somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই কিংবদন্তির অভিষেক দিন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৫ই নভেম্বর ১৯৮৯ সনের এইদিনে টেস্ট ক্রিকেটে দুই কিংবদন্তির অভিষেক হয়। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি পেসার ইর্য়কার মাস্টার ওয়াকার ইউনুস অন্যজন ভারতীয় ঠাণ্ডা মেজাজের ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার।

ইর্য়কারের রাজা বলে পরিচিত ওয়াকার ইউনুস। তিনি তার টেস্ট ক্রিকেট জীবনে ৮৭ ম্যাচে ৩৭৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। সেরা বোলিং ছিল এক ইনিংসে ৭৬ রানে ৭ উইকেট। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছে ২২ বার এবং ১টি টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছে ৫ বার। এক টেস্ট ম্যাচে সেরা বোলিং ছিল ১৩৫ রানে ১৩ উইকেট। ১৯ শতকে তার ইর্য়কার জাদুতে কেপে উঠতো ক্রিকেট বিশ্ব। অনেক দানবীয় ব্যাটসম্যান তার ইর্য়কারের সামনে হার মেনেছে। সেই ধ্বংসাত্মক বোলার ২০০৩ সালের ২রা জানুয়ারীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলে তার টেস্ট ক্রিকেটীয় জীবনে ইতি টানেন। এ বছরে তিনি সিলেট সিক্সার্সের সেরা ১০ বোলার ‘ফিউচার সিক্সার্স’ ট্যালেন্ট হান্ট ক্যাম্পেইনে কার্যক্রমে বিচারক হিসেবে ছিলেন। বিপিএলের প্রথম তিন ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে হেরে যায় সিলেট। দলের জয়ের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতেই এবার বিদেশি মেন্টরের দিকে হাত বাড়াল দলটি। তাই সিলেট সিক্সার্সের মেন্টর হিসেবে দেখা যাবে ওয়াকার ইউনুসকে।

এবং সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৮৯ সালে রাজ সিং দুঙ্গারপুর শচীনকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সফরে ভারতীয় দলের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন। এর ফলে ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসে করাচী টেস্টে মাত্র ১৬ বছর ২২৩ দিন বয়সে তাঁর আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট অভিষেক হয়। তার ২৪ বছরের ক্রিকেটীয় জীবনে রযেছে অসংখ্য রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচে করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ রান। সেরা ব্যাটিং ২৪৮ রান। শতরান হাকিয়েছেন ৫১টি এবং অর্ধশতক রযেছে ৬৮টি। একমাত্র শচীন টেন্ডুলকার টেস্ট ও ওডিআই একত্রে শতক হাকিয়েছে ১০০টি। ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সন পর্যন্ত প্রতিটি মানুষকে মাতিয়ে রেখেছিলেন তার নৈপুণ্য ব্যাটিং এর মাধ্যমে। তিনি তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ১৪ই নভেম্বর, ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

© মুহসিন মুন্সী
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×