঠছে। প্রায় জায়গাতে বসার চেয়ারটাও নেই। আর ভিআইপি দর্শক রুম দেখে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়েছি। ভিআইপি রুমে কি ভুতের আড্ডাখানা না কি তাও জানি না? ভিআইপি রুমগুলোতে সিলিং একদম ভেঙে গেছে। ভিআইপি রুমের সামনে কয়েকটা থাই গ্লাস নেই। মাঠের ভিতর এডভার্টাইজ বোর্ড ভেঙে আছে মাঠের পাশে। এই ছিল শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম এর পূর্ণ বিবরণ।
কোথায় আমাদের ক্রিকেট বোর্ড এর সভাপতি? কোথায় আমাদের শেখ সোহেল সাহেব? কিভাবে উন্নতি হবে দেশে যদি উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসব আড়াল করে রাখে? কি হবে এদের দিয়ে? কিচ্ছু হবে না। এসব বা*গুলো দেশটাকে ধ্বংস করছে। নিজে দেশটাকে ঠিক করবে না, আর অন্যকেও ঠিক করতে দিবে না। দেশ মনে হয় ওদের বাপের সম্পদ যে খামচে ধরে রাখে। আসলে আমরা জনগণ এসব হায়নাদের পা চাটা কুকুর হয়ে আছি বলেই, এরা এতদূর। তা যদি না হতো এতদিন এই হায়নাদের মাটির তলে চলে যাওয়া উচিত ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০৩